সে সম্পর্কে ধারনা না থাকাটাই স্বাভাবিক। তীব্র ঝাঁজযুক্ত এই প্রাকৃতিক উপাদানটি গৃহস্থালি তো বটেই, জরুরি অবস্থাতেও খুব দারুণ কাজ করে। জেনে রাখুন কোন প্রয়োজনে কীভাবে ব্যবহার করবেন পেঁয়াজ।
দুর্ঘটনাবশত রান্নার সময় ত্বকের কোন স্থান পুড়ে গেলে বিচলিত না হয়ে একটি পেঁয়াজ নিন। পেঁয়াজের মাঝ বরাবর কেটে পেঁয়াজের কাটা অংশটি পুড়ে যাওয়া ত্বকে চেপে ধরে রাখুন। যেন ত্বক ভালোভাবে পেঁয়াজের রস শোষণ করে। এতে করে পোড়া স্থানে আরাম পাওয়া যাবে এবং ফোসকা পড়ার সমস্যাটি কম দেখা দেবে।
পেঁয়াজের ঝাঁজযুক্ত গন্ধ এড়াতে পারলে ব্রণের সমস্যাটি থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যাবে। বিশেষত গরমের সময়ে কপালের সম্মুখ অংশে ছোট গুঁড়ি গুঁড়ি ব্রণ ওঠে। যা খুবই বিরক্তিকর। এখানেও পরিত্রাণ পাওয়া যাবে পেঁয়াজ ব্যবহারে। পেঁয়াজ, ওটস ও মধু একসাথে ব্লেন্ড করে মিশ্রণটি ব্রণযুক্ত স্থানে ম্যাসাজ করে দশ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। পেঁয়াজের অ্যান্টিফাংগাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানগুলো ব্রণ সারাতে কাজ করে।
রান্নাঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্রেই জং ধরে যায় কয়দিনের মাঝেই। বিশেষত বটি, ছুরিতে এই সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়। এমন জিনিস থেকে জং দূর করতে ব্যবহার করতে হবে পেঁয়াজ। বটি বা ছুরির যে অংশে জং দেখা দিয়েছে সেখানে পেঁয়াজ দিয়ে কয়েকবার ঘষতে হবে। জং বেশি হলে বেশি সময় ব্যয় করতে হবে। পরপর কয়েকদিন এভাবে পেঁয়াজ ব্যবহারে সহজেই জং দূর হয়ে যাবে।
ঘরে নতুন রঙ করা হলে স্বাভাবিকভাবেই বেশ অনেকদিন পর্যন্ত রঙের তীব্র কটু গন্ধ ঘরে থেকে যায়। এই বিপত্তি থেকে মুক্তি মিলবে পেঁয়াজ ব্যবহারে। একটি বড় পেঁয়াজ মাঝ বরাবর কেটে ঘরের দুই প্রান্তে রেখে দিন সারা রাতের জন্য। এক রাতের মাঝেই ঘরের রঙের বাজে গন্ধ পেঁয়াজ শোষণ করে নিবে ও ঘর গন্ধমুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: পাউরুটির উচ্ছিষ্ট অংশের চমৎকার দুই ব্যবহার
আরও পড়ুন: বেকিং সোডার চমৎকার ছয় ব্যবহার