কুমিল্লার বিখ্যাত মাতৃভান্ডারের রসমালাই খাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন অনেকেই। তবে ঢাকার বেশীরভাগ মিষ্টির দোকানের রসমালাই পছন্দসই ও মানসম্পন্ন হয় না একেবারেই। সেক্ষেত্রে ঘরে খুব অল্প সময়ের মাঝেই তৈরি করে নেওয়া যাবে রসমালাই।
জেনে নিন রসমালাই তৈরির দারুণ সহজ রেসিপি।
আরো জানুন: সুস্বাদু নাস্তা সুইট কর্ন সালসা
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ:
১. দুধ ২ লিটার।
২. লেবুর রস ৩ টেবিল চামচ।
৩. কনডেন্স মিল ১ কাপ।
৪. কর্ন ফ্লাওয়ার ১ চা চামচ।
৫. কাজুবাদাম কুঁচি ২ টেবিল চামচ।
৬. পেস্তা বাদাম কুঁচি ২ টেবিল চামচ।
৭. চিনির শিরা তৈরির জন্য পরিমানমতো পানি ও চিনি।
মিষ্টি তৈরির প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমে এক কেজি দুধ ভালোভাবে জ্বাল দিতে হবে। দুধ কিছুটা টেনে আসলে লেবুর রস দিয়ে দিতে হবে। দুধে ছানা কেটে গেলে নামিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি পরিষ্কার ও পাতলা কাপড়ে ছানা নিয়ে ভালোমতো ছেঁকে পানি ঝড়িয়ে নিয়ে হবে। শুকনো ছানার সাথে কর্ন ফ্লাওয়ার মিশিয়ে ভালোভাবে মথতে হবে। মনে রাখতে হবে, ছানা যত ভালোভাবে মথা হবে, মিষ্টি তত বেশি ভালো হবে। ছানা মথা হয়ে গেলে হাতের তালুতে অল্প পরিমাণে নিয়ে ছোট ও চ্যাপ্টা আকারের মিষ্টি তৈরি করতে হবে।
আরো জানুন: ওভেন ছাড়াই তৈরি হবে ম্যাংগো চীজ কেক!
এখন একটি সসপ্যানে পরিমাণমতো পানি ও চিনি নিয়ে জ্বাল দিতে হবে। পাতলা চিনির শিরা তৈরি হলে এতে মিষ্টিগুলো একে একে দিয়ে দিতে হবে। এরপর সসপ্যানের মুখ ঢেকে দিয়ে অল্প আঁচে ২০ মিনিট সময় অপেক্ষা করতে হবে।
২০ মিনিট পর সসপ্যানের মুখ খুললে দেখা যাবে মিষ্টিগুলো ফুলে উঠেছে। সাবধানে বড় চামচের সাহায্যে চিনির শিরা থেকে একে একে মিষ্টি উঠিয়ে একটি পাত্রে রাখতে হবে।
মালাই/ রস তৈরির প্রস্তুত প্রণালী:
বাকি এক লিটার দুধ, কনডেন্স মিল্ক, কাজুবাদাম কুঁচি ও পেস্তা বাদাম কুঁচি একসাথে মিশিয়ে জ্বাল দিতে হবে। দুধ ঘন হয়ে আসলে ও দুধের রঙ হালকা হলুদাভ ধারণ করলে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরিকৃত মিষ্টির উপর মালাই ঢেলে উপরে বাদাম কুঁচি দিয়ে ফ্রিজে ঘন্টাখানেক রেখে দিতে হবে। এরপর পরিবেশন করতে হবে ঠাণ্ডা মজাদার রসমালাই।