এই পানির মাত্রা শরীরকে সুস্থ রাখতে, শরীরের নানাবিধ কার্যাবলিকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। যে কারণে নিয়মিত আট-দশ গ্লাস পরিমাণ পানি পানের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এমনকি শারীরিক বহু সমস্যা ও জটিলতা এড়ানো যায় পানি পানের সুঅভ্যাস বজায় রাখার মাধ্যমে।
কিন্তু আজকের ফিচারের বিষয়টি একেবারেই ভিন্ন। শুধু পানি পানের গুরুত্ব নয়, আজকে কথা বলা হবে সকালে ঘুম থেকে উঠে বাসি মুখে পানি পানের বিষয়টি নিয়ে। অনেকের মাঝেই একটি ভ্রান্ত ধারনা আছে- দাঁত না মেজে বাসি মুখে পানি পান করলে অসুস্থতার সম্ভবনা থাকে। বিষয়টি কতটা সঠিক?
আদতে বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। অর্থাৎ দাঁত না মেজে পানি পানের স্বাস্থ্যহানির সম্ভবনা তো নেই-ই, বরং রয়েছে বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা। অনেকে ভাবেন বাসি মুখে পানি পানের ফলে দাঁত ও মুখের স্যালাইভাতে থাকা ব্যাকটেরিয়া পেটে গেলে সমস্যা তৈরি হবে। এক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক কোন ব্যাখ্যা নেই। বরং এই সকল ব্যাকটেরিয়া পানি পানের সঙ্গে পাকস্থলীতে গেলে, পাকস্থলিস্থ অ্যাসিডে মারা যায়। ফলে দাঁত না মেজে পানি পানে কোন সমস্যা নেই।
এছাড়া জাপানিজ সংস্কৃতির অংশ হলো সকালে ঘুম থেকে উঠেই বাসি মুখে একসাথে দুই গ্লাস পানি পান করা। এমনই ডাক্তাররাও খালি পেটে দুই গ্লাস পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই জেনে রাখুন দাঁত না মেজে পানি পানের কিছু দারুণ উপকারিতা।
উপরেই বলা হয়েছে দাঁত না মেজে পানি পানের ফলে দাঁত ও মুখের স্যালাইভায় থাকা ব্যাকটেরিয়া পেটে প্রবেশ করে ও পাকস্থলিস্থ অ্যাসিডের প্রভাবে মরে যায়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শরীর জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়ায় করা শিখে যায়।
সকালে একদম খালি পেটে পানি পানের ফলে পেটের বর্জ্য পদার্থ সম্পূর্ণভাবে বের হয়ে যায়। এতে করে পাকস্থলী ও পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে এবং তার স্বাভাবিক কাজ চালু রাখতে পারে।
ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মেটাবলিজমের মাত্রা অনেকখানি প্রভাব ফেলে। এই মেটাবলিজমের মাত্রা বৃদ্ধি পায় নিয়মিত খালি পেটে পানি পানের অভ্যাসের ফলে। এছাড়াও খালি পেটে পানি পান করলে দিনভর শরীরে আর্দ্রতা বজায় থাকে।
সকালে খালি পেটে দুই গ্লাস পরিমাণ পানি পান করার পরে স্বাভাবিকভাবেই পেট ভরে যাবে। এতে করে বাড়তি খাবার খাওয়ার চাহিদা তৈরি হবে না।
আরও পড়ুন: কী থাকবে সকালের নাস্তায়?
আরও পড়ুন: ঘুম আসবে মাত্র ৬০ সেকেন্ডেই!