চকলেট প্রিয় মানুষদের জন্য আনন্দের সংবাদ হলো, ডার্ক চকলেট অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের অন্যতম সেরা উৎস। তাই ডার্ক চকলেট খেলে অনুশোচনার কোন কারণ নেই। বরং পরিমিত পরিমাণে নিয়মিত ডার্ক চকলেট খাওয়ার ফলে পাওয়া যাবে বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা।
কী সেই সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা? জানতে পড়ে ফেলুন আজকের ফিচারটি।
ডার্ক চকলেটে রয়েছে অসংখ্য পুষ্টি গুনাগুণ। যে কারণে অন্যান্য যেকোন স্বাস্থ্যকর খাদ্য উপাদানের সাথে সহজেই তুলনা করা যায় ডার্ক চকলেটকে। মাত্র ১০০ গ্রাম ডার্ক চকলেটে রয়েছে ১১ গ্রাম ফাইবার। এছাড়াও এতে পাওয়া যায় জিংক, আয়রন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ম্যাংগানিজ, কপার ও সেলেনিয়াম।
ব্যাপারটি কিন্তু আসলেই খুব চমকপ্রদ! ডায়বেটিস কমাতে সাহায্য করে ডার্ক চকলেট। স্বল্প মাত্রায় ডার্ক চকলেট খাওয়ার ফলে ডায়বেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ডার্ক চকলেটে উপস্থিত কোকোয়া, ইনসুলিনের সেনসিটিভিটিকে উন্নত করে। যার ফলে ডায়বেটিস বৃদ্ধি পেতে পারে না।
ডার্ক চকলেট খাওয়ার ফলে বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ হৃদরোগ দেখা দেবার সম্ভবনা কমে যায়। এক গবেষণা থেকে দেখা গেছে, হাই কোলেস্টেরলের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি ডার্ক চকলেট গ্রহণ করলে, চকলেটের কোকোয়া অক্সিডাইজড LDL (ক্ষতিকর কোলেস্টেরল) এর মাত্রা কমাতে ও HDL (উপকারি কোলেস্টেরল) এর মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
এছাড়া চকলেটে উপস্থিত থাকা ফ্ল্যাভনয়েড রক্তে কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। যা হাইপারটেনশনের সমস্যা ও হৃদরোগের ঝুঁকিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ডার্ক চকলেটের কোকোয়াতে আছে পেন্টামেরিক প্রোসায়ানাইডিন (Pentameric Procyanidin)। যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। ফলে ক্যান্সার ছড়াতে পারে না।
আরো পড়ুন: মাত্র পাঁচটি উপাদানে চকলেট-সুজির হালুয়া!
ডার্ক চকলেটে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান সমূহ ত্বকের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনলস রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে, ত্বকে রক্ত চলাচলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে কাজ করে।
চকলেট হলো অন্যতম উদ্দীপক তৈরিকারী খাদ্য উপাদান। যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত চলাচল ত্বরান্বিত করে থাকে। ডার্ক চকলেট গ্রহণে শারীরিক উদ্দীপনার সাথে মানসিক উদ্দীপনাও বৃদ্ধি পায় ও আশঙ্কা, সংশয় কমে যায়।