শ্যামলা গায়ের রঙকে এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও আবেদনময়ী ‘স্কিন টোন’ হিসেবে ধরা হয়। শ্যামলা রঙের সাথে সাধারণত প্রায় সকল রঙের লিপস্টিকই দারুন মানিয়ে যায়। তবে এর মাঝে এমন কয়েকটি রঙ আছে, যা শ্যামলা ত্বকের সৌন্দর্যকে আলাদাভাবে ফুটিয়ে তোলে।
তেমন কয়েকটি রঙের লিপ্সটিক নিয়েই আলোচনা করা হলো আজকের ফিচারে।
শ্যামলা ত্বকের সাথে কপার ব্রাউন চমৎকার মানিয়ে যায়। কপার ব্রাউনের প্রায় সব কয়টি শেড, হালকা গাঢ় ত্বকের সাথে পুরোপুরি মিশে যায়। অফিসে কিংবা কোন পারিবারিক আড্ডায় স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যাবে এই কপার ব্রাউন শেডের লিপস্টিক।
কপার ব্রাউন ও চকলেট ব্রাউন দুটো রঙের মাঝে রয়েছে বড় ধরণের পার্থক্য। অনেকেই এই পার্থক্যটা ধরতে পারেন না। কপার ব্রাউন অনেকখানি হালকা শেডের হয়। যেখানে চকলেট ব্রাউনের শেড হয় বেশ খানিকটা গাঢ়। শ্যামলা ত্বকের সাথে যা মানিয়ে যায় খুব সহজেই। অফিসিয়াল মিটিং কিংবা আউটডোর মিটিংয়ে সহজেই বেছে নেওয়া যাবে চকলেট ব্রাউন শেড।
আরো পড়ুন: লাল লিপস্টিক ব্যবহার করুন সঠিক নিয়মে!
সকল স্কিন টোনের সাথেই দারুন গর্জাস দেখায় লাল লিপস্টিক। প্রতি দশজনে নয়জনের লিপস্টিকের ক্ষেত্রে পছন্দের রঙ লাল। শ্যামলা ত্বকে লাল রঙ যেন বাড়তি সৌন্দর্য যোগ করে! সাধারণ লাল লিপস্টিক ব্যবহারের পর হালকা গ্লিটার যোগ করলে সৌন্দর্য যেন মাত্রা ছাড়ায়।
এই তালিকায় পীচ রঙ দেখে অনেকেই নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন! সাধারণত পীচ রঙের লিপস্টিককে সবসময় হালকা ও উজ্জ্বল রঙের ত্বকের জন্যে মানানসই ধরা হয়। হালকা ত্বকের সাথে শ্যামলা ত্বকেও পীচ রঙটি যে দারুন মানিয়ে যায়, অনেকেই হয়তো জানেন না। একেবারে গৎবাঁধা গোলাপি নয়, কিছুটা ব্যতিক্রম বলে পীচ রঙটি গোলাপির মাঝে অন্যতম প্রচলিত শেড। শ্যাম বর্ণে পীচ রঙটি বেশ উজ্জ্বল দেখায়। ফলে দিনের যেকোন অনুষ্ঠানে পীচ রঙটিকে বেছে নিতে পারেন নিশ্চিন্তে।
গোলাপি গোত্রের এই রঙটি সবচেয়ে ভাইব্রেন্ট ও উজ্জ্বল। নজড়কাড়া ও উৎসবের আমেজ আনতে ম্যাজেন্টাকে টেক্কা দেওয়া কঠিন। যারা শ্যামলা ত্বকে গোলাপি কিংবা পীচ রঙ ব্যবহারে দোনামনা করেন, তাদের জন্য পারফেক্ট পছন্দ হলো ম্যাজেন্টা। যে কোন টোনের শ্যামলা ত্বকের সাথে মানিয়ে যায় ম্যাজেন্টা।
ম্যাজেন্টার খালাতো ভাই হলো ফুশিয়া। অনেকক্ষেত্রে ম্যাজেন্টার থেকে ফুশিয়া বেশি জনপ্রিয়। ফুশিয়া একই সাথে ম্যাজেন্টা, গোলাপি ও লাল রঙের আভা ছড়ায় বলে, সহজেই যে কোন রঙের কাপড়ের সাথেই মানিয়ে যায়। শ্যামলা ত্বকে ফুশিয়ার ব্যবহার বেশ প্রচলিত।