পছন্দসই কেক, মাফিন, কিংবা পাউরুটি তৈরিতে নানাবিধ উপাদানসমূহের মাঝে ডিম থাকবেই। বেকিং এর জন্য ডিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবসময় নিশ্চয় ফ্রিজ থেকে ডিম বের করে সরাসরি সেটাই ব্যবহার করা হয়। এতে করে বেকিং এর একেবারেই বেসিক বিষয়ে দারুণ গড়মিল হয়ে যায়।
ভাবুন তো একবার, ময়দার সঙ্গে ফ্রিজে রাখা মাখন মেশানোর বিষয়টি। নিশ্চয় শক্ত মাখন ও ময়দা একসাথে ভালোভাবে মিশতে চাইবে না। কিন্তু ঘরোয়া তাপমাত্রায় রাখা মাখনের সাথে খুব সহজেই ময়দা মিশিয়ে নেওয়া যাবে।
ঠিক একই বিষয় ঘটে ডিমের ক্ষেত্রেও। ঘরোয়া তাপমাত্রায় থাকা ডিমের কুসুম খুব সহজেই ভেঙে যায়। ফলে তা খুব সহজেই ডিমের সাদা অংশ ও বেকিং এর অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মিশে যায়।
ঘরোয়া তাপমাত্রার ডিম চিজকেক তৈরির জন্য আবশ্যক। ঠান্ডা ডিম ফ্যাটকে জমিয়ে ফেলে, যার ফলে কেকের ব্যাটার ও ব্যাটারের টেক্সচারে ভিন্নতা চলে আসে।
এছাড়াও ডিমের সাদা অংশ থেকে ডিমের কুসুম আলদা করার ক্ষেত্রেও ঘরোয়া তাপমাত্রার ডিম ভালো। ফ্রিজে রাখা ডিমের কুসুম আলাদা করা বেশ কষ্টসাধ্য, কিন্তু ঘরোয়া তাপমাত্রার ডিমে খুব সহজেই কুসুম আলাদা করে ফেলা যায়।
আরও একটি সুবিধা হলো, ঘরোয়া তাপমাত্রার ডিম বিট বা হুস্ক করলে তুলনামূলক বেশি ফোম তৈরি হয় ফ্রিজে রাখা ডিম থেকে। যা যেকোন খাবার বেক করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে।
তবে ফ্রিজে রাখা ডিম ঘণ্টাখানেক সময় বাইরে রেখে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনেও বেকিং এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া হাতে যদি কম সময় থাকে তবে হালকা ও কুসুম গরম পানিতে ডিম চুবিয়ে রাখতে হবে ১৫ মিনিট। ডিমের ঠাণ্ডাভাব কমে গেলেই ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: বাসি পিৎজা গরম হবে চুলাতেই!
আরও পড়ুন: যতগুলো ভুট্টা, ততগুলো পপকর্ন