২০২৪ সালে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পবিত্র হজে যেতে ইচ্ছুকদের চূড়ান্ত নিবন্ধন চলছে। ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া নিবন্ধন কার্যক্রম সেভাবে সাড়া ফেলেনি, ১৩ দিনে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৯২১ জন। হজ নিবন্ধনে এমন ধীরগতি এবং হজযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সাড়া না মেলায় বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি কোটা পূরণ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে হজ এজেন্সিগুলো। তবে শেষ সময়ে বেশি সাড়া মিলবে বলে আশা করছে তারা।
হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশের (হাব) নেতারা বলছেন, গত বছর নয় দফা সময় বাড়িয়েও বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত কোটা পূরণ করা যায়নি। এবারও সেই অবস্থা হতে পারে বলে শঙ্কা তাদের। এ জন্য হজের খরচ বেড়ে যাওয়া, ডলার ও রিয়ালের দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়াকে দায়ী করছেন তারা। একইসঙ্গে, সৌদি সরকার ওমরাহ প্রক্রিয়া সহজ করায় অনেকে হজের পরিবর্তে ওমরাহর দিকে ঝুঁকছেন। আর করোনার সময় যেসব হাজী আটকে ছিলেন তারাও গত দুই বছরের হজ করে ফেলেছেন। ফলে কাঙ্ক্ষিত সাড়া মিলছে না।
তবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অধিশাখার যুগ্ম সচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক জানিয়েছেন, আমরা অন্যবারের তুলনায় এবার হজের নিবন্ধন অনেক আগ থেকে শুরু করেছি। নিবন্ধনের সংখ্যা নিয়ে এখনো চিন্তিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আশা করি, যথাসময়ে কোটা পূরণ হয়ে যাবে।
হজযাত্রীদের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত পোর্টাল থেকে পাওয়া তথ্য মতে, সোমবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৩ দিনে হজের জন্য নিবন্ধন করেছে মাত্র ৯২১ জন। এর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে ৩১৫ জন আর বেসরকারি পর্যায়ে ৬০৬ জন। গত বছর নিবন্ধন শুরুর প্রথম ২১ দিনেই ৩৩ হাজার ৭৮ হজযাত্রী নিবন্ধন করেছিলেন। সেবার ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলে। তবে, দফায় দফায় সময় বাড়িয়েও ৫ হাজার আসন শূন্য ছিল।
এবার সরকারিভাবে হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ হবে। বিশেষ হজ প্যাকেজের ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা খরচ হবে। অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হাব। প্রথম প্যাকেজের (সাধারণ) খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। দ্বিতীয় প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। নিবন্ধনের জন্য হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে হবে।