কিছু মানুষ ধনিয়া পাতার গন্ধ মোটেও সহ্য করতে পারে না। মুদ্রার অপর পিঠে থাকা কিছু মানুষ, ধনিয়া পাতা ছাড়া কোন খাবার রান্না করার কথা ভাবতেই পারে না।
যারা ধনিয়া পাতার গন্ধ সহ্য করতে পারে না তাদের ভাষ্যমতে, ধনিয়া পাতা থেকে সাবান, ময়লা, পিষ্ট পোকামাকড় ও লোহার মতো গন্ধ পাওয়া যায়। ধনিয়া পাতা খেতে পছন্দ করেন এমন মানুষ সংখ্যায় কম না হলেও, ধনিয়া পাতা অপছন্দ করার মানুষও নেহাত কম নয়।
‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ সূত্রে জানা যায়, ‘করিয়ান্ডার’ শব্দটি এসেছে গ্রিক থেকে। যার অর্থ হলো বেডবাগ তথা পোকামাকড়ের বিছানা! ধনিয়া পাতার গন্ধ পিষ্ট হওয়া পোকামাকড়ের সঙ্গে যারা তুলনা করেন তাদের দোষ দিয়েও লাভ নেই সেক্ষেত্রে।
অন্যদিকে গবেষকেরা ধনিয়া পাতা পছন্দ ও অপছন্দ করা নিয়ে গবেষণাও করে ফেলেছে। গবেষণা থেকে নিউইয়র্কের একটি জেনেটিক্স ফার্ম নিশ্চিত করে, ধনিয়া পাতার গন্ধ পছন্দ-অপছন্দের উপর ডিএনএর প্রভাব রয়েছে।
প্রায় ৫০,০০০ অংশগ্রহণকারীকে পরীক্ষক দল ধনিয়া পাতা খেতে দিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, তাদের কাছে ধনিয়া পাতার গন্ধ ভালো লাগছে নাকি সাবানের মতো লাগছে। পরীক্ষায় যারা অপছন্দের বিষয়টি প্রকাশ করেছিল, তাদের সকলের জেনেটিক ভেরিয়েশনে বিশেষ মিল পাওয়া গেছে এবং তাদের মাঝে এক দল মানুষ ইউরোপিয়ানদের বংশধর।
অন্য একটি গবেষক দল জানায়, পরিবেশ ও সংস্কৃতি এক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। গবেষণাটি সুপারিশ করে, ধনিয়া পাতা অপছন্দকারীর মাঝে ১৪-২১ শতাংশ মানুষ পূর্ব-এশিয়, আফ্রিকান ও ককেশিয়ান হয়ে থাকে। যার মাঝে মাত্র ৩-৭ শতাংশ হচ্ছে পূর্ব-এশিয়।
তবে আপনি যদি ধনিয়া পাতার ঘ্রাণ পছন্দ করেন এবং খেতে ভালোবাসেন তবে প্রাকৃতিক এই উপাদানটির উপকারিতাগুলো খুব ভালোভাবেই উপভোগ করেত পারবেন। এর সবুজ ফ্রেশ পাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমূহ, এসেনশিয়াল অয়েল সমূহ, ভিটামিন-এ ও সি, ফলিক অ্যাসিড, রিবোফ্লাভিন, নায়াসিন, বেটা ক্যারোটিন ও দ্রবণীয় আঁশ নিশ্চিতভাবেই স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়।
আরও পড়ুন: পরিচিত ঢেঁড়সের অপরিচিত উপকারিতা
আরও পড়ুন: লবণ নয়, খাদ্য তালিকায় থাকুক বিট লবণ