অবরুদ্ধ রুদ্র বৈশাখ, তবু নতুন আলোয় জাগে প্রাণ

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
অলঙ্করণ: কাজী যুবাইর মাহমুদ

অলঙ্করণ: কাজী যুবাইর মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা বৈশাখ প্রাকৃতিক নিয়মে বাংলা নববর্ষকে নিয়ে এসেছে বসন্তের উজ্জ্বল নীলাকাশ ও উজ্জ্বলতর সবুজ প্রকৃতির পরশ মাখিয়ে। তবু করোনায় আক্রান্ত নতুন বছর ১৪২৭ বঙ্গাব্দে পৃথিবীর রং ধূসর। মানুষের চেহারা ভীত-বিহ্বল, পাণ্ডুর। প্রকৃতির পাতায় পাতায় ও নিসর্গের প্রতিটি অঙ্গনে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো হে’ স্পন্দন, তবু এই নববর্ষের, এই পহেলা বৈশাখের, সকল রুদ্রতা অবরুদ্ধ।

এই অচিন্তনীয় অবরুদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক দূরত্ব ও সঙ্গরোধের ফলে। মনুষ্য চলাচলহীন, নিস্তরঙ্গ পৃথিবীতে ঘরবন্দী হয়ে বেঁচে থাকাই বিরাট বড় চ্যালেঞ্জ। উৎসবের প্রসঙ্গ তো রীতিমতো অকল্পনীয় বিষয় করোনাপীড়িত কালে।

তবুও গৃহের নিভৃত কোণ থেকে চিরচেনা, চিরপরিচিত প্রকৃতি ও ঋতুর অনিন্দ্য পালাবদল মানুষের দৃষ্টি এড়িয়ে যেতে পারে না। মানুষ, প্রকৃতির শিহরণ থেকে দূরে থাকলেও নির্বিকার থাকতে পারে না। উৎসবমুখর বাঙালি অন্তরের আলো ও উত্তাপে আমোদিত হয় নববর্ষের স্পর্শে, পহেলা বৈশাখের পরশে।

বাংলা জনপদে বাঙালি জীবনে পহেলা বৈশাখ নবতর চেতনায় উজ্জীবিত হওয়ার আনন্দধ্বনি নিয়ে আসে। পুরনো ও জীর্ণকে ফেলে ‘ঐ নতুনের কেতন’ উড্ডয়নের ডাক দেয় বৈশাখ। আবাহন জানায়, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালির ঐক্য, বিকাশ ও সমৃদ্ধির।

 

দক্ষিণ এশিয়ার সুবিশাল ভূগোলের মধ্যে বিশাল ও বহুবিচিত্র ভারত উপমহাদেশে একমাত্র বাঙালি জাতিরই রয়েছে নিজস্ব ও কার্যকরী একটি বর্ষপঞ্জি, যাকে কেন্দ্র করে বাঙালির অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক জীবন আবর্তিত হয় ঋতুবৈচিত্র্য এবং পালা, পার্বণ ও অনুষ্ঠানের সমান্তরালে। মাটি ও মানুষের সম্মিলনে সেই বর্ষক্রমের সূচনা আনে রুদ্র বৈশাখ।

বৈশাখে বাঙালির জাতীয় সাংস্কৃতিক জাগরণের মতো আলোড়ন তৈরি হয়। ঢাকাসহ পুরো বাংলাদেশ ঘর ছেড়ে বাইরে চলে আসে। শতসহস্র কণ্ঠে বলতে থাকে, ‘এসো মিলি প্রাণের উৎসবে’।

ভোরের নতুন আলোয় রমনার ঐতিহ্যবাহী বটমূলের সুর ও ছন্দে আবাহন করা হয় নতুন বছরকে। চারুকলা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয় বর্ণিল শোভাযাত্রা। প্রত্যয়দীপ্ত বাঙালি অশুভ, অন্যায় ও অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলোর ডাক দেয়। বাঙালির শতকণ্ঠে জাগৃতির গানে গানে সমগ্র বাংলাদেশ মুখরিত হয় নববর্ষের প্রথম দিনে, পহেলা বৈশাখে।

কিন্তু ঐতিহাসিক বাস্তবতার কঠিন পরিস্থিতিতে ১৪২৬ বঙ্গাব্দ শেষে নতুন বছর ১৪২৭ এসেছে ঘোরতর সঙ্কুলতার মধ্যে। শুধু বাংলাদেশই নয়, সারা বিশ্বই এই নতুন বছরের মাহেন্দ্রক্ষণে তাপিত, পীড়িত। উৎকণ্ঠায় প্রকম্পিত। তবু মানুষের শাশ্বত সংগ্রামশীলতার শক্তিতে চলছে সঙ্কট মোচনের লড়াই। রোগের সঙ্গে মানুষের এই প্রচণ্ড দ্বৈরথে বিশ্বের প্রতিটি মানুষই আজ একেক জন সৈনিক। হয়তো কেউ লড়াই করছে বাইরে থেকে, কেউ ঘরের মধ্যে থেকে। তথাপি লড়াই চলছেই।

মানব সভ্যতার এই লড়াইয়ে বাঙালিকে আরও প্রাণিত করে বৈশাখের জীবনমুখী চৈতন্য। রুদ্র বৈশাখের প্রবল প্রতাপে করোনা-সৃষ্ট অবরুদ্ধতাকে পরাজিত করার প্রত্যয় ও প্রতীতি জাগে নববর্ষের নবতর আবহে, পহেলা বৈশাখের প্রাণময় স্পর্শে। যে পরশ প্রতিটি বাঙালি ঘরে বসেও অনুভব করে। উপলব্ধি করে প্রাণের আলোয় বিপদ উত্তরণের প্রেরণা। সামষ্টিক উৎসবময়তাকে পায় ব্যক্তিগত, পারিবারিক পরিমণ্ডলে।

মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির, প্রাণের সঙ্গে প্রাণের মিলিত মুখরতায় বাঙালির চিরন্তন উৎসব বাংলা নববর্ষের পহেলা বৈশাখ। বাঙালি যেকোনও পরিস্থিতিতে এই সর্বজনীন, কল্যাণময় উৎসবের সঙ্গে একাত্মবোধ করবেই। হয়তো বাইরের সব আয়োজন আপতকালীন পরিস্থিতিতে স্থগিত থাকবে। কিন্তু নববর্ষের নতুন আলোয় অন্তরের রজতশুভ্র আলোক দ্যুতিতে বাংলার প্রতিটি প্রান্তর, গৃহকোণ আলোকোজ্জ্বল হবেই। নতুন আলোয় জাগবেই প্রাণ।

আজ নয় কাল, অবরুদ্ধ প্রহর পেরিয়ে বাঙালি জাগবেই রুদ্র বৈশাখের উচ্ছ্বাসে। অবরুদ্ধ রুদ্র বৈশাখেও বাঙালির ঘরে ঘরে, অন্তরের গহীন প্রদেশে জাগবে প্রাণ।

বাংলার, বাঙালির সংবাদ সারথি বার্তা২৪.কম বাংলার, বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখে ঘরে ঘরে অবস্থানরত প্রতিটি বাঙালিকে জানাচ্ছে আন্তরিক শুভেচ্ছা।

   

মেয়র-চেয়ারম্যান গ্রুপে বিভক্ত রাঙামাটির শ্রমিক নেতারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাঙামাটির পরিবহণ শ্রমিক অঙ্গণ।

গত কয়েকদিনে শ্রমিক নেতাকে মারধর, ড্রাইভারের উপর হামলাসহ চট্টগ্রাম আদালতে অভিযোগ, রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় অভিযোগের পাশাপাশি টানা তিনদিনে পরপর তিনবার সংবাদ সম্মেলনে একের বিরুদ্ধে অপরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে পরিবহণ শ্রমিকদের নিয়ে রাঙামাটিতে ধর্মঘট পালনের হুমকি দেওয়া ঘটনা ঘটেছে।

গত ৯ এপ্রিল রাঙামাটি পৌর ট্রাক টার্মিনালে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ উত্থাপন করার পরেরদিন ১০ এপ্রিল রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারসহ সাধারণ শ্রমিকদের জিম্মি করে রাখার অভিযোগ করে রাঙামাটি প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন রাঙামাটি জেলা ট্রাক-মিনি ট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এটিএম হাসমত উল্লাহ। এসময় হাসমত উল্লাহ-সিরাজসহ অন্যান্য নেতারা রাঙামাটির পৌর মেয়রের দিকে ইঙ্গিত করে রুহুল আমিনকে মেয়রই মাঠে নামিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।

এ ঘটনার পরদিন ১১ এপ্রিল দুপুরে পাল্টাপাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ্যে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের হাসমত উল্লাহ, সিরাজদের ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ করে রুহুল আমিন বলেন, আমার প্রতি প্রতিশোধ নেয়ার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান রোমান আমাকে রাউজানে নিয়ে গিয়ে মার খাইয়েছেন।

এসব ঘটনায় প্রায় প্রকাশ্যেই এখন চাউর হয়েছে রাঙামাটির পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ এখন মেয়রপন্থী ও উপজেলা চেয়ারম্যানপন্থী হিসেবেই নিজেদের অর্ন্তোকোন্দল প্রকাশ্যে এনে সংঘাতে জড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে সাধারণ শ্রমিকরা।

শ্রমিকনেতাদের এমন পাল্টাপাল্টি ইন্ধনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আকবর হোসেন চৌধুরী মুঠোফোনে প্রতিবেদককে বলেছেন, রাঙামাটির প্রতিটি শ্রমিক সংগঠনের প্রতি আমার আন্তরিকতা ভালোবাসা শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। দলমত নির্বিশেষে আমি সবাইকে সহযোগিতা করি।

বিগত ২০১৭ সালের পাহাড় ধস, এরপর কোভিট পরিস্থিতিতে রানীরহাট, রাউজানসহ রাঙামাটির সর্বস্তরের সকল শ্রমিক ভাইদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছি। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমি এখনো পর্যন্ত তাদের পাশে থেকে কাজ করছি। ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের কোনো ধরনের অর্ন্তকোন্দলে আমি মোটেও জড়িত নই এবং এটি আগামী পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি কোনোদিন শ্রমিক সংগঠনের কোনো পদেই ছিলাম না। মেয়র বলেন, কেউ যদি কারো ব্যর্থতা ঢাকার জন্য সাধারণ শ্রমিকদের ব্যবহার করে তাদের ভেতরকার কোন্দলে আমাকে সম্পৃক্ত করার অপচেষ্ঠা করে তাহলে বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক হবে।

অপরদিকে শ্রমিক নেতা রুহুল আমিনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটির সদর উপজেলার চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান বলেন, মূলতঃ উপজেলা নির্বাচনে আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে আগামী পৌর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর হতেই রুহুল আমিন গংরা আমার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

তিনি বলেন, সামনে পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের লক্ষ্যে এক জনপ্রতিনিধির ইন্ধনেই এসব করা হচ্ছে। পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরিবহন সেক্টরে,পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে নানা অরাজকতা, নৈরাজ্য সৃষ্টিসহ জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

'দেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে সরকার সব ধরণের পদক্ষেপ নেবে'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
'দেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে সরকার সব ধরণের পদক্ষেপ নেবে'

'দেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে সরকার সব ধরণের পদক্ষেপ নেবে'

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে সরকার সব ধরণের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির (বিএফডিএ) পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।

বিএফডিএ ২০২২-২০২৩ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র এবং দেশীয় ওটিটি মাধ্যমে মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব ফিল্ম নির্মাণের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন শাখায় অবদান ও শ্রেষ্ঠত্বের জন্য প্রথমবারের মতো এ পুরস্কার প্রদান এবং অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, চলচ্চিত্র অত্যন্ত শক্তিশালী একটি মাধ্যম। এই মাধ্যমকে বাংলাদেশে আরো শক্তিমত্তা নিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিবেশ তৈরির জন্য অংশীজনদের সাথে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে এবং তাদের মতামত নিয়ে সরকার সবকিছু করবে। চলচ্চিত্র দিয়ে বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে তুলে ধরা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে এফডিসি (চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এফডিসি'র মাধ্যমে আমাদের শিল্পী-পরিচালকবৃন্দ যারা চলচ্চিত্রের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন তারা তার প্রতিদান দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের চলচ্চিত্রের বিশাল ভূমিকা ছিল। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়েও আমাদের চলচ্চিত্রের বিভিন্ন পর্যায়ে ভূমিকা রেখেছিল।

তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে সমাজে অনেক পরিবর্তন হয়েছে, যে পরিবর্তনগুলো ইতিবাচক। এ পরিবর্তনগুলো আমাদের সামনে অনেক ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তনগুলো আপাত দৃষ্টিতে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চ্যালেঞ্জকে কীভাবে সুযোগ হিসেবে আমরা পরিবর্তন করতে পারি, সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সিনেমা হলগুলো অর্থনৈতিকভাবে লাভবান না হলে চলচ্চিত্র সমস্যার সম্মুখীন হবে। সিনেমা হল যদি সচল থাকে এবং মানুষকে যদি হলে আনা যায় তাহলে চলচ্চিত্রের সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব। গোটা বাংলাদেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় সিনেপ্লেক্স এবং মাল্টিপারপাস সিনেমা হল তৈরি এবং সেগুলো কীভাবে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করা যায় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

তিনি আরো বলেন, দেশে নির্মিত ভালোমানের চলচ্চিত্র দেশের হলগুলোতে হলিউড বা অন্যান্য দেশের চলচ্চিত্রকে প্রতিযোগিতায় পেছনে ফেলছে এবং সে সক্ষমতা এদেশের চলচ্চিত্রের রয়েছে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে অনেক সময় প্রযোজকরা দেশের বাইরে গিয়ে আধুনিক প্রযুক্তিগত সুবিধা নিচ্ছে। কারণ দেশে এ সুবিধাগুলো নেই।

আমরা যদি দেশে এই সুবিধাগুলোর ব্যবস্থা করতে পারি, এফডিসি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের আধুনিকীকরণ করতে পারি তাহলে এফডিসি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে। এজন্য এফডিসি বা এ ধরণের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান করার বিষয় নিয়ে সরকার কাজ করছে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন্ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্বপ্নধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ উর রশিদ এবং বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজ-এর চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন।

শনিবার (১১ মে) এক বার্তায় হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

হায়দার আকবর খান রনো গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় রাজধানীর পান্থপথের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি একমাত্র কন্যা রানা সুলতানা, জামাতা মনির জামান রাজু, দুই নাতি, অগণিত রাজনৈতিক সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব রেখে গেছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের সদস্যরা দেশের বাইরে থাকায় মরদেহ সোমবার পর্যন্ত শমরিতা হাসপাতালের মর্গে রাখা হবে। স্বজনরা দেশে ফিরলে শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নেয়া হবে এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের মরদেহ। এরপর বাবা-মায়ের কবরের পাশে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে হায়দার আকবর খান রনোকে।

 

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

অনুমোদনহীন কেমিক্যাল দিয়ে আইসক্রিম তৈরি, দুই কারখানা বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অনুমোদনহীন ক্ষতিকর কেমিক্যাল দিয়ে আইসক্রিম তৈরিসহ নানা অপরাধে দুই আইসক্রিম কারখানাকে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট। এসময় কারখানা দুটির মালিককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে সীতাকুণ্ড উপজেলার বড়কুমিরা ও বাড়ককুণ্ড বাজারে পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দিন।

অভিযানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইসক্রিম তৈরি, অনুমোদনহীন ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়ক ব্যবহার করে আইসক্রিম বাজারজাতকরণসহ বিভিন্ন অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনে গোল্ডেন আইসক্রিম কারখানাকে এক লাখ টাকা এবং বিসমিল্লাহ আইসবার কারখানাকে এক লাখ টাকাসহ মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং কারখানা দুইটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।ক

একই সাথে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল দিয়ে নোংরা পরিবেশে প্রস্তুতকৃত আইসক্রিম গুলো জব্দ করে বিনষ্ট করা হয়।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলাউদ্দিন বলেন, জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;