তীক্ষ্ণ কিংবা ভোঁতা এই ব্যথাভাব ক্রমেই বাড়তে থাকে কিংবা ছড়িয়ে পড়ে সময়ের সঙ্গে। একটা নির্দিষ্ট সময় পর আবার ভালোও হয়ে যায়।
হুট করে এই ব্যথাভাব দেখা দেওয়ার প্রধান কারণ হলো সঠিক পুষ্টির অভাব। উপযুক্ত উপাদান গ্রহণে এই সমস্যাটি কমে যায় অনেকখানি। এমন কয়েকটি খাবারের নাম জেনে রাখুন নিজের সুবিধার্থে।
ব্রাউন রাইস তথা লাল চালে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ। যা প্রদাহ ও ব্যথাকে প্রশমিত করে। খাদ্য আঁশ সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিনকে কমাতে কার্যকর। এই প্রোটিনটি উপস্থিতি পাওয়া যায় রক্তে। যা লিভার থেকে উৎপন্ন হয় এবং শরীরে প্রদাহ তৈরি করে।
ব্যথাভাব ও প্রদাহকে কমাতে দ্রুত কয়েকটি আঙ্গুর খেয়ে ফেলুন। আঙ্গুরে থাকে রেসভেরাট্রল (Resveratrol) এনজাইম। উপকারী এই এনজাইমটি অ্যাসপিরিনের মতোই উপকারিতা বহন করে। এছাড়া আঙ্গুরে আরও থাকে অ্যান্থোসায়ানিন। উভয় উপকারী উপাদান প্রদাহকে কমায়।
সবজি ঘরানার প্রাকৃতিক এই উপাদান দুইটিতে রয়েছে প্রদাহকে কমানোর মতো উপাদান, সালফার কম্পাউন্ড। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে এবং ব্যথাভাবকে কমাতে কাজ করে।
ভিটামিন- সি ও কে, ফলেট, আঁশ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহ ও উচ্চমাত্রার সালফরাফেন প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। গবেষণা জানাচ্ছে, ব্রকলি গ্রহণে শরীরের সাইটোকিনসের মাত্রা কমে যায়। যা প্রদাহকে কমাতে উপকারী। ব্রকলির মতো বাঁধাকপি, বকচয়, ফুলকপি ব্যথা ও প্রদাহকে কমাতে উপকারী।
যেকোন ধরনের সবজীই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে সবুজ বর্ণের পাতাযুক্ত সবজি প্রদাহ-বিরোধী উপাদান হিসেবে কাজ করে। কারণ এই ঘরানার সবজিতে থাকে প্রদাহ-বিরোধী ক্যারোটেনয়েডস। যা মূলত সবুজ কিংবা কমলা রঙের রঙিন খাদ্য উপাদান থেকেই পাওয়া যায়।
এতোগুলো প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদানের মাঝে এই একটি খাবারের নাম দেখে একটু হয়তো অবাক হচ্ছেন। কিন্তু ডার্ক চকলেটে থাকা কেমিক্যাল উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। ইতালিয়ান এক গবেষণা থেকে জানান যায়, প্রতি তিন দিনে পরিমিত পরিমাণ ডার্ক চকলেট গ্রহণে প্রদাহ দেখা দেওয়ার সম্ভবনা ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়!
আরও পড়ুন: অ্যালার্জির সমস্যা কমবে এই খাবারগুলোতে!