করোনাকালে সাধারণ রোগীর চিকিৎসার কী হবে?

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


সাদিয়া কানিজ লিজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রতীকী

প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

“আমার ছোট চাচা গতকাল রাতে অসুস্থ হয়ে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল/ক্লিনিক ঘুরে ডাক্তার না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় আজ রাত ১২টা ২০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন... তার এ মৃত্যুর জন্য কে দায়ী? করোনা? বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থা না কতিপয় দায়িত্বহীন ডাক্তার?”

নিজের ফেসবুক পোস্টে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে কষ্টের কথা প্রকাশ করেছেন নাসিম বানু শ্যামলী নামে এক ভুক্তভোগী।

শুধু তিনিই নন, যাদের অভিযোগ করার জায়গা নেই তারা অনেকেই ফেসবুকে এভাবে আক্ষেপ প্রকাশ করছেন। ভুক্তভোগ এসব মানুষ জানেন না এ ঘটনায় কাকে দায়ী করবেন। তবে সমন্বয়হীনতার কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। সেই সাথে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আর্তি জানিয়েছেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণ খানের এক বাসিন্দা জানান, তার মা জ্বর নিয়ে রাজধানীর ৭-৮টি বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে ঢাকা মেডিকেলের আইসোলেশনে মারা যান। নমুনা সংগ্রহের ২৪ ঘণ্টা পর রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। এর আগে ফোন দিয়েছেন অনেকগুলো হাসপাতালে কিন্তু কেউ কোন সারা দেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি মায়ের করুণ মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমি চাই না আমার মায়ের মতো আর কেউ এভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যাক। ঢাকা মেডিকেলে রোগীর প্রতি এত অবহেলা, এমন অব্যবস্থাপনা থাকতে পারে, সেখানে না গেলে জানতেই পারতাম না। নমুনা সংগ্রহের আগেই সেখানকার একজন ডাক্তার একেবারে নিশ্চিত হয়ে বলেছিলেন, আমার মা করোনায় আক্রান্ত। কিন্তু পরে রিপোর্ট নেগেটিভ এলো। কিন্তু ততক্ষণে আমার মা আর নেই।”

ঢাকা মেডিকেলের আইসোলেশনে মারা যাওয়া রোগীর করোনারভাইরাসের নেগেটিভ রিপোর্ট

এর আগে গত ২৯ মার্চ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে রাজধানীর ৫-৬টি হাসপাতাল ঘুরে মারা যান মুক্তিযোদ্ধা আলমাস উদ্দিন। করোনা সন্দেহে চিকিৎসা দিতে অপারগতা জানায় হাসপাতালগুলো। তার সন্তানেরা বাবাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সারাদিন ঘোরার পর শেষে উপায় না পেয়ে মুগদা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ভর্তি করার পরদিনই তার মৃত্যু হয়।

এমন উদাহরণ আছে আরো। চিকিৎসা না পেয়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

সারা বিশ্ব এখন করোনাভাইরাস আতঙ্কে ভুগছে। দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে আক্রান্ত আর মৃত্যুর মিছিল। অন্যান্য দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ২৯৪৮ জন।

করোনা ভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে সাধারণ রোগী এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসা না পাওয়ার সমস্যা বেড়েই চলছে।

তবে স্বাস্থমন্ত্রী জাহিদ মালেক নির্দেশনা দিয়েছেন এমন ঘটনা রোধে যেন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরপরও প্রায় দিনই বিপাকে পড়ছেন সাধারণ রোগীরা। সর্দি-কাশি বা জ্বর নিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে রোগী গেলেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে অপারগতা জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। পরামর্শ দিচ্ছেন সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে। তবে অনেক ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালেও নামমাত্র চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ভুক্তভোগী একজনের ফেসবুক পোস্ট

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, করোনার যে উপসর্গের কথা আমরা বলছি সেটা কমন কিছু উপসর্গ। তবে আমরা টেস্ট করেই কনফার্ম হই রোগীর করোনা হয়েছে কিনা। তবে টেস্ট করে হয়তো উপসর্গ থাকলেও অনেক সময় নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি মানে কিন্তু এই সিজনে এটা ইন্ডিকেট করছে না যে রোগী করোনা আক্রান্ত হয়নি। দুই-তিনদিন পর আবার টেস্ট করলে অনেক সময় আবার পজিটিভ আসে। এই ধরনের কিছু বিভ্রান্তিকর বিষয় আছে।

তিনি বলেন, যাই হোক রোগীর যে উপসর্গ আছে তাতে করোনা না হলেও আমরা তাদের সিমটোমেটিক ম্যানেজমেন্ট দিচ্ছি। যেহেতু এখনো এর নির্দিষ্ট চিকিৎসা বের হয়নি। রোগীর যদি অবস্থা একটু ভালো থাকে তবে আমরা বাসায় রেখেই ট্রিটমেন্ট চালিয়ে যেতে বলি। অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে বলি।

করোনা আক্রান্ত না হলেও অনেকের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হচ্ছে, এসব রোগীকে কিছু কিছু হাসপাতালে চিবিৎসা দেওয়া হচ্ছে না, এ ক্ষেত্রে করণীয় জানতে চাইলে ঢামেক পরিচালক বলেন, শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি হচ্ছে, এমন রোগীকে আমরা বলছি না বাড়ি চলে যেতে। এ্যাজমা, হার্টের সমস্যা হলেও অনেক সময় শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়, এটা ঠিক। শুরুতে আমরা তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করেছিলাম। কিন্তু বর্তমানে যেহেতু করোনা রোগী ভরে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে একটু জটিলতা হতে পারে তাকে সেখানে নেওয়া হবে কি না। কারণ, যে হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না সেখানে উপসর্গ আছে এমন রোগী নেওয়া হলে অন্য রোগীরাও সমস্যায় পড়তে পারে। তারপর হাসপাতালের বিভিন্ন স্টাফ, ডাক্তাররাও ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবেন।

সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, এখন এটা আমাদের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। কারণ, ওই রোগীর মাধ্যমে অন্য রোগী ইফেক্টেড হতে পারে। তাই আমাদের উপায় বের করতে হবে। একজন রোগীর জন্য যেমন আমরা অন্য রোগীর সমস্যা করতে পারি না, তেমনি সেই রোগীকেও ফেলতে পারি না। তবে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে সাসপেক্ট কেসগুলোকে আলাদাভাবে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। সেটা নিয়েই আমরা কাজ শুরু করেছি। দুই একদিনের মধ্যেই হয়তো এই ধরনের রোগীদের ভালোভাবে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।

   

রংপুরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর মহানগরীতে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলা থেকে পড়ে আনারুল ইসলাম (২৭) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শ্রমিক নগরীর নজিরেরহাট চন্দনপাট এলাকার বাসিন্দা।

সোমবার (১৩ মে) সকালে নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের করণজাই রোড নিউ সেনপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের সহকর্মী শ্রমিক রুবেল, মোস্তাফিজ ও নাসির জানান, আমরা ওই ভবনে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করছি। অন্যদিকের মতো আজকেও কাজ করছিলাম। হঠাৎ একটা বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে নীচে নেমে দেখি আনারুল পড়ে আছে। বালুর বস্তা উঠা নামা করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাবুবার রহমান মঞ্জু। এসে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।

দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ভবন মালিকদের কেউই উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গেছে। ভবনটি স্থানীয় কয়েকজনের যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ্ আলম বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে এই বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।তবে অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

রংপুরে  চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার ৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে  চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ৭

রংপুরে  চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ৭

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর নগরীতে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করার সময় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে রোববার (১২ মে) রাতে নগরীর পরশুরাম থানাধীন বুড়িরহাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থান এলাকার ফজলুল হকের ছেলে নাইমুল হক নাঈম (৩০),  গনেশপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে ওয়াদুদ আলী (৩৩), গুড়াতি পাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে ইকবাল হোসেন (৪০), মুন্সিপাড়া মমদেল কমিশনারের গলির তরিকুল ইসলামের ছেলে সোহানুর রহমান সোহান (২৬), দেওডোবা ডাঙ্গীরপাড় এলাকার দিলদার হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন কাকন (২৭), রাধাবল্লভ এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে জুবায়ের আলম সিদ্দিকী (৩০) এবং কেরানীপাড়া স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার মৃত আফসার আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩৩)। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন গুড়াতিপাড়ার মৃত আবু তালেবের ছেলে তৌহিদ (৩০)।

তাজহাট থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, তাজহাট থানাধীন আশরপুর সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মেইন গেটের পশ্চিম পাশে হাফিজ আল আসাদ নামে এক ব্যক্তি তার নিজস্ব জমিতে ভবন নির্মাণ করছেন। শনিবার (১১ মে) বিকেলে অভিযুক্তরা সেখানে গিয়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং বিভিন্ন হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে আসেন। এ ঘটনায় হাফিজ আল আসাদ থানায় অভিযোগ দিলে কোতোয়ালি ও পরশুরাম থানা পুলিশের সহায়তায় রোববার রাতে বুড়িরহাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় তৌহিদ নামে একজন পলাতক রয়েছেন।

ওসি আরও বলেন, অভিযুক্তরা নিজেদের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে: স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অটিজম একটি বিশেষায়িত বিষয়, সমাজের সকলকে এ বিষয়ে সচেতন করতে যথাযথ প্রচারণা চালাতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি।

সোমবার (১৩ মে ) সকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের স্কুল 'ব্লু স্কাই' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে শিশুদের অধিকার সংরক্ষণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু শিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের জন্য সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করে চলেছেন এবং তিনি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছেন।

স্পিকার বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন প্রতিটি শিশুকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে। তাদের প্রতিভা ও মেধাকে বিকশিত করার সুযোগ করে দিতে হবে। সমাজের সকলকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক মানবিক সমাজ গঠনে সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। এসময় তিনি অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে কাজ করার জন্য সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলকে এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য 'ব্লু স্কাই' স্কুল নির্মাণের জন্য বিমানবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।

পরবর্তীতে স্পীকার 'কবিতায় মুজিব' ও 'বঙ্গমাতা' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং 'ব্লু স্কাই' স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এসময় স্পীকারকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান এবং ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু জাফর চৌধুরী (অবসরপ্রাপ্ত) বক্তব্য প্রদান করেন। বাফওয়া কেন্দ্রীয় পরিষদের সভানেত্রী তাহমিদা হান্নান, বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

টাঙ্গাইলে গরুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সড়ক দিয়ে হেঁটে বাড়ি যাওয়ার সময় গরুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের কনস্টেবল নিহত হয়েছে।

নিহত পুলিশ সদস্য আলাউদ্দিন খান উপজেলার অর্জুনা গ্রামের মৃত মাজম আলীর ছেলে।

সোমবার (১৩ মে) বেলা ১১টার দিকে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের উপজেলার অর্জূনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, নিহত আলাউদ্দিন স্থানীয় অর্জুনা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সড়কের পাশ দিয়ে বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় গরুবাহী ট্রাক তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে সে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হয়ে সড়কের উপর পরে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে টাঙ্গাইল যাওয়ার পথেই তিনি মারা যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. খাদেমুল ইসলাম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্ল্যাহ জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য তার জানা নেই।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;