এক চেয়ারের দখল নিয়ে মুখোমুখি দুই বন্ধু



মশাহিদ আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: রফিক মিয়া ও ফজর আলী

ছবি: রফিক মিয়া ও ফজর আলী

  • Font increase
  • Font Decrease

রফিক মিয়া ও ফজর আলী। দীর্ঘদিন ধরে তারা ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তাদের বন্ধুত্বের মধ্যে ফাটল দেখা দেয়। ফাটলটা ধরে পৌর মেয়রকে কেন্দ্র করে। এবার সেই ফাটলটি গভীর হচ্ছে। এক চেয়ারে বসা নিয়ে মুখোমুখি দুই হচ্ছেন দুই বন্ধু। এমনই ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভায়। বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে মুহিবুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্তের পর প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের সুবিধার্থে দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে তাদের মধ্যে চলছে তুমুল লড়াই।

তারা দুজন হলেন-৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিক মিয়া ওরফে রফিক হাসান ও ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজর আলী।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিশ্বনাথ পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো.আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে মেয়রকে পদ থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করেন। আদেশের একটি কলামে বলা হয় পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ কে প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের সুবিধার্থে পৌরসভার মেয়রের আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।

আর এই আদেশ জারি হতে না হতেই মেয়রের দায়িত্ব পালন করা নিয়ে প্যানেল মেয়র-১ দাবি করে তুমুল লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন কাউন্সিলর রফিক মিয়া ও কাউন্সিলর ফজর আলী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্যানেল মেয়র-১ হিসেবে মেয়রের দায়িত্ব চালাবেন বলে পৌর শহরে আনন্দ মিছিল করেন রফিক মিয়াসহ ৭ জন কাউন্সিলরদের সমর্থকরা।

আর রাত ৯ টায় প্যানেল মেয়র-১ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজর আলী। মূলত তারা ছিলেন একে অপরের ঘনিষ্ট বন্ধু। কিন্তু সম্প্রতি ৬ জন কাউন্সিলরকে সাথে নিয়ে বরখাস্ত হওয়া মেয়রের সাথে কাউন্সিলর রফিক আলীর দূরত্বের সৃষ্টি হলেও ফজর আলী রয়েছেন মুহিবুর রহমানের পক্ষে।

খোঁজ নিয়ে যায়, বিশ্বনাথ পৌরসভা নির্বাচন ২০২২ সালের ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ওই বছরের ২২ ডিসেম্বর পৌরসভার প্যানেল মেয়র নির্বাচনের লক্ষে এক বিশেষ সাধারণ সভা পৌরসভা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মেয়র মুহিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সর্বসস্মতিক্রমে ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিক মিয়াকে প্রথম প্যানেল মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তার সাথে পৌরসভার ১নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর সাবিনা ইয়াসমিনকে দ্বিতীয় প্যানেল মেয়র এবং ৩নং সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সুমনকে তৃতীয় প্যানেল মেয়র নির্বাচিত করা হয়।

তবে সংবাদ সম্মেলনে ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজর আলী মেয়রকে বরখাস্তের নিন্দা জানিয়ে বলেন, প্রায় ৩ মাস পূর্বে পৌরসভায় একটি মিটিংয়ের মাধ্যমে কাউন্সিলর রফিক আলীকে বাদ দিয়ে আমাকে প্যানেল মেয়র-১ করা হয়েছে। তাই যদি প্রশাসনিক বা আইনের জটিলতা না থাকে তাহলে রোববার থেকে পৌরসভার অফিসে বসে আমি মেয়রের দায়িত্ব পালন করবো। কিন্তু কাউন্সিলর রফিক আলী মামলার আসামি হয়ে মেয়রের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। রফিক আলী মামলার আসামি হয়ে বিভিন্ন দফতরে অনায়াশে চলাফেরা করলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে না। আর আমি এবং মেয়র মামলার আসামি হয়ে আইনকে শ্রদ্ধা করে আদালত থেকে জামিনে আছি। তিনি কাউন্সিলর রফিক আলীকে গ্রেফতারের জন্য জোর দাবি করেন।

এব্যাপারে বিশ্বনাথ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিক মিয়া বলেন, নতুন পরিষদ গঠনের পরপর পৌরসভার প্রথম সভায় আমাকে প্যানেল মেয়র নির্বাচিত করা হয়। মেয়র যখন দুই বিদেশ যান তখন আমি ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বও পালন করেছি। যখন আমরা মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছি তখন মেয়রসহ ওই কাউন্সিলর তাদের মতো করে রেজুলেশন করে কাগজ সৃষ্টি করেছে। যেখানে আমাদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অনাস্থা প্রস্থাবে মেয়রের বিরুদ্ধে আমাদের উপস্থিত স্বাক্ষর নিয়ে বিভিন্নতা লেখালেখি করেছেন ও রেজুলেশন কপি না দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। যা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। কোনো কিছু না বুঝে, না জেনে কাউন্সিলর ফজর আলী ফিতনা সৃষ্টি করার জন্য এসব করছেন।

এদিকে, প্যানেল মেয়র-১ দাবিদার হয়ে মেয়রের দায়িত্ব পালন নিয়ে আগামী রোববার উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, সংঘর্ষের কোনো আশঙ্কা নেই। কেউ যদি কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার ও প্যানেল মেয়র-১ মেয়রের দায়িত্ব পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা আক্তার বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে দুটি বিষয়ের দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপন পেয়েছি।

উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবরে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেন ৭ কাউন্সিলর।

অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ রফিক মিয়া, প্যানেল মেয়র-২ সাবিনা বেগম, ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজুক মিয়া রাজ্জাক, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুর আলী, ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামীম আহমদ, ২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাসনা বেগম ও ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লাকী বেগম।

অনাস্থ প্রস্তাব প্রেরণের পরপরই দুইভাগে বিভক্ত হন কাউন্সিলররা।প্যানেল মেয়র রফিক মিয়াসহ ৭ কাউন্সিলর এক পক্ষে ও মেয়র মুহিবের পক্ষ নেন ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজর আলী, ৬নং ওয়ার্ডের বারাম উদ্দিন, ও ৪নং ওয়ার্ডের মুহিবুর রহমান বাচ্চু।

'বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস ও সাফল্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যুদয় ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমৃদ্ধি আর সাফল্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

দেশের ঐতিহ্যবাহী সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস) উপলক্ষ্যে সোমবার (৩০ জুন) এক বাণীতে তিনি বলেন, 'আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অভিভাবক, অ্যালামনাইসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন।'

রাষ্ট্রপতি বলেন, মানবিক জ্ঞান এবং সাম্প্রতিকতম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নিবিড় সমন্বয়ে বিশ্বমানস্পর্শী হয়ে ওঠার সাধনায় নিয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই উপমহাদেশে উচ্চশিক্ষার বিস্তার, জ্ঞান আহরণ-বিতরণ ও সৃষ্টিতে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই এই অঞ্চলে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটেছে এবং এরই ক্রমধারায় অভ্যুদয় হয়েছে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের।

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন- সংগ্রাম এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ থেকেই দেশের আপামর মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, 'শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল বুদ্ধিজীবীর প্রতি।'

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের 'সোনার বাংলা'-কে বাস্তব রূপ দিতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত, সমৃদ্ধ, 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গঠনে সরকার 'রূপকল্প-২০৪১' ঘোষণা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুফল ভোগ করতে, প্রযুক্তি ও মানবিক মুক্তির অনন্য সংশ্লেষে এগিয়ে যেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। মানসম্মত শিক্ষা, প্রগাঢ় দেশপ্রেম এবং মুক্তমনের মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার মধ্য দিয়েই বাংলদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, 'বাঙালি জাতিসত্তার নিরন্তর বিকাশ ও সকল নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক উদ্ভাসনকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে দেশের উন্নয়নে সকলের সামর্থোর সবটুকু নিয়োজিত করা এবং দেশের জন্য ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরি করাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম লক্ষ্য হতে হবে। বিশ্বমানের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনায় দেশের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠকে আরো বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য 'তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চশিক্ষা' যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।'

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা আরও বেগবান হোক এবং এ বিদ্যায়তনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সুনিপুণভাবে বাস্তবায়িত হোক- এই প্রত্যাশা করছি। নতুন জ্ঞান ও আলোকিত মানুষ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে শোভা পাক অগ্রণী বাংলাদেশের আলোকবর্তিকা।

রাষ্ট্রপতি 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস' উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

;

কুষ্টিয়ায় এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪ শিক্ষককে অব্যাহতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এইচএসসি পরীক্ষায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর গার্লস কলেজ কেন্দ্রের চার শিক্ষককে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষাকক্ষে দায়িত্ব পালন করার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।

অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকেরা হলেন, আল্লারদর্গা নুরুজ্জামান বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, বড়গাংদিয়া নাসির উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জাহিদ হোসেন, আহসাননগর কারিগরি কলেজের প্রভাষক মামুন অর রশিদ ও মাজহারুল হক।

দৌলতপুর গার্লস কলেজ কেন্দ্রের সচিব অধ্যক্ষ রেজাউল করিম জানান, মোবাইল ফোন উদ্ধার করে চার শিক্ষকদের বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ। পরে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, চার শিক্ষককে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

;

ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের নতুন যুগে প্রবেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের নতুন যুগে প্রবেশ

ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের নতুন যুগে প্রবেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই) থেকে ভূমি উন্নয়ন করের নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল হবে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।

রোববার (৩০ জুন) ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এই পরিবর্তনের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ব্যবস্থাপনাকে জাতীয় অর্থ বছরের সাথে সমন্বিত করা হয়েছে। পূর্বে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল ছিল বাংলা সনের ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত। জাতীয় অর্থ বছরের সাথে সমন্বয়ের ফলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ভূমি মালিকের ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান সম্পর্কিত হিসাব ব্যবস্থাপনা অধিকতর সহজ ও গতিশীল হবে। এছাড়া জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমি উন্নয়ন করের প্রভাব নির্ণয় অধিকতর সুবিধাজনক হবে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা উদ্বোধন করেন। পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ (১৪ এপ্রিল ২০২৩) থেকে সারা দেশব্যাপী ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে আদায় করা হচ্ছে। ভূমি (উন্নয়ন) কর ব্যবস্থার জন্য আন্তর্জাতিক উইসিস পুরস্কার ২০২২ অর্জন করে ভূমি মন্ত্রণালয়। ভূমি উন্নয়ন কর ডিজিটালাইজেশনের ফলে ভূমি খাতে রাজস্ব আদায়ের হার আগের চেয়ে তিন গুণ বা ২০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশে, ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা স্মার্ট করার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

;

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বাবারও মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কু‌ড়িগ্রামের উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) রাত ৮টার দিকে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দলদ‌লিয়া ইউনিয়‌নের অর্জুন লালমস‌জিদ এলাকার আবু তাহের (৫৬) ও তার ছেলে রাসেল মিয়া (১৭) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।

বিষয়‌টি নি‌শ্চিত করেছেন দলদ‌লিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী।

তি‌নি জানান, রাত ৮টার দিকে রাসেল মিয়া বা‌ড়ীতে বৈদ্যুতিক বোর্ডের কাজ করছিল। এ সময় সে অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে ছেলের আর্তনাদে বাবা আবু তাহের সন্তানকে উদ্ধারের জন্য এ গিয়ে আসেন। পরে বাপ-ছেলে দুজনই ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।

উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ও‌সি) গোলাম মর্তুজা জানান, খবর পে‌য়ে ঘটনাস্থ‌লে পুলিশ পাঠা‌নো হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপর দিকে, রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপ‌জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আজাদ আলী (৫৫) নামের এক অ‌টো‌রিকশা চালকের মৃত্যু হয়। তি‌নি উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ পূর্বটারী গ্রামের বাবর আলীর ছেলে। নিহত আজাদ তার অটোরিকশা‌টি চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ সময় বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চি‌কিৎসক তাকে মৃত‌ ঘোষণা করেন।

বিষয়‌টি নি‌শ্চিত করেছেন রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবা‌সিক মেডিকেল অ‌ফিসার (আরএমও) আহসানুল ক‌রিম।

তিনি জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

;