মহাখালী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় 

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা | 2024-06-16 13:01:10

রাত পোহালেই ঈদ। শেষ মুহূর্তে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়িতে ছুটছেন ঘরমুখী মানুষ। মহাখালী বাস টার্মিনালে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। তবে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকায় মিলেছে বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ।

রোববার (১৬ জুন) দুপুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সকাল থেকেই বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। যারা আগে টিকিট কেটেছেন, তারা অপেক্ষা করছেন বাসের জন্য। অপরদিকে সরাসরি কাউন্টারে এসেও টিকিট কাটছেন অনেকে।

মহাখালী বাস টার্মিনালে একই রুটের বিভিন্ন পরিবহন থাকলেও সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে এনা পরিবহনের কাউন্টারে। দীর্ঘ লাইন ধরে টিকিট কাটছেন যাত্রীরা।

মনিরুল ইসলাম নামের একজন চাকরিজীবী বার্তা২৪.কমকে বলেন, এনা পরিবহনে বাড়তি কোনো ঝামেলা নেই। তাই লাইন ধরে হলেও টিকিট কিনছি।

মহাখালী বাস টার্মিনালে এনা পরিবহনের রয়েছে দুটো কাউন্টার। দুটো কাউন্টারেই সকাল ও দুপুরের টিকিট শেষ। ফলে যারা এখন টিকিট কিনছেন, তাদের বাসে চড়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে বিকেল পর্যন্ত।

সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া রাখছে পরিবহনটি। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের ভাড়া ৩২০ টাকা, হবিগঞ্জের ভাড়া ৪৬০ টাকা,মৌলভীবাজারের ভাড়া ৫৭০ টাকা ও সুনামগঞ্জের ভাড়া রাখা হচ্ছে ৮০০ টাকা।

কাউন্টার ম্যানেজার রফিকুল জানান, আজ যাত্রীর চাপ বেশি। ইতিমধ্যে সব টিকিট শেষ হয়ে গেছে। এখন বিকেল, সন্ধ্যা, রাতের টিকিট বিক্রি হচ্ছে।

এনা পরিবহন ছাড়া অন্যান্য পরিবহনগুলোতে যাত্রীর চাপ তেমন দেখা যায়নি। যাত্রীর তুলনায় এনা বাসের সংখ্যা কম থাকলেও অন্যান্য পরিবহনে তা নেই। টার্মিনালের সামনেই যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে আলম এশিয়া, ইসলাম, রাজীব, এসআই, ইমামসহ বিভিন্ন পরিবহনের বাস।

ইমাম পরিবহনের হেল্পার রফিক বলেন, আমাদের বাস একেবারেই রেডি করা। যাত্রীরা আসবেন আর উঠে যাবেন, কোনো ঝামেলা নেই। বাস ভর্তি হয়ে গেলেই ছেড়ে দেয়া হবে।

এনা পরিবহন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া নিলেও বেশ কিছু পরিবহনে নেয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের বাস ভাড়া ৩২০ টাকা হলেও একই রুটের অন্যান্য বাসগুলো ভাড়া চাইতে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। বিশেষত ইমাম, সৌখিন, আলম এশিয়া বাসে এ বাড়তি ভাড়া নেয়ার প্রবণতা বেশি।

ময়মনসিংহগামী যাত্রী আরাফাত প্রথমে এনা পরিবহনের টিকিট কাটার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, সকাল ও দুপুরের কোনো টিকিট না পেয়ে তিনি অন্যান্য পরিবহনের ভ্রমণের চেষ্টা করেন। তবে সেক্ষেত্রে দেখতে পান, নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে বেশি ভাড়া চাওয়া হচ্ছে।

পরিবহনগুলোর স্টাফরা বলেন, অধিকাংশ বাসগুলো ঢাকা ফিরবে খালি অবস্থায়, তাছাড়া ঈদে কর্মীদের বেতন বোনাস দিতে হয়,তাই ভাড়াটা একটু বেশি নেয়া হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর