৪৫ বছর বয়সী পল। তিনি কানে শুনতে পান না (বধির), একই সঙ্গে জটিল মস্তিষ্কজনিত রোগে আক্রান্ত। পল এই প্রথম কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পেরেছেন। তাও সেটি আবার যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বাছাই করার ভোট।
পল লন্ডন ফরেস্টেরে শহর ওয়ালথামস্টোর একটি কেয়ার হোমের বাসিন্দা। কেয়ার হোমটি পরিচালক ক্যারোলিন ল্যাম্বওয়ে সর্বপ্রথম তাদের সদস্যদের ভোট দেওয়ার বিষয়টি আমলে নেন।
পল স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার যোগাযোগ করতে পারেন না। তাই ভোট দেওয়ার সময় তার বোঝার সুবিধার্থে দলীয় প্রতীকের সঙ্গে প্রার্থীর ছবি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ছবি দেখে তিনি পছন্দের প্রার্থী বাছাই করেন।
কেয়ার হোমের পরিচালক ক্যারোলিন ল্যাম্বওয়ে বলেন, ‘আমরা চাই যারা এখানে বাসবাস করে তারাও নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। প্রতিবন্ধী বলে আমরা তাদেরকে পিছিয়ে রাখতে চাই না। তিনি আরও বলেন, ‘পলের মতো লোকরা যখন ব্যালট বাক্সে তাদের ভোট দিতে পারে তখন গর্ববোধ হয়। অন্য প্রতিবন্ধীদের ভোট দিতে দেখে বিস্মিত হয়।’
পল স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার যোগাযোগ করতে পারেন না। তাই তার বোঝার সুবিধার্থে দলীয় প্রতীকের সঙ্গে প্রার্থীর ছবি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ছবি দেখে তিনি পছন্দের প্রার্থী বাছাই করেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল সাতটা থেকে যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। লন্ডন সময় রাত ১০টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। বিবিসির খবর।