পরিচিত এই বেসনেরও যে আলাদাভাবে উপকারিতা থাকতে পারে সেটা হয়তো অনেকে জানেনই না। অথচ গুঁড়া এই উপাদানটিতে রয়েছে অলেয়িক অ্যাসিড, লাইনোলিক অ্যাসিড, আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড ও খনিজ উপাদান। বিশেষত বেসন একেবারেই গ্লুটেন ফ্রি এবং পর্যাপ্ত আঁশসমৃদ্ধ একটি খাদ্য উপাদান। যা থেকে আরও পাওয়া যাবে৪ ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফরফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, থায়ামিন, ফলেট, ভিটামিন-এ, ই ও কে। আজকের ফিচার থেকে জেনে নিন বেসনের দারুণ কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারতা।
বেসনের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম হওয়ায় এই উপাদানটি ডায়বেটিস আক্রান্তদের জন্য উপযুক্ত। লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সমৃদ্ধ খাবার সহজেই হজম হয়ে যায় এবং রক্তে চিনির মাত্রা হুট করে বৃদ্ধি করে না। এছাড়া বেসন ইনস্যুলিন সেনসিটিভিটি বৃদ্ধিতেও অবদান রাখে।
বেসনে থাকে উচ্চমাত্রার আঁশ ও প্রোটিন যা লম্বা সময়ের জন্য পেট ভরা রাখতে কাজ করে। উচ্চমাত্রার প্রোটিনযুক্ত খাদ্য উপাদান ক্ষুধাভাবকে দূরে রাখে এবং পাকস্থলীর খাদ্য পরিপাকে বেশি ক্যালোরি প্রয়োজন তৈরি করে। যা ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শুধু আঁশ নয়, বেসনে আরও থাকে ভিটামিন ও বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান। যা স্বাস্থ্যের সার্বিক সুস্থতার পাশপাশি হৃদরোগকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে। পরীক্ষার তথ্য মতে, বেসন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা ৪.৬ শতাংশ এবং সার্বিক কোলেস্টেরলের ৩.৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে কাজ করে। এতে করে হার্ট অ্যাটাক কিংবা হুট করে কার্ডিক অ্যারেস্টের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
বেসনে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস একসাথে কাজ করে হাড়ের দৃঢ়তা গঠনে কাজ করে। এ কারণে খাদ্যাভ্যাসে বেসনের উপস্থিতি হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় উপকারী ভূমিকা পালন করবে।
অকারণে দুর্বলতা ও ক্লান্তিভাব দেখা দিলে বেসন হতে পারে ভালো একটি সমাধান। এই খাদ্য উপাদানে থাকা থায়ামিন ও অন্যান্য ভিটামিন শরীরের ক্লান্তিভাবকে কমাতে ও শক্তি বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
খাদ্য পরিপাকজনিত সমস্যার পাশাপাশি কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যায় বেসন হতে পারে অন্যতম উপকারী একটি উপাদান। বেসনে থাকা আঁশ কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যাকে কমিয়ে আনে এবং মলত্যাগের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। এছাড়া বেসন পাকস্থলীর উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে উজ্জীবিত রাখতে এবং পেটের সার্বিক সমস্যাকে দূরে রাখতে কাজ করে।
আরও পড়ুন: যে খাবারগুলো হতে পারে মৃত্যুর কারণ!
আরও পড়ুন: কোন মসলায় কী উপকারিতা?