বাল্যবিবাহ জরায়ু মুখের ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, এনজিওর পাশাপাশি সরকারের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগে ক্যান্সার দূরীভূত করা সম্ভব। সচেতনতা বৃদ্ধি, বাল্যবিবাহ বন্ধ করা, স্ক্রিনিং করা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ বেশকিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জরায়ু মুখের ক্যান্সার সচেতনতা দিবস-২০১৯ উপলক্ষে মার্চ ফর মাদার আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় তারা এসব পরামর্শ দেন।
’বাল্যবিবাহকে জোর না’ প্রতিপাদ্যে এবারের জরায়ু মুখের ক্যান্সার সচেতনতা দিবস-২০১৯ পালিত হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গায়নী অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাবেরা খাতুন বলেন, তিন ধাপে আমরা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারি। প্রথমত, ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সী সকল মেয়েদের টিকা দিতে হবে। একই সঙ্গে ছেলে মেয়ে, নারী পুরুষ সকল বয়স-শ্রেণী-পেশার লোকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ৩০ থেকে ৬০ বছর বয়সী নারীদের স্ক্রিনিং এর মাধ্যমে পরীক্ষা করাতে হবে। এটি প্রতি ৩ বছর পর পর করাতে হবে। এবং সর্বশেষ ৬০ বছরের উপরে বা ৪০ বছরের উপরে যারা প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার আক্রান্ত তাদেরকে নানা আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করতে পারি।
হিসটোপ্যাথোলজিস্ট অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ১৬ বছর বয়সের আগে শারীরিক সম্পর্ক ঝুঁকিপূর্ণ। অথবা প্রথম মাসিকের পরবর্তী ১ বছরের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কে আবদ্ধ মেয়েরা সবচেয়ে বেশি ক্যান্সার ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বাল্যবিবাহ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
মার্চ ফর মাদার এর প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের ক্যান্সার ইপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন রোটারি ইন্টারন্যাশনাল গভর্নর রোটারিয়ান এএফএম আলমগীর, প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ হেলথ ইকোনমিক্স বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ, ডিএমসিএইচ এর রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক স্বপন বন্দোপাধ্যায়, অপরাজিত সোসাইটি অ্যাগেইনিস্ট ক্যান্সার এর চেয়ারপারসন তাহমিনা গাফফার প্রমুখ।