মুহাররমকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য নাশকতা এড়াতে ছয় দিনের জন্য সোস্যাল মিডিয়া বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করেছে পাকিস্তান। এনডিটিভি জানিয়েছে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ।
উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানের শিয়া মুসলমানরা মহানবীর নাতিদের শাহাদাত দিবস পালনের জন্য বড় সমাবেশ করে থাকে।
মুসলমানরা মহানবীর নাতিদের শাহাদাতকে অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে পালন করে থাকে এবং শিয়া মুসলমানরা মুহাররমের প্রথম দশ দিন সমাবেশ করে, যা মুহাররম মাসের ৯ ও ১০ তারিখে বিশাল মিছিলে পরিণত হয়।
এদিকে, শিয়াদের সঙ্গে সুন্নি মুসলমানদের একটি ঐতিহাসিক ধর্মতাত্ত্বিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে এবং পাকিস্তানের চরমপন্থী সুন্নি গোষ্ঠীগুলো তাদের বিধর্মী হিসাবে ফতোয়া দিয়ে থাকে।
শিয়াদের মুহাররমের সমাবেশে তাই প্রায়ই বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। অতীতে এরকম অসংখ্য হামলার সাক্ষী হয়েছে পাকিস্তান।
জঙ্গিদের মধ্যে যোগাযোগ ব্যাহত করার জন্য পাকিস্তানের সরকার ঐতিহ্যগতভাবে মুহাররমের সময় বিস্তৃত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
এবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রোধ করতে ভুল তথ্য ছড়ানো এবং ঘৃণাত্মক হামলা নিয়ন্ত্রণ করতে ৬ জুলাই থেকে ১১ জুলাই সোশ্যাল মিডিয়া প্রবেশাধিকার স্থগিত করার আবেদন করেছে পাঞ্জাব সরকার।
চলতি সপ্তাহে পাঞ্চাবের প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্র বিভাগ দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি চিঠির মাধ্যমে, ‘প্রদেশগুলোতে ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে স্থগিত করার সুপারিশ করেছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৫ জুন) অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঞ্জাব সরকারের অনুরোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহহবাজ শরীফ এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রবিবার বা সোমবার মুহাররম মাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।