পরিচিত এই উপাদানটি শুধু খাবার তৈরিতে নয়, ব্যবহার করা যাবে নিত্যদিনের গৃহস্থালি কাজে, শারীরিক সুস্থতা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায়ও। আজকের ফিচারে দেখে নিন সহজলভ্য ও পরিচিত এই উপাদানটির ছয়টি ভিন্ন ও উপকারী ব্যবহারের ধরন।
বেকিং এর ক্ষেত্রে বেকিং পাউডার থাকা আবশ্যক। কারণ বেকিং পাউডার খাবারকে নরম করতে ও খাবারে ফোলাভাব আনতে সাহায্য করে। তাই প্রিয় ডিমভাজিকে আরও একটি নরম করে তৈরি করতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন বেকিং সোডা। ডিম ফেটানোর সময় ১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিতে হবে। সাথে মনে রাখতে হবে বেকিং সোডা হালকা লবণের স্বাদ যোগ করে। তাই প্রয়োজনের চাইতে কম লবণ দিতে হবে ডিমে।
মাছ কাটাবাছার পর যতই সাবান দিয়ে হাত ধোয়া হোক না কেন, হাত থেকে মাছের আঁশটে গন্ধ কোনভাবেই দূর হতে চায় না। সেক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে বেকিং সোডা। কুসুম গরম পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে হবে হাতে। হাতের বাজে গন্ধ দূর হয়ে হালকা মিষ্টি গন্ধ দেখা দিবে এবং হাত তুলনামূলক অনেকখানি নরম বোধ হবে।
শরীরে কোন অংশে মশা কামড়ালে চুলকানি ও জ্বালাপোড়ার সঙ্গে স্থানটি লালচেও হয়ে ওঠে। মশা কামড়ালে হাতের তালুতে এক চা চামচ পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে কয়েক ফোঁটা পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেস্টটি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষণ। এতে করে ত্বকের সমস্যা ও লালচে ভাব উভয়ই দূর হবে।
অসাবধানবশত কোন পাত্রের ভেতরের অংশ পুড়ে গেলে, কালচে পোড়া দাগ ওঠাতে বেগ পেতে হয় অনেক। কিছুক্ষেত্রে দাগ একেবারেই উঠতে চায় না। বেকিং সোডার সঠিক ব্যবহারে এই ঝামেলাটি সহজেই মিটিয়ে ফেলা যাবে। প্রথমেই পাত্রের ভেতর থেকে যতটা সম্ভব পোড়াভাব ও খাদ্যাংশ উঠিয়ে ফেলতে হবে। এবার পাত্রটির অর্ধেক অংশ পানি দিয়ে এতে আধা কাপ পরিমাণ বেকিং পাউডার দিয়ে দিতে হবে। চুলায় উচ্চতাপে পানি ফুটিয়ে জ্বাল বন্ধ করে সারারাতের জন্য রেখে দিতে হবে। পরদিন সকালে দেখা যাবে পানির সাথে কালচে অংশ উঠে এসেছে।
হুট করেই পেটে গড়মিল দেখা দিচ্ছে? বেকিং সোডা ঘরে থাকতে চিন্তা কিসের! কফি, কমলালেবুর জ্যুস কিংবা টমেটো স্যুপের সঙ্গের এক চিমটি বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। বেকিং সোডা খাবার খাওয়ার পরে অ্যাসিডিক সমস্যা কমাতে কার্যকর। তবে পরিমাণে খুব বেশি মেশানো যাবে না। এতে পানীয় বা খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে।
পায়ের বাজে গন্ধ, পায়ে চুলকানির প্রাদুর্ভাব, পায়ের চামড়া ওঠা, পায়ের আঙুলে ফাংগাল ইনফেকশনজনিত সমস্যাগুলোর সমাধান পাওয়া যাবে বেকিং সোডার কাছেই। ঠাণ্ডা পানিতে আধা কাপ বেকিং সোডা ভালোভাবে মিশিয়ে মিশ্রণে ১৫-২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। প্রতিদিন এক সপ্তাহের জন্য এই নিয়ম মেনে চলতে পারলে সহজেই পরিবর্তন দেখা দিবে।
আরও পড়ুন: ঘর থেকে সহজেই দূর হবে মাছের আঁশটে গন্ধ
আরও পড়ুন: বেক করতে ঘরোয়া তাপমাত্রার ডিম!