সাতক্ষীরায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা: আহত ২০, আটক ১৩

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা | 2024-05-22 18:12:57

সাতক্ষীরায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ২০টি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলা-পাল্টা হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এদের মধ্যে ২ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এ পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করেছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে ও বুধবার (২২ মে) আশাশুনি উপজেলায়  এসব ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটে।

শুধু তাই নয়, তালায় উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত চিংড়ি মাছের কর্মীর উপর হামলা করেন বিজয়ী চেয়ারম্যানের কর্মীরা। সেখানে মারধরের পাশাপাশি তার মটরসাইকেল ও ভাঙচুর করা হয়।

পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহনেওয়াজ ডালিম জানান, বিজয়ী চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের কর্মী পিরোজপুর গ্রামের মিলন পারভেজের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পিরোজপুর গ্রামের রিপন হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। পরে একই গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম, সাইফুল ইসলামসহ পিরোজপুর গ্রামের কমপক্ষে ৫টি বাড়ি ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা। বুধবার সকালে বিচ্ছিন্ন হামলায় ভাঙচুর হয় গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম, কাদাকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দীপঙ্কর সরকার দ্বীপ, তেতুলিয়া গ্রামের সাইফুর রহমান, লিটন সরদার, প্রতাপনগরের আব্দুস সামাদসহ কমপক্ষে ২০জনের বাড়ি। এছাড়া প্রতিপক্ষের হাতুড়ি পেটায় গুরুতর আহত হয়েছেন চেউটিয়া গ্রামের আনিসুর রহমান ও তোয়ারডাঙ্গা গ্রামের ইমরান হোসেনসহ কমপক্ষে ৫ জন।

তবে বিজয়ী প্রার্থী এবিএম মোস্তাকিমের দাবি, এটা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা নয়, এটি আসলে মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। ডালিমের কর্মী-সমর্থকরা গুনাকরকাটি গ্রামের মোশাররফ হোসেন, গদাইপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ ও ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ সানার বামনডাঙ্গাস্থ বাড়ি ভাঙচুর করেছে।

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় পিরোজপুর গ্রামের আব্দুর রহমান, আবুল কালাম আযাদ, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ঘটনায় আলাদা আলাদা মামলা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর