অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহারেও বেশিরভাগ সময় খুশকির সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব হয়না।
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল বয়সীর চুলেই এই কমন সমস্যাটি আবহাওয়ার বদলে বেড়ে যেতে পারে বা নতুনভাবে দেখা দিতে পারে। খুশকির সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী করা যেতে পারে, সেটাই জানানো হলো আজকের ফিচারে।
মাথার ত্বক শুধু শুষ্ক থাকলেই নয়, অতিরিক্ত তৈলাক্ত থাকলেও দেখা দেয় খুশকির প্রাদুর্ভাব। চুলের সুস্থতায় তেলের বিকল্প নেই অবশ্যই। তবে তেলের ব্যবহার যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয় সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে। সপ্তাহে দুই দিন চুলে তেল দিতে হবে এবং অবশ্যই নিয়মিত চুল শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।
খুশকি দূরীকরণে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে লেবুর রস সবচেয়ে উপকারী। তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মাথার তালুতে ভালোভাবে ঘষে ম্যাসাজ করে পনের মিনিট রাখতে হবে। এরপর চুল ধুয়ে নিতে হবে। লেবুর অ্যাসিডিক ধর্ম খুশকিকে দূর করে।
বেকিং সোডার চমৎকার ও হাজারো ঘরানার ব্যবহারের মাঝে অন্যতম চমৎকার ব্যবহারটি হলো চুলের খুশকির প্রকোপ কমাতে বেকিং সোডার ব্যবহার। চুলে ব্যবহারের জন্য এক টেবিল চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে অল্প পরিমাণ পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেস্টটি মাথার তালুতে ঘষে ঘষে ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ শেষে মিনিট পনের অপেক্ষা করে চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
সাধারণ নারিকেল কিংবা সরিষার তেল অনেক সময় চুল ও মাথার ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট নয়। মাথার ত্বকের খুব সাধারণ সমস্যা হলো খুশকির প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া। খুশকির সমস্যা দেখা দিলে নারিকেল তেলের সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। অলিভ অয়েলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে সুস্থ রাখে ও খুশকির সমস্যা কমায়।
যে চিরুনি মাথার ত্বকে ব্যাথাভাব তৈরি করে, সে চিরুনি ব্যবহার করা বাদ দিতে হবে। এমন ধরনের চিরুনি মাথার ত্বককে শুষ্ক ও রুক্ষ করে তোলে। ফলে খুশকিজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
মাথার ত্বকের মরা চামড়া থেকেই খুসকির উদ্ভব হয়। অনেকের ভিটামিনের অভাবে খুশকির সমস্যাটি দেখা দেয়। তাই খাদ্যাভাসে ভিটামিনযুক্ত খাবার রাখার চেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুন: চুলের সুস্থতায় আদা!
আরও পড়ুন: চুল পড়ছে বেশি?