পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরও সকালে অফিসে গিয়ে হাই উঠছে। না চাইতেই যেন হাই উঠতেই থাকে। ‘স্লিপ ফাউন্ডেশন’-এর তথ্য অনুসারে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারা দিনে অন্তত ৫-১০ বার হাই ওঠে। কিছু ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা আরও বেশি হয়। ঘুম না হলেও হাই ওঠা স্বাভাবিক। তবে সেটাই একমাত্র কারণ নয়।
স্নায়ুর সমস্যা
স্নায়ুগত কোনও সমস্যা থাকলেও ঘন ঘন হাই ওঠে। পারকিনসন্স, ডিমেনশিয়ার একটি লক্ষণ হতে পারে হাই। সারা দিনে কয়েক বার হাই ওঠা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে অতিরিক্ত হাই ওঠার নেপথ্যে কিন্তু এই কারণগুলো থাকতে পারে। ঠিকঠাক ঘুম হওয়া সত্ত্বেও যদি হাই ওঠে, তা হলে এক বার বিষয়টি নিয়ে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে।
শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া
পর্যাপ্ত ঘুমিয়েও হাই ওঠার আরও একটি কারণ হল শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে মস্তিষ্কের তাপমাত্রাও বেশি হয়। সেই সময় খুব বেশি করে হাই উঠতে পারে। এমন হলে ঠান্ডা জল খেয়ে নিতে পারেন। হাই ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে।
হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ
অত্যধিক হাই তোলার সঙ্গে স্নায়ুর সম্পর্ক রয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হৃদপিণ্ডের চারপাশে রক্তক্ষরণ হলেও খুব ঘন ঘন হাই ওঠে অনেক সময়। চিকিৎসকেরা আরও জানাচ্ছেন, হাই ওঠা হার্ট অ্যাটকের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। স্ট্রোকের আগে অতিরিক্ত হাই ওঠে। বিশেষ করে শরীরচর্চার সময় যদি খুব বেশি হাই ওঠে, গরমের দিনে তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে পারে।