অবহেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে  জীবন সংকটে দিনমুজুরের মেধাবী ছেলের

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর | 2023-08-24 13:52:30

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে অবহেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক দিনমুজুরের মেধাবী ছেলের জীবন এখন সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।

মেঘনা নদীর ভাঙনে তীর সংলগ্ন খুঁটি উপড়ে বিদ্যুতের তার বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকে তীরে। এ অবস্থায় জরুরীভাবে বিদ্যুতের তার সরিয়ে নেয়ার প্রয়োজন থাকলেও কয়েকদিন এভাবে মাটিতে পড়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে পড়ে থাকা ওই তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয় স্থানীয় এক স্কুলছাত্র তামিম । এতে তার জীবন এখন সংকটাপন্ন। তামিমের বাম হাত পুরোপুরি কেটে ফেলতে হয়েছে। ডান পায়ের দু’টি আঙ্গুল কেটে ফেলতে হবে। ঝলসে যাওয়া শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন ধরেছে। মাথার আঘাতও গুরুতর। এমন পরিস্থিতিতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে শিশু তামিম।

রামগতি পল্লী বিদ্যুত বিভাগের অবহেলার কারণে সন্তান বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে জীবন সংকটে থাকার এমন অভিযোগ এনে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানান তামিমের মা আমেনা বেগম।

শনিবার (২৭ নভেম্বর) স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ উত্থাপন করে ছেলেকে বাঁচাতে সাহায্য চেয়ে আকুতি জানিয়েছেন দিনমজুর বাবা।

জানা যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে তামিম বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় গুরুতর আহত হয়। দুই মাস  ধরে সে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে শিশু সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।


স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর চর টবগী গ্রামের একটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। এরপর থেকে ওই খুঁটির বিদ্যুতের তারগুলো এলোমেলোভাবে নদীর পাড়ে থাকে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা রামগতির পল্লী বিদ্যুৎতকে অবগত করলেও তারা ঘটনাস্থলে আসেনি। দুইদিন পর ২৫ সেপ্টেম্বর স্কুলছাত্র তামিম নদীতে গোসল করতে গেলে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারাত্মক আহত হয়। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে প্রথমে রামগতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতিতে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই দিন রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে রামগতি পল্লী বিদ্যুত বিভাগে দায়িত্বরত ডিজিএম রেজাউল করিম বলেন, মেঘনা নদীর ভাঙনের কারণে রাতে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যায়। কিন্তু বিষয়টি ওই এলাকা থেকে কেউই জানায়নি। দুর্ঘটনার পরে আমরা বিষয়টি জানতে পারি।

আহত স্কুলছাত্র তামিমের দিনমজুর বাবা শাহাদাত হোসেন বলেন, ধার-দেনা করে ছেলের চিকিৎসা চালিয়ে আসছি। এখন  আর পারছিনা। টাকা নেই; ছেলের জন্য ঠিকমত ওষুধ কিনতে পারিনা। আমি ও আমার স্ত্রী প্রায়ই না খেয়ে থাকি। এমন পরিস্থিতিতে অসহায় দিনমজুর বাবা সবার সহযোগীতা কামনা করছেন। সাহায্য পাঠাতে দিয়েছেন নিজের বিকাশ নম্বর (০১৮৫৮ ০৪০৯২০ তামিমের বাবার বিকাশ নম্বর)

এ সম্পর্কিত আরও খবর