ওভেন ছাড়াই তৈরি হবে ম্যাংগো চীজ কেক!
ঈদ আয়োজনে ডেজার্ট হিসেবে সেমাই ও পায়েশ থাকা এক প্রকার বাধ্যতামূলক ব্যাপার যেন। এই দুইটি মিষ্টি খাবারের পাশাপাশি পুডিং, হালুয়া, ফালুদা, ভ্যানিলা বা চকলেট ফ্রুট কেকও বানান অনেকেই।
তবে ডেজার্ট হিসেবে ম্যাংগো চীজকেকটা হতে পারে দারুন চমক। তাও আবার নো বেক চীজকেক। অর্থাৎ যাদের বাসায় ওভেন নেই, তারাও স্বাচ্ছন্দে তৈরি করতে পারবেন দুর্দান্ত এই কেকটি।
আর পাকা আমের মৌসুমে ঈদের ডেজার্ট হিসেবে এই কেকের কোন তুলনা হতেই পারে না। তাইতো চটজলদি দেখে নিন নো-বেক ম্যাংগো চীজকেকের সহজ এই রেসিপিটি।
উপকরণ সমূহ:
১. ১২-১৫ টি ক্রিম ছাড়া বিস্কুট।
২. ২ টি বড় পাকা আম।
৩. ৪০০ গ্রাম ক্রিম চীজ।
৪. আধা কাপ গলানো মাখন।
৫. ২ টেবিল চামচ জেলাটিন।
৬. ক্যাস্টর তথা পাউডার চিনি।
প্রস্তুত প্রণালী:
১. একটি জিপলক ব্যাগে বিস্কুটগুলো নিয়ে বেলনির সাহায্যে ভালোভাবে গুঁড়া করে নিতে হবে।
২. গুঁড়া করা বিস্কুট একটি পাত্রে নিয়ে তাতে গলানো মাখন চামচের সাহায্যে মেশাতে হবে। প্রয়োজনে হাত দিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ার সাথে মাখন মেশাতে হবে। যেন দুইটি উপাদান ভালোভাবে মিশে যেতে পারে। এখন এই মিশ্রণটি যে পাত্রে কেক তৈরি করতে হবে সেই পাত্রে উপর সমানভাবে ছড়িয়ে হাত দিয়ে চেপে চেপে বসাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে সকল স্থানে বিস্কুটের গুঁড়া যেন সমান হয় ও পুরু হয়।
৩. এবার পাকা আম ব্লেন্ড করে ও ছেঁকে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।
৪. আমের পেস্টের সাথে ক্রিম চীজ ও পাউডার চিনি মিশিয়ে নিতে হবে। এখন খুব ভালোভাবে এই মিশ্রণটি হুইস্ক করতে হবে। যেন তিনটি উপাদান একসাথে মিশে ঘন পেস্ট তৈরি হয়।
৫. মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে এতে জেলাটিন যোগ করতে হবে। এরপর আবারো ভালোভাবে মেশাতে হবে।
৬. মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে যে বাটিতে বিস্কুটের গুঁড়া রাখা হয়েছিল তার উপরে সমানভাবে ঢেলে দিতে হবে। এরপর তিন ঘন্টার জন্য রেফ্রিজারেটরে রেখে দিতে হবে।
তিন ঘন্টা পর পরিবেশন করুন মজাদার ঠাণ্ডা নো-বেক চীজ কেক। পরিবেশনের সময় পাকা আমের ছোট টুকরো দিতে পারেন কেকের উপরে।
আরো জানুন:
১. প্রায় সকল সুপার শপেই পাওয়া যাবে জিপলক ব্যাগ, ক্রিম চীজ ও পাউডার চিনি। অনেকে সাধারণ চিনি গুঁড়া করে পাউডার চিনি তৈরি করেন। তবে এই কেক তৈরিতে পাউডার চিনি ব্যবহার করা আবশ্যিক।
২. পরিমাণের উপর ভিত্তি করে বিস্কুট, আমের পরিমাণ কমবেশী হবে। একইভাবে জেলাটিনের মাত্রাতেও আসবে ভিন্নতা।