যা হওয়ার কথা ছিল, তাই কিন্তু হচ্ছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষকদের আবিষ্কৃত করোনা টেস্টিং কিটটি যাচাই করা হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আগামী শনিবার (২ মে) কিটের ট্রায়াল চালানোর বিষয়ে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ বসবে। আশা করি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ হবে এবং আগামী মাসের মধ্যে আমরা দেশবাসীকে সুখবর দিতে পারব।
তিনি আরো জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ঔষধ প্রশাসন থেকে তাদের চিঠি দিয়ে বিএসএমএমইউতে কিট পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এজন্য তিনি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী এটাই জানিয়েছেন, করোনা টেস্টিং কিট যাচাইয়ের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে (বিএমআরসি) ৫০ হাজার টাকা ফি দিয়ে আবেদন করতে হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ইতোমধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। এটাই কিন্তু স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটাই হওয়ার কথা।
গত ২৮ এপ্রিল, মঙ্গলবার এই কলামে 'করোনার কিটে রাজনীতির কীট' শিরোনামে লেখায় ঠিক এই প্রক্রিয়াটার কথাই বলা হয়েছিল এবং এখন সেটাই হচ্ছে। মাঝখানে জল অনেক ঘোলা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, জলটা ঘোলা করল কে?
গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা যাচাই আইসিডিডিআর'বি বা বিএসএমএমইউতে হবে, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এমন একটি লিখিত অনুমতির খবরে গোটা জাতি এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।
মজার ব্যাপার হলো এই অনুমোদন কিন্তু বৃহস্পতিবার নয়, রোববার হয়েছে। রোববার কিটের আবিষ্কারক দলের দলনেতা ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে যান। তাদের মধ্যে দুজন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সাথে দুই ঘণ্টা কথা বলে কিটের কার্যকারিতা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেন। সে বৈঠকে আইসিডিডিআর'বি এবং বিএসএমএমইউতে যাচাইয়ের ব্যাপারে আলোচনা হয়। তবে আইসিডিডিআর'বি লকডাউন থাকায় বিএসএমএমইউতে যাচাই করার ব্যাপারে দুইপক্ষ সম্মত হয়। এই বৈঠকের ব্যাপারে ড. বিজন কুমার শীলই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। বিএসএমএমইউতে কিটের কার্যকারিতা যাচাই হবে, রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় ঔষধ প্রশাসন থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ড. বিজন কুমার শীলের দল বেড়িয়ে আসার ৩০ মিনিট পর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা করা, ব্যবসায়িক কারণে গণস্বাস্থ্যের কিট গ্রহণ না করার অভিযোগ আনেন। সেই সংবাদ সম্মেলনে ড. বিজন কুমার শীলও উপস্থিত ছিলেন। হয়তো ভদ্রতার কারণে তিনি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মুখের ওপর কোনো প্রতিবাদ করেননি। তবে পরে মিডিয়াতে তিনি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অভিযোগের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন।
সরকার গণস্বাস্থ্যের কিট গ্রহণ করেনি, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এই অভিযোগের ব্যাপারে ড. বিজন বলেছিলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর তো স্যাম্পল নেয় না। তারা বলে দেবে সেই স্যাম্পল কোথায় দিতে হবে। এই যে কোথায় দিতে হবে, এই ফয়সালা কিন্তু রোববারই হয়েছে। যাচাই বিএসএমএমইউতে হবে, রোববার এই সিদ্ধান্তের পর জাফরুল্লাহ চৌধুরী সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছিলেন। বৃহস্পতিবার সেই একই সিদ্ধান্তের জন্যই ধন্যবাদ দিচ্ছেন। পাঁচ দিনের মধ্যে কী এমন ঘটল?
অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর একই সিদ্ধান্ত পাঁচ দিনের ব্যবধানে দুইবার দিল কেন? আর এই যাচাই শুরু হতে শনিবার পর্যন্ত লাগছে কেন? এই এক সপ্তাহ দেরির দায় কার? নির্মোহভাবে বললে, এই দায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের। কিট আবিষ্কারের পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রথম ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে যায় রোববার। সেদিনই অধিদপ্তর বিএসএমএমইউতে যাচাইয়ের মৌখিক অনুমতি দিয়ে দেয়। এরপরের দায়িত্ব ছিল গণস্বাস্থ্যের। নিয়ম মেনে বিএমআরসি নির্ধারিত অঙ্ক জমা দিয়ে আবেদন করা। সেটা করার পরই তারা যাচাইয়ের জন্য অধিদপ্তরের লিখিত অনুমতি পেয়েছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র চাইলে পুরো প্রক্রিয়াটা এক সপ্তাহ কমিয়ে আনতে পারত।
২৫ এপ্রিল শনিবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠান করে। এটি স্পষ্টতই ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেয়া। যাচাই হওয়ার আগেই কিট নিয়ে মিডিয়ার সামনে হাজির হয়ে যাওয়াটা অবশ্যই একটা রাজনৈতিক চাল। এ প্রসঙ্গে পরে আসছি, আগে একটু ভাবুন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র যদি শনিবার মিডিয়া ট্রায়ালে না গিয়ে সকালেই ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে যেত এবং বিএমএমএমইউতে যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে সেদিনই বিএমআরসিতে টাকা দিয়ে আবেদন করত, তাহলে পর দিন রোববারই যাচাই শুরু করতে পারত, যেটা এখন শুরু হচ্ছে শনিবার।
যাচাইয়ের অনুমতি দেয়া ছাড়া এ পর্যায়ে অধিদপ্তরের আর কিছুই করার নেই। সেটি দিতে তারা এক সেকেন্ডও দেরি করেনি। রোববার ড. বিজন কুমার শীল যাওয়ার সাথে সাথেই সে সিদ্ধান্ত পেয়ে যান। আসলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র শর্টকাট উপায়ে যেতে চেয়েছিল, তৃতীয় পক্ষের যাচাই প্রক্রিয়ায় যেতে চায়নি। সে জন্য জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কৌশল সরকারকে মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়ালে ফেলে দেয়। কিন্তু যে বা যারাই বানাক; যথাযথ যাচাই ছাড়া যে এ ধরনের কিটের অনুমোদন দেয়া সম্ভব না এবং উচিতও না, তা বুঝতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এক সপ্তাহ লেগেছে। দেরি যেটুকু হয়েছে, তা এখানেই; সরকারি কোনো লাল ফিতার কবলে পড়েনি।
এই কিট আবিষ্কারে নেতৃত্ব দিয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এবং এ ধরনের কিট আবিষ্কারে পূর্ব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ড. বিজন কুমার শীল। তিনি এ ধরনের আন্তর্জাতিক প্রজেক্ট ডিল করার অভিজ্ঞতা দিয়ে বোঝেন, সব ঠিক পথেই এগুচ্ছে। এই প্রকল্পের শুরু থেকেই ড. বিজন সরকারের বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ রেখেছেন। কিন্তু তিনি যখন বলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর তো স্যাম্পল নেয় না। তারা দেখিয়ে দেবে সেই স্যাম্পল কোথায় দিতে হবে, তখন আমরা তার কথা বিশ্বাস করি না। কিন্তু এই প্রকল্পের সাথে যার শুধু প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ, সেই জাফরুল্লাহ চৌধুরী যখন বলেন, ব্যবসায়িক কারণে সরকার আমাদের কিট নেয়নি- আমরা সেটা বিশ্বাস করে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। 'সরকার গণস্বাস্থ্যের কিট নেয়নি' এই বাক্যটি যেন জনগণের ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলেছে। আগুনটাও জ্বালিয়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরীই আগের দিন হস্তান্তর অনুষ্ঠান করে। সে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা আসেননি। এই করোনা দুর্যোগের সময় দেশের বিজ্ঞানীরা একটি কিট আবিষ্কার করেছেন, আর সরকারের কারো সেটি গ্রহণ করতে আসার সময় নেই; এটাই মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে। ক্ষুব্ধ করারই কথা। কিন্তু যাচাই না হওয়া একটি কিট গ্রহণ করতে মন্ত্রী বা ডিজির সুযোগ নেই, উচিতও নয়।
সরকার গ্রহণ করতে আসেনি এবং সরকার গ্রহণ করেনি; পরপর দু’দিন এই দু’টি ধারণা বোমা মেরে সরকারকে একেবারে নাস্তানাবুদ করে দেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি একজন ডাক্তার, অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা, বিশুদ্ধ দেশপ্রেমিক। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কারে তার অপরিসীম অবদান। কিন্তু মানতে হবে, তিনি একজন চতুর রাজনীতিবিদও। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার সুযোগটি তাই তিনি হাতছাড়া করেননি। তার কৌশলের চাল দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি এবং আমি মনে করি না, এটা অন্যায়। এটা স্রেফ সুযোগের সদ্ব্যবহার। যদি সাধারণ প্রক্রিয়ায় গণস্বাস্থ্যের কিটটি অনুমোদন পেত, তাহলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সরকার বিশাল মাইলেজ পেতে পারত। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মাঝে একটু টুইস্ট করে সরকারকে নেগেটিভ মাইলেজের ফাঁদে ফেলে দেয়। এমন ফাঁদে আওয়ামী লীগ শেষ কবে এমন বিপাকে পড়েছে, কেউ মনে করতে পারবে না। সেয়ানে সেয়ানে লড়াই দেখার মজাই আলাদা।
গত ১২ বছরে রাজনৈতিক কৌশলে বারবার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করেছে আওয়ামী লীগ। এই প্রথম তাকে শোচনীয়ভাবে হারতে দেখে মজাই লাগছে। ১২ বছরে বর্তমান সরকার দুই বার ধারণা বোমায় ঘায়েল হয়েছে। একবার ২০১৩ সালের ৫ মে। অনেক মানুষ এখনও বিশ্বাস করে, সে রাতে হাজার হাজার মানুষ মেরে সরকার সিটি করপোরেশনের ট্রাক দিয়ে লাশ সরিয়েছে। আর এবার করোনা টেস্টিং কিট আবিষ্কারের শুরু থেকেই সর্বাত্মক সহায়তা দিয়েও সরকারকে সইতে হলো গালি।
আসলে আমি মনে করি, মানুষের ক্ষোভের কারণ শুধু কিট নয়, আরো অনেক পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছে। করোনা মোকাবিলায় সরকারের বহুবিধ ব্যর্থতায় মানুষ ক্ষুব্ধ ছিল। সরকার বিমান বন্দরে প্রবাসীদের যথাযথ চেক দিতে পারেনি, একটা ভালো কোয়ারেন্টাইন (সঙ্গরোধ) সেন্টার বানাতে পারেনি, টেস্ট করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করতে পারেনি, চিকিৎসার ভালো ব্যবস্থা করতে পারেনি। মুজিববর্ষে আতশবাজি ঠেকাতে পারেনি, যথাসময়ে ছুটি দেয়নি, ছুটির পর মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, লকডাউন কার্যকর করতে পারেনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাখো মানুষের জানাজা ঠেকাতে পারেনি, বাজারে সমাগম ঠেকাতে পারেনি, ধানকাটার নামে ফটোসেশন ঠেকাতে পারেনি, এন-৯৫ মাস্কের দুর্নীতি এবং সে কারণে ডাক্তারদের ঝুঁকির মুখে ফেলা ঠেকাতে পারেনি, এন-৯৫ মাস্ক কেলেঙ্কারির প্রতিবাদকারীদের ওএসডি হওয়া ঠেকাতে পারেনি, সারাদেশে করোনার বিস্তার ঠেকাতে পারেনি। এত সব না পারার মধ্যে সরকার গণস্বাস্থ্যের কিট নেয়নি' এই একটি অভিযোগই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
গণস্বাস্থ্য যেমন তৃতীয়পক্ষের যাচাই ছাড়াই কিটটি অনুমোদন করাতে চেয়েছিল, মানুষও যাচাই ছাড়াই জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অভিযোগ বিশ্বাস করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। সত্য হোক, মিথ্যা হোক; মানুষ আসলে এ ধরনের একটা অভিযোগ বিশ্বাস করার জন্য মুখিয়ে ছিল। আর সরকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের বিশ্বাস করা এবং সরকারকে গালি দেয়ার মধ্যে একটা বেশ তৃপ্তি আছে। নিজেকে বেশ বিপ্লবী বিপ্লবী লাগে। করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতার তালিকা অনেক লম্বা, চাইলে আরো লম্বা করা যাবে। কিন্তু গণস্বাস্থ্যের কিট ইস্যুতে সরকারের কোনো গাফিলতি, ব্যর্থতা, কালক্ষেপণ অনেক খুঁজেও আমি পাইনি। একবারও সরকারের কেউ বলেনি, আমরা কিট নেব না। আসলে এই না বলাটাই সরকারের পরাজয় নিশ্চিত করেছে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী একাই ব্যাটিং করেছেন। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ডিজি সোমবার একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। তাতে তিনি বারবার জানিয়েছেন, তারা শুরু থেকেই গণস্বাস্থ্যের সাথে ছিলেন এবং আছেন। এটিই সরকারের একমাত্র অবস্থান। সরকার কেন জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে একা মাঠে খেলতে দিল, জল ঘোলা করতে দিল, জানি না।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অভিযোগ ছাড়াও রোববারের সংবাদ সম্মেলনে ড. ফিরোজ আহমেদের আবেগঘন আকুতি মানুষ লুফে নিয়েছে। তার কথা শুনে মনে হচ্ছিল, তারা সরকারের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে আর উপায় না পেয়ে মিডিয়ার কাছে এসেছেন। সেদিন তিনি অনেকটা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছিলেন, এই টেবিলে এক ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই এই কিটের কার্যকারিতা যাচাই করা সম্ভব। কিন্তু আজ ড. ফিরোজের ওস্তাদ জাফরুল্লাহ চৌধুরী দাবি করছেন, যাচাই শেষ হতে ১০ দিন সময় লাগবে। আমি কাকে বিশ্বাস করব?
রাজনীতির খেলা নিয়ে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই। আমরা চাই রাজায় রাজায় যুদ্ধে যেন উলুখাগড়া, মানে জনগণের প্রাণটা না যায়। করোনা টেস্টের নামে যে তেলেসমাতি চলছে, তাতে গণস্বাস্থ্যের কিটের মত একটি সস্তা ও সহজলভ্য কিট এখন সবচেয়ে বেশি দরকার। অভিযোগে অভিযোগে মূল্যবান এক সপ্তাহ চলে গেছে। আর যেন এক মুহূর্তও নষ্ট না হয়। প্রার্থনা করি, গণস্বাস্থ্যের কিট নিয়ে বিএসএমএমইউ রিপোর্ট যেন ইতিবাচক হয়। যাতে সেটি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিবন্ধন পেয়ে দ্রুত বাজারে আসতে পারে। মানুষ যাতে একটু স্বস্তি পায়।
প্রভাষ আমিন: হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ