স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন, সর্পদংশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, রোগীকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। অনতিবিলম্বে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে এক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, সর্পদংশনের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা খুবই জরুরি। রোগীকে হাসপাতালে আনতে যাতে দেরি না হয়, সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
শনিবার (২২ জুন) অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে সারাদেশের সিভিল সার্জন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, বিভাগীয় পরিচালক, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকসহ দেশের সব স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সভায় মিলিত হন।
এ সময় তিনি সবাইকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ ও কর্মকর্তাদের বেশ কিছু জরুরি নির্দেশনা প্রদান করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, বিভাগীয় পরিচালকদের সঙ্গে সর্পদংশন ও রাসেল'স ভাইপার নিয়ে কথা বলেন এবং সামগ্রিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। সেইসঙ্গে দেশের সব হাসপাতালে পর্যাপ্ত এন্টিভেনম মজুত রাখার এবং কোনো অবস্থাতেই এন্টিভেনমের স্টক খালি না থাকার নির্দেশ দেন তিনি।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, রাসেল'স ভাইপার নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি জনগণকে বলবো, আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। রাসেল'স ভাইপারের যে এন্টিভেনম, সেটা আমাদের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত মজুত আছে। আমি পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছি, কোনো অবস্থাতেই এন্টিভেনমের ঘাটতি থাকা যাবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সর্পদংশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, রোগীকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। অনতিবিলম্বে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে এক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব।
এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করার জন্য প্রচার প্রচারণার ওপর জোর দেন তিনি। এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের নিজ নিজ এলাকার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করারও তাগিদ দেন।
সভায় স্বাস্থ্যসেবা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো.জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ডা. রুবেদ আমিনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রাসেল’স ভাইপার স্থানীয়ভাবে ‘চন্দ্রবোড়া’ বা ‘উলুবোড়া’ সাপ নামেও পরিচিত। চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়ার বৈজ্ঞানিক নাম- Daboia russelii। ভাইপারিডি পরিবারভুক্ত ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম বিষধর সাপ এবং উপমহাদেশের প্রধান চারটি বিষধর সাপের একটি চন্দ্রবোড়া।
১৭৯৭ সালে জর্জ শ এবং ফ্রেডেরিক পলিডোর নোডার প্যাট্রিক রাসেল ১৭৯৬ সালে ‘অ্যান অ্যাকাউন্ট অব ইন্ডিয়ান সারপেন্টস, কালেক্টেড অন দ্য কোস্ট অব করোমান্ডেল বইয়ে ‘চন্দ্রবোড়া’ সম্পর্কে লিখেছিলেন এবং তার নাম অনুসারে এটি রাসেল’স ভাইপার নামেও পরিচিত।