নেপালে প্রবল বন্যা ও ভূমিধসে ১১ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৮ জন বন্যার তোড়ে ভেসে গেছেন কিংবা ভূমিধসে চাপা পড়েছেন। এছাড়া আরো ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (৭ জুলাই) যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম গালফ টুডে এ খবর জানায়।
নেপাল পুলিশের মুখপাত্র দান বাহাদুর কার্কির বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ সরাতে ভারী যন্ত্র ব্যবহার করছেন।
বাহাদুর কার্কি জানান, ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারের থেকে আসা বন্যার পানির কারণে কোশি নদীর স্রোত বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর কারণে দক্ষিণ নেপালে প্রতি বছরই বন্যা এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
এদিকে, সুনসারি জেলার বেড রাজ বলেন কোশি নদীর পানির প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে এলাকাবাসীর উদ্দেশে আগেই সতর্ক বার্তা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, সকাল নয়টার দিকে খুশি নদীর প্রবাহের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৭৯ হাজার কিউসেক। কিন্তু স্বাভাবিক সময় এক লাখ ৫০ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহিত হয়।
এদিকে, কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বন্যার পানির প্রবাহের তোড়ে কোশি নদীর ৫৬টি স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক সময় সাধারণত ১০ থেকে ১২টা গেট খুলে রাখা হয়।