ওজন কমানোর পাশাপাশি বহু বিধ স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য অ্যাপল সাইডার ভিনেগার সবার কাছেই পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি নাম। দারুণ বিষয়টি হল, সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে সুস্থ ত্বকের জন্যেও সমানভাবে সমাদৃত এসিভি। বিভিন্ন ধরণের স্কিন কেয়ার প্রডাক্টের মাঝেও আলাদাভাবে এসিভি ত্বকের জন্য উপকারিতা বহন করে বলে, ত্বকের পরিচর্যায় এসিভির ব্যবহারের প্রসার অনেকখানি বেড়েছে বিগত কয়েক বছরে। আজকের ফিচার থেকে দেখে নিন ভিন্ন ত্বকের সমস্যায় এসিভির তিন ব্যবহার।
ত্বকের একদম গভীর থেকে পরিষ্কার করতে এবং ত্বকের pH এর ভারসাম্য বজায় রাখতে অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের ফেসওয়াশ চমৎকার কাজ করবে। সকল ধরণের ত্বকের সাথে মানিয়ে যায় বলে সকলেই ব্যবহার করতে পারবেন এই ফেসওয়াশ। এর জন্য এক কাপ কুসুম গরম পানিতে (আঙুল ডুবিয়ে রাখা যাবে এমন আরামদায়ক উষ্ণতার পানি) আধা চা চামচ এসিভি মিশিয়ে মিশ্রণের সাহায্যে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এরপর পানিতে পুনরায় মুখ ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহারই যথেষ্ট এই মিশ্রণটি।
ত্বকের প্রধান সমস্যা, ব্রণ থেকে মুক্তি মিলবে এসিভি ব্যবহারে। ত্বকের স্বাভাবিক ভারসাম্যকে ফিরিয়ে আনতে কাজ করে বলে ব্রণের উপদ্রব দ্রুত দূর করতে কাজ করে এসিভির মিশ্রণ। ব্রণের সমস্যাকে দূর করতে এক টেবিল চামচ এসিভি এবং দুই টেবিল চামচ পানি একসাথে মিশিয়ে তুলার বলে ভিজিয়ে নিতে হবে। এসিভিযুক্ত তুলার বলটি ত্বকের আক্রান্ত স্থানে (ব্রণযুক্ত স্থান) আলতোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে দুই মিনিটের জন্য। এরপর কুসুম গরম পানিতে ত্বক ধুয়ে নিতে হবে।
ত্বকের টোনে পার্থক্য দেখা দিতে পারে বহু কারণেই। খাদ্যাভ্যাসে অবহেলা, রোদ ঘোরাঘুরি কিংবা ত্বকের যত্নে অনিয়মের ফলে। ত্বকের টোনকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এসিভির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি উপকারে আসবে।
এর জন্য প্রয়োজন হবে এক টেবিল চামচ এসিভি, দুই টেবিল চামচ পানি এবং ৫-৬ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অথবা টি ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল। তিনটি উপাদান মিশিয়ে কটন প্যাডের সাহায্যে পুরো মুখে আলতোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর ৩-৫ মিনিট অপেক্ষা করে ত্বক ধুয়ে নিতে হবে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে।