কিন্তু আমের রসগোল্লা অবশ্যই নতুন কিছুই। খুবই সাধারণ রেসিপিতে এই মিষ্টান্নটি তৈরি করে চমকে দিতে পারেন সবাইকে।
১. দুই লিটার ফুল ক্রিম দুধ।
২. ১/৪ কাপ ভিনেগার অথবা লেবুর রস।
৩. এক চা চামচ সুজি।
৪. একটি বড় পাকা আমের রস।
৫. দুই কাপ চিনি।
৬. চার কাপ পানি।
৭. কয়েক ফোঁটা ম্যাঙ্গো এসেন্স (ঐচ্ছিক)।
৮. দুইটি সবুজ এলাচ।
১. পাত্রে দুধ নিয়ে চুলায় জ্বাল দিতে হবে এবং চামচের সাহায্যে বারবার দুধ নাড়তে হবে। দুধে বলক আসলে এতে ভিনেগার অথবা লেবুর রস দিয়ে জ্বাল বন্ধ করে দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যাবে দুধ ফেটে গিয়েছে।
২. সম্পূর্ণ দুধে ছানা বেঁধে গেলে ছেঁকে নিতে হবে। এই ছানা পানিতে ধুয়ে কাপড়ের সাহায্যে বাড়তি পানি ছেঁকে ফেলতে হবে। তবে খুব বেশি শুকনো করা যাবে না।
৩. হাতের তালুর সাহায্যে ৩-৪ মিনিট মথে নিতে হবে। ছানা নরম হয়ে আসলে এতে সুজি ও ২-৩ চা চামচ আমের রস দিয়ে ১-২ মিনিট খুব ভালোমতো মেশাতে হবে এবং বাটিতে ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে।
৪. এর মাঝে চার কাপ পানিতে দুই কাপ চিনি জ্বাল দিয়ে চিনির সিরা তৈরি করে নিতে হবে। এতে এলাচ, ২-৩ টেবিল চামচ আমের রস ও ম্যাঙ্গো এসেন্স যোগ করতে হবে। মাঝারি আঁচে এই সিরা জ্বাল দিতে হবে।
৫. এখন ছানা থেকে ছোট ছোট বল তৈরি করে চিনির সিরাতে ২-৩ মিনিটের জন্য জ্বাল দিতে হবে। জ্বাল দেওয়া শেষে ১০-১২ মিনিটের জন্য মাঝারি আঁচে পাত্রের মুখ ঢেকে জ্বাল দিতে হবে।
৬. এর মাঝেই মিষ্টিগুলো ফুলেফেলে দ্বিগুণ আকৃতি ধারণ করবে। এভাবে উল্টেপাল্টে উভয় পাশে জ্বাল দিতে হবে।
৭. চিনির সিরা থেকে সকল মিষ্টি তুলে নিয়ে উচ্চ তাপে চিনির সিরা জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে। ঘন চিনির সিরাতে সাবধানে মিষ্টিগুলো আবার দিয়ে দিতে হবে।
৪-৫ ঘণ্টা অথবা পুরো রাত এভাবে রেখে দিন মিষ্টি। এরপর পরিবেশন করুন ব্যতিক্রমী মিষ্টান্ন আমের রসগোল্লা।
আরও পড়ুন: দশ মিনিটে বাদামের স্বাদে কুলফি মালাই
আরও পড়ুন: সবচেয়ে সহজ রেসিপিতে গাজরের হালুয়া