রসে টইটম্বুর, গরম ও মুচমুচে জিলাপির তুলনা হয় না। অনেকে মিষ্টি ঘরানার খাবার মাঝে শুধু জিলাপি খেতেই পছন্দ করেন।
কিন্তু মনমতো জিলাপি খুঁজে পাওয়াও বেশ ঝক্কির কাজ। খোঁজাখুঁজি বাদ দিয়ে ঘরেই কিন্তু তৈরি করে নেওয়া যাবে গরম গরম জিলাপি। একদম পারফেক্ট ও সুস্বাদু জিলাপি তৈরির জন্য দেখে নিন আজকের রেসিপিটি।
১. এক কাপ ময়দা।
২. দেড় টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার।
৩. দেড় টেবিল চামচ ময়দা।
৪. দুই টেবিল চামচ ঘি।
৫. এক চিমটি লবণ।
৬. এক চা চামচ চিনি।
৭. এক চা চামচ ইস্ট।
৮. এক কাপ পরিমাণ গরম পানি।
৯. কমলা ফুড কালার (ঐচ্ছিক)
১. দেড় কাপ চিনি।
২. এক কাপ পানি।
৩. তিনটি লবঙ্গ।
৪. দুইটি এলাচ গুঁড়া।
৫. এক চিমটি পরিমাণ জাফরান (ঐচ্ছিক)
১. আধা কাপ পরিমাণ গরম পানিতে চিনি ও ইস্ট মিশিয়ে ঢেকে রেখে দিতে হবে।
২. বড় একটি পাত্রে ময়দা, বেসন ও লবণ একসাথে মেশাতে হবে। এতে ঘি মিশিয়ে পুনরায় মেশাতে হবে। এতে ইস্ট মিশ্রিত পানি মিশিয়ে হুইস্ক করতে হবে। এতে গরম পানি মিশিয়ে প্যানকেকের মতো স্মুদ ব্যাটার তৈরি করতে হবে। এতে যদি ফুড কালার যোগ করতে চান তবে এক-দুই ফোঁটা ফুড কালার দিয়ে মিশিয়ে তুলনামূলক উষ্ণ স্থানে গাঁজনের জন্য ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, এই সময়টুকুর মাঝে পাত্রটি একেবারেই নাড়াচাড়া করা যাবে না।
৩. ব্যাটারে গাঁজন হয়ে গেলে চিনির সিরা তৈরি করতে হবে। একটি সসপ্যানে চিনি, পানি, লবঙ্গ, এলাচ গুঁড়া ও জাফরান একসাথে মিশিয়ে মাঝারি তাপে ৭-১০ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। চিনির সিরা খুব বেশি ঘন ও স্টিকি হবে না।
৪. এবারে জিলাপি ভাজার পালা। সমান্তরাল ফ্রাইং প্যানে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল নিয়ে গরম করে তেলের তাপমাত্রা মাঝারি আঁচে রাখতে হবে। জিপলক ব্যাগে জিলাপির ব্যাটার নিয়ে ব্যাগের এক কোনার অংশ অল্প একটু কেটে নিতে হবে।
৫. তেল সঠিক মাত্রায় গরম হয়ে গেলে তেলের উপরে জিপলক ব্যাগ ধরে ধীরে ধীরে ব্যাগ চাপ দিয়ে ব্যাটার তেলে ছাড়তে হবে। ব্যাটার তেলে ছাড়ার সময় জিপালির মতো গোলাকৃতির প্যাঁচ তৈরি করতে হবে।
৬. প্রতিটি জিলাপি ভাজা হতে বড়জোর ৫-৬ মিনিট সময় লাগবে। জিপালি উজ্জ্বল বাদামী বর্ণ ধারণ করলে তেল থেকে তুলে সরাসরি চিনির সিরাতে দিয়ে দিতে হবে।
চিনির সিরায় মিনিট দুয়েক ভিজিয়ে উঠিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
আরও পড়ুন: মিষ্টি মুখে আমের রসগোল্লা
আরও পড়ুন: দশ মিনিটে বাদামের স্বাদে কুলফি মালাই