ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা অভিশংসন তদন্ত দিনকে দিন আরও জল ঘোলা হচ্ছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) ডেমোক্র্যাটরা এক গণশুনানিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তোলা এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য-প্রমাণ দিয়েছেন।
সেখানে ডেমোক্র্যাটরা বলেন, ট্রাম্প তার নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিতর্কিত করেছেন ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে।
তবে এখানেই শেষ নয়, ট্রাম্পকে নিয়ে এ যাবৎ পর্যন্ত করা সবচেয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্যটি করেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দ্য ওয়াশিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে।
পেলোসি অকাট্য ভাষায় বলেন, ট্রাম্প শুধুমাত্র ইউক্রেন ইস্যুতে জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে বলেননি। তিনি এই তদন্তের বিনিময়ে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। যেটা সোজা কথায় ‘ঘুষ লেনদেন’ বোঝায়। নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ট্রাম্প তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ করেই ক্ষান্ত ছিলেন না। তিনি প্রলোভন দেখিয়েছেন সামরিক সহায়তা দেওয়ার। যেটি ঘুষের নামান্তর। শুধু তাই নয়, রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কংগ্রেস কর্তৃক অনুমোদিত অর্থ পরে ইউক্রেনকে সরবরাহ করা হয়েছিল বলেও প্রমাণ দেখিয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) অভিশংসন ইস্যুতে গণশুনানির পরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন ন্যান্সি পেলোসি।
যদিও এই সব তদন্তের বিষয়ে আনা অভিযোগকে অস্বীকার করেছনে ট্রাম্প। তবে তিনি এটি অস্বীকার করবেন, এটাই স্বাভাবিক। কারণ যেটির জন্য ট্রাম্প ইউক্রেনকে চাপ দিয়েছিলেন, অর্থাৎ ন্যান্সির ভাষায় ‘ঘুষ’ দিয়েছেন, সেটি হলো ‘ক্ষমতা’। যা তিনি এখন হারাতে বসেছেন।
পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজেকে হোয়াইট হাউসের ভূস্বর্গ বনে আবারও বসানোর স্বপ্ন এখন অধরা বলতে গেলেই চলে। কারণ বর্তমানে ট্রাম্প শুধু নিজের নয়, ক্ষমতার অস্তিত্ব সংকটেও ভুগছেন।
আর যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী- বেশ কিছু অপরাধের জন্য প্রেসিডেন্টকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া, অর্থাৎ তাকে ইমপিচ করা যেতে পারে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- রাষ্ট্রদ্রোহিতা, ঘুষ নেওয়া অথবা অন্য কোনো বড় ধরনের কিংবা লঘু অপরাধ করা।
আরও পুড়ন: যুক্তরাষ্ট্রের অভিশংসন ইস্যু ও ট্রাম্প