ভারত ও যুক্তরাজ্য ‘মুক্ত ব্যবসায় চুক্তি’ (ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট- এফটিএ) নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে রাজি বলে জানা গেছে। যুক্তরাজ্যের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
শনিবার (৬ জুলাই) ভারতের বার্তাসংস্থা এএনআই এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারকে ফোন করেন।
এসময় নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় স্টারমারকে অভিনন্দন জানান এবং তাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অফিস (পিএমও) থেকে এক বার্তায় জানানো হয়, দুই দেশের নেতার মধ্যে আলোচনায় ‘সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ (কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ-সিএসপি) বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসময় দু’জনই সিএসপি বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন এবং এ বিষয়ে কাজ করতে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
টেলিফোন আলাপকালে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার সেদেশে প্রবাসী ভারতীয়রা সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে যে অনেক অবদান রেখেছেন, তা উল্লেখ করে প্রবাসী ভারতীয়দের প্রতি অভিবাদন জানান।
টেলিফোন আলাপকালে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধন আরো দৃঢ় করার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার প্রকাশ করেন ভারত ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের পর ২০২৪ সালের যুক্তরাজ্যের সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের নির্বাচনে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে লেবার পার্টি।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার পেশায় একজন ব্যারিস্টার ছিলেন। তার বাবা ছিলেন একজন খনি শ্রমিক আর মা ছিলেন নার্স। খনিশ্রমিক ‘কিয়ের’-এর নাম অনুসারে স্টারমারের ‘কিয়ের’ নাম রাখা হয়। প্রথম জীবনে কিয়ের স্টারমার একজন কট্টরপন্থি বাম রাজনীতিবিদ ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি মধ্য বামপন্থি হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তোলেন।