সজনে গাছ আমাদের দেশে খুবই সুপরিচিত। তবে গাছটির সঙ্গে পরিচয় থাকলেও গাছের গুণাগুণ সম্পর্কে আস্তে আস্তে পরিচিত হচ্ছে গোটা বিশ্ব। এই গাছের পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে চা-কফি বা খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ব্লাড প্রেসার কম থাকে। বাড়তি ওজনও ঝরে।
সজনে গাছের পাতা শুধু নয়, এই গাছের ছাল এবং বীজও শুকিয়ে গুঁড়ো করে একইভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে খাবারে বা পানীয়ে। সাধারণত আলোকিত জায়গায় বেড়ে ওঠায় সজনে গাছেল পাতা ও বীজে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই নির্ভয়ে যেকোনও খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
গুণাগুণ:
সজনে পাতার চায়ের উপকারিতা:
ওজন কমায়:
সজনে পাতা মানেই প্রচুর ভিটামিন আর খনিজের সম্ভার। সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তো আছেই। ‘হাউ টু লস ব্যাক ফ্যাট’ এর লেখক সিন্থিয়া ট্রেনার জানিয়েছেন, ‘সজনে পাতায় ওজন কমানোর উপাদান যেমন রয়েছেন, তেমনি আছে ফ্যাটের বদলে প্রচুর এনার্জি। লো-ফ্যাটের হওয়ায় বারে বারে এই চা খেলেও কোন সমস্যা হবে না।’
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে:
কিউএরসেটিন থাকার কারণে এই চা খেলে ওজন কমার পাশাপাশি প্রেসারও নিয়ন্ত্রণে রাখে। একই সঙ্গে প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে।
সুগার নিয়ন্ত্রণ করে:
রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে এই পাতার চা খেয়ে দেখতে পারেন। এর মধ্যে অ্যান্টি-অক্সাইড ক্লোরিন অ্যাসিড আছে। যা সুগার লেভেল স্বাভাবিক রাখে। টাইপ-টু ডায়াবেটিসের রোগিরা চিকিৎকের পরামর্শ নিয়ে এই চা খেতে পারেন।
কোলেস্টেরল কমায়:
কোলেস্টেরল কম থাকা মানেই হৃদরোগের সম্ভাবনা কম। আর হৃদরোগের সম্ভাবনা কমলে আপনি সুস্থ থাকবেন বেশিদিন। তাই সকালে এক কাপ সজনে পাতার চায়ে চুমুক দিতেই পারেন।
সৌন্দর্য হাতের মুঠোয়:
শরীরে জমে থাকা অবসাদ, দূষিত পদার্থ কমিয়ে নিমেষে তরতাজা করে তুলতে পারে এই চা। তাই শুধু স্বাস্থ্যই নয়, দীর্ঘদিন সৌন্দর্য ধরে রাখতে চাইলেও সজনে পাতার চা-এর জুড়ি নেই।
বাড়িতেই যেভাবে বানাবেন সজনে পাতার চা:
তিনটি উপায়ে আপনি সজনে পাতার চা বাড়ি বসেই পেতে পারেন। প্রথমত, অনলাইনে বা দোকানে আজকাল এই চায়ের খুব চাহিদা। প্যাকেট করা গুঁড়ো চা পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে সবুজ রঙের সজনে পাতার চা।
দ্বিতীয়ত, অনলাইনে ভরসা না থাকলে একমুঠো পাতা নিয়ে শুকিয়ে, গুঁড়ো করে নিজেই বানিয়ে নিন চা-পাতা। তৃতীয়ত, এত ঝামেলায় না গিয়ে পাতা ভালো করে ধুয়ে জলে ফুটিয়ে ছেঁকে নিন। একই ফল পাবেন।