সাধারণভাবেই পিরিয়ডকালীন সময়টি হয় অস্বস্তিকর। এই অস্বস্তির মাত্রা আরও বেড়ে যায় র্যাশের সমস্যায়। বহু নারীই পিরিয়ডকালীন র্যাশের সমস্যায় ভুগে থাকেন, যা তাদের পিরিয়ডের সময়কে দুর্বিষহ করে তোলে। স্যানিটারি প্যাডের কেমিক্যাল ও দীর্ঘসময় তা পরে থাকার দরুন র্যাশের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে যা করা প্রয়োজন সেটাই জানানো হল।
পিরিয়ডের সময়ে রক্তপ্রবাহের ধরণের উপর নির্ভর করে ৪-৬ ঘন্টা পরপর প্যাড পরিবর্তন করতে হবে। বিশেষত যাদের র্যাশের সমস্যা রয়েছে, তাদের এই নিয়মটি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। রক্তপাত খুব বেশি না হলেও সময় হয়ে গেলেই প্যাডটি পরিবর্তন করে নিতে হবে। কারণ শরীরে স্বাভাবিক আর্দ্রতা ও ঘাম থেকে সহজেই ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়, যা স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য ক্ষতির কারণ হিসেবে দেখা দিতে পারে।
লম্বা একটা সময় পর্যন্ত পিরিয়ডের অনুষঙ্গ হিসেবে শুধু প্যাডের প্রচলন হয়ে এসেছে। তবে এখন অস্বস্তিদায়ক প্যাডের বিকল্পে ব্যবহার করা যাবে টেম্পন কিংবা মেন্সট্রুয়াল কাপ। এই অনুষঙ্গগুলো ব্যবহারে ত্বকের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ঘটে না, ফলে র্যাশের সমস্যা দেখা দেওয়ার চিন্তা থাকে না। এছাড়া অভ্যস্ততা চলে আসলে প্যাডের চাইতে বেশি আরামদায়ক হবে টেম্পন কিংবা মেন্সট্রুয়াল কাপের ব্যবহার।
পিরিয়ডকালীন সময়ে র্যাশ দেখা দেওয়ার অন্যমত একটি কারণ আন্ডারগার্মেন্ট। অ্যালার্জিক ও স্পর্শকাতর ত্বকে সুতি ব্যতীত অন্যান্য তন্তুর কাপড় সহজেই প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যার ফলস্বরূপ র্যাশের সমস্যাটি দৃশ্যমান হয়। এক্ষেত্রে আন্ডারগার্মেন্ট ও তার তন্তু নির্বাচনের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে।
পিরিয়ডকালীন সময়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। প্রতিবার বাথরুমে গেলেই ভালোভাবে নিজেকে পরিষ্কার করে টিস্যুর সাহায্যে শুকিয়ে নিতে হবে। বাড়তি আর্দ্রতা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। র্যাশের সমস্যাটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকেই রোধ করা সম্ভব হয়।