ডিম সিদ্ধ করা হল সবচেয়ে সহজ একটি কাজ। কিন্তু একদম নিখুঁতভাবে কাঙ্ক্ষিত পছন্দ অনুযায়ী ডিম সিদ্ধ করা হল সবচেয়ে কঠিন একটি কাজ। গরম পানিতে ডিম ছেড়ে দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে ডিম সিদ্ধ হবে ঠিকই, কিন্তু ডিমের কুসুম কেমন খেতে চাচ্ছেন, তার উপরে নির্ভর করে ডিম সিদ্ধটি ঠিক হয়েছে কিনা!
মূলত হার্ড বয়েলড এগ বা শক্ত ও শুষ্ক কুসুমের সিদ্ধ ডিম বেশি খাওয়া হলেও, হাফ বয়েলড এগ বা নরম ও কিছুটা তরল কুসুমের ডিমও খাওয়া হয়ে থাকে। অনেকে আবার হাফ বয়েলড এগ ছাড়া ডিম সিদ্ধই খেতে পারেন না।
এর মাঝামাঝি আরেকটি বিভাগ আছে, যেখানে সিদ্ধ ডিমের কুসুম একদম সঠিক মাত্রায় জ্যামের মতো হয় থাকে। এটাকে বলা হয় জ্যামি এগ। এই জ্যামি এগের কুসুম হাফ বয়েলডের মতো কিছুটা তরলও হবে না, আবার ফুল বয়েলডের মত শক্তও হবে না। একদম মাঝামাঝি অবস্থানে জ্যামের মত নরম টেক্সচার থাকবে জ্যামি এগের কুসুমের।
পাশ্চাত্যে জ্যামি এগ শিশুদের মাঝে খুব জনপ্রিয়। কারণে এই ডিমের কুসুমে বাজে গন্ধ থাকে না এবং খেতেও বেশ মজার হয়। কীভাবে হবে ডিমের কুসুম জ্যামের মত? জেনে নিন প্রক্রিয়াটি।
এর জন্য প্রয়োজন হবে ছয়টি মুরগির ডিম ও ছয়টি ডিমের জন্য ছয় কাপ পানি। পানি গরম করতে দিতে হবে মাঝারি আঁচে। পানি ফুটে উঠলে ডিমগুলো পানিতে সাবধানে ছেড়ে দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে আনতে হবে এমনভাবে, যেন পানিতে ছোট ছোট বুদবুদের মত দেখা দেয়।
এবারে ঘড়ি ধরে ৭ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এক মিনিটও এদিক সেদিক হওয়া যাবে না। এর মাঝে ভিন্ন একটি পাত্রে ঠান্ডা পানি বরফের টুকরা দিয়ে রেডি করে রাখতে হবে।
সাত মিনিট হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ফুটন্ত পানি থেকে ডিম তুলে সরাসরি বরফ পানিতে ডুবিয়ে দিতে হবে। বরফ পানিতে ১০ মিনিট রাখতে হবে এবং এ সময়ের মাঝে চামচ দিয়ে হালকা নেড়েচেড়ে দিতে হবে।
দশ মিনিট পর ডিম বরফ পানি থেকে তুলে ছিলে মাঝ বরাবর কেটে উপরে লবণ ও গোলমরিচ ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করতে হবে জ্যামি এগ।