বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণে ভরপুর নানাবিধ ফল থেকে পাওয়া যায় অগণিত স্বাস্থ্য উপকারিতা।
তবে যত উপকারিতা সমৃদ্ধ খাবারই হোক না কেন, যেকোন খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। নতুবা দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ধরণের শারীরিক সমস্যা। এমনকি ফল খাওয়ার ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম রয়েছে। সঙ্গে আছে ফল খাওয়ার উপযুক্ত সময়।
এই সময়ে ফল খেলে ফল থেকে সবটুকু উপকারিতা পাবে শরীর। এমনকি বেঠিক সময়ে ফল খাওয়ার ফলে ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়, যা বাড়িয়ে দেয় ওজন। কম কিংবা বেশি ফল খাওয়া হয় সকলের। তাই জেনে রাখুন কোন সময়টিতে ফল খাওয়া সবচেয়ে বেশি উপকারী এবং কোন সময়ে ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
ফল খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত ও সঠিক সময় হলো সকাল। সকালে খালি পেটে ফল খাওয়ার ফলে শরীর ফলের নির্যাস থেকে সবটুকু পুষ্টিগুণ শোষণ করতে পারে। ফলে সারাদিন ভর শারীরিক শক্তি বজায় থাকে। পাশাপাশি পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে ও বিগত দিনের পরিপাককৃত খাদ্যকে শরীর থেকে বের করে দিতেও কাজ করে ফল। তবে সকালে ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সাইট্রাস ঘরানার ফল তথা- কমলালেবু, গ্রেপ ফ্রুট, জাম্বুরা প্রভৃতি এড়িয়ে যেতে হবে।
এছাড়া ডায়েট মেনে চলার ক্ষেত্রে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের মধ্যবর্তী সময়ের হালকা খাবার হিসেবে অন্যান্য যেকোন খাবারের চাইতে ফল হবে সবচেয়ে ভালো পছন্দ। ফল প্রায় দুই ঘণ্টা পর্যন্ত পেট ভরা রাখে সাহায্য করবে।
যদিও ফল থেকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি ও অন্যান্য গুণাগুণ পাওয়া যায়, এতে কিন্তু রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি ও ক্যালোরি। এই বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না মোটেও। প্রতিবেলার খাবারের পর যদি আপনি সুস্বাস্থ্য পাবার জন্য এক বাটি ফল খান, সেটা কিন্তু বাড়তি ক্যালোরি হিসেবে শরীরে জমা হবে। এই বাড়তি ক্যালোরি পরবর্তিতে বাড়তি ওজনের কারণ হয়ে উঠবে।
পাশপাশি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কোনভাবেই ফল খাওয়া উচিৎ নয়। আগেই বলা হয়েছে প্রতিটি ফলেই থাকে প্রাকৃতিক চিনি। এই চিনি শরীরে শক্তির জোগান দেয়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফল খাওয়ার কিছুক্ষণের মাঝেই শরীর ফল থেকে শক্তির যোগান পেয়ে যায়। এতে করে ঘুমভাব নষ্ট হয় খুব দ্রুত। তাই যত স্বাস্থ্যকর ফলই হোক না কেন, ঘুমানোর আগে সেটা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: কতদিন পর্যন্ত ভালো থাকে সস ও কেচাপ?
আরও পড়ুন: পেটের মেদ কমাতে উপকারী ৬ ব্যায়াম