রান্না করা খাবার থেকে কিছু পরিমাণ খাবার অবশিষ্ট থাকলে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তিতে সুবিধামতো সময়ে পুনরায় গরম করে খাওয়া হয় সেই খাবার।
এই অভ্যাস এতোটাই প্রচলিত যে, এটা নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামানোর প্রয়োজন বোধ করে না কেউ। কিন্তু কোন খাবারগুলো পুনরায় গরম করে খাওয়া উচিৎ নয়, সেটা জানা প্রয়োজন নিজেদের স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্যেই। জেনে রাখুন কিছু খাবারের নাম যেগুলো কখনোই পুনরায় গরম করে খাওয়া উচিৎ নয়।
যেকোন খাবারের স্বাদ বাড়াতে মাশরুমের জুড়ি নেই। বিশেষত চায়নিজ ঘরানার খাবারে মাশরুমের ব্যবহার হয় সবচেয়ে বেশি। মাশরুমযুক্ত খাবার না জেনেই পুনরায় গরম করে খাওয়া হয় সকলের। কিন্তু মাশরুম পুনরায় গরম করে খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। এই খাদ্য উপাদানটিতে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন। রান্না করা মাশরুম পুনরায় গরম করা হলে এই প্রোটিনগুলো ভেঙে যায়। ফলে শুধু যে মাশরুমের স্বাদ বদলে যায় তাই নয়, মাশরুমে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয়। যা পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর।
এই তালিকায় মুরগীর মাংসের নাম দেখে নিশ্চয় খুব হতাশ হচ্ছেন। কারণ অনেকেই মুরগীর মাংস দুই-তিন দিনের জন্য রান্না করে রেখে দেন। রান্না করা মুরগীর মাংস গরম করার ফলে এই মাংসে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন থেকে টক্সিন পদার্থ তৈরি হয়। যার ফলে রান্না করা মুরগীর মাংস গরম করা হলে স্বাদ ভিন্ন হয়ে যায়।
রান্না করা আলু পুনরায় গরম করলে অথবা ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে দেওয়ার ফলে এতে ক্লস্ট্রিডিয়াম বট্যুলাইনাম (Clostridium Botulinum) নামক ব্যাকটেরিয়ার জন্ম বৃদ্ধি পায়। এই ব্যাকটেরিয়াটি বটুলিজমের জন্য দায়ী। বটুলিজম থেকে পেশীতে হালকা অবশভাব দেখা দেয়। যে কারণে রান্না করা আলু প্রয়োজন মাফিক খাওয়ার পর রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করতে হবে।
সকালের নাস্তায় ডিম না হলে চলেই না। শুধু সকালের নাস্তায় নয়, দুপুর কিংবা রাতেও থাকা চাই ডিমের পদ। ডিম সিদ্ধ, পোচ কিংবা রান্না, যেমনটাই হোক না কেন মাশরুম ও মুরগীর মাংসের মতো ডিমেও থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। রান্না করা বা প্রস্তুত করা ডিম পুনরায় গরম করা হলে এতে থাকা প্রোটিন ভেঙে যায়। যা থেকে খাদ্য পরিপাকের সমস্যা তৈরি হয়। ডিম খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হল, প্রস্তুত করার সাথে সাথে খেয়ে ফেলা।
আরও পড়ুন: কাঁচা খাওয়া যাবে না যে খাবারগুলো
আরও পড়ুন: ডিম খেতে হবে নিয়মিত