অক্টোবরে পুরোদমে চালু হচ্ছে এলএনজি

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 15:27:40


  • জাতীয় গ্রিড থেকে আর গ্যাস আসবে না- কেজিডিসিএল


চট্টগ্রামে অক্টোবর থেকে আর জাতীয় গ্রিডের কোনো গ্যাস আসছে না। তরলায়িত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) দিয়েই পূরণ হবে চট্টগ্রামের চাহিদা। গত ১৮ আগস্ট থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু হওয়ার পর প্রথমদিকে দিনে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে গ্যাস সরবরাহ করা হতো। গত সোমবার থেকে তা বেড়ে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট করা হয়েছে। আগামী মাসের শেষের দিকে তা ৫০০ মিলিয়নে উন্নীত হবে।

এবিষয়ে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী খায়েজ আহমেদ মজুমদার বলেন, এলএনজি সরবরাহের বিধিমালা অনুযায়ী প্রথমদিকে যে পরিমাণ সরবরাহ করা হয়েছে গত সোমবার থেকে তা বাড়ানো হয়েছে। এখন দিনে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে নগরীতে বর্তমানে প্রায় ৩৩০-৩৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে।

বাকি গ্যাস কবে নাগাদ সরবরাহ করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাফকো ও সিইউএফএলের জন্য পৃথক গ্যাস সঞ্চালন লাইন বসানো হচ্ছে। আর তা করা গেলে আগামী মাসের শেষ নাগাদ এলএনজি থেকে দিনে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস নেয়া যাবে। তখন জাতীয় গ্রিড থেকে আর কোনো গ্যাস নগরীতে প্রবেশ করবে না।

দিনে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের লক্ষ্যে মহেশখালীর সাগর বক্ষে স্থাপন করা হয় ভাসমান এফএসআরইউ (Floating Storage and Regasification Unit)। উপকূল থেকে সাগরের দিকে চার কিলোমিটার দূরে স্থাপন করা সেই এফএসআরইউ থেকে নগরীতে এলএনজি সরবরাহ শুরু হয় ১৮ আগস্ট। ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহের সক্ষমতা থাকলেও এখনো তা পুরোদমে সরবরাহ করা হচ্ছে না। এদিকে গত ২৪ এপ্রিল ১ লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার এলএনজি নিয়ে এক্সিলারেট জাহাজটি আসার পর দীর্ঘদিন ধরে এলএনজি জাহাজটির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এই জাহাজের গ্যাস শেষ হওয়ার পর আরেকটি জাহাজে করে আসা এলএনজি এক্সিলারেটে দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল গত সোমবার।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী গ্যাসের  ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স) অনুপম দত্ত বলেন, দ্বিতীয় দফায় জাহাজটি ১ লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার এলএনজি নিয়ে গত সোমবার এক্সিলারেট জাহাজটিতে গ্যাস প্রবেশ করে ফিরে চলে যায়। এভাবে একটি শেষ হয়ে গেলে আরেক জাহাজে করে চলে আসবে এলএনজি।

কর্ণফুলী গ্যাস সূত্রে জানা যায়, নগরীতে প্রতিদিন প্রায় ৫৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন থাকলেও এতোদিন সরবরাহ করা হতো ১৮০ থেকে ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট। চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাসের কোনো ক্ষেত্র না থাকায় পুরোটাই জাতীয় গ্রিড থেকে আনতে হতো। এতোদিন চট্টগ্রামে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস দেয়া যায়নি বলে শিল্পায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। এখন আর এই শঙ্কা নেই। এখন ধীরে ধীরে চট্টগ্রামে গ্যাসের পরিমাণ বাড়বে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর