চুয়াডাঙ্গায় পৃথক ট্রেন দুর্ঘটনা, প্রতিবন্ধী যুবক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় পৃথক স্থানে ট্রেন দুর্ঘটনায় আলামিন হোসেন (২৮) নামের এক বাকপ্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মারাত্মক জখম হয়েছেন ইসরাফিল হোসেন (৪০) নামের এক আলমসাধু চালক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদরের গাইদঘাট ও দুপুর ১২টার দিকে দামুড়হুদার দুধপাতিলা এলাকায় পৃথক দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আলামিন হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ডিহি কৃষ্ণপুর গ্রামের ঝণ্টুর ছেলে এবং আহত ইসরাফিল হোসেন আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের মাজহাট গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে বাকপ্রতিবন্ধী আলামিন হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার ছোট দুধপাতিলা গ্রামে নানার বাড়িতে এসেছিলেন। সেখান থেকে দুপুর ১২টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। দুধপাতিলা রেললাইনের পাশে পৌঁছালে কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তর্জাতিক মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন তাকে ধাক্কা দেয়। মারাত্মক জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দর্শনা রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ।

দর্শনা রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান বলেন, শুক্রবার দুপুরে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় বাকপ্রতিবন্ধী এক যুবক নিহত হয়েছেন। আমরা তার লাশ উদ্ধার করেছি। নিহতর পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকলে ও তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হবে। পরবর্তী আইনানুগ বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

এদিকে, শুক্রবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাইদঘাট এলাকায় ট্রেনের সাথে ইঞ্জিনচালিত অবৈধ যান আলমসাধুর মুখোমুখী সংঘর্ষে চালক ইসরাফিল হোসেন জখম হয়েছেন। পরে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকালে ড্রাগন ফল বোঝাই একটি আলমসাধু গাইদঘাট গ্রামের অরক্ষিত রেললাইন পার হচ্ছিল। এসময় এই লাইনে দিয়ে রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেন আসছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে আলমসাধুর সংঘর্ষ হয়। আলমসাধু দুমড়ে-মুচড়ে রেললাইনের একপাশে পড়ে। এতে আলমসাধু চালক ইসরাফিল হোসেন মারাত্মক জখম হন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জোবায়দা জামান জয়া বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় ইসরাফিল নামের এক ব্যক্তি মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। 

চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে ড্রাগন বোঝায় একটি আলমসাধুর সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে কি না, নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।

'বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস ও সাফল্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যুদয় ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমৃদ্ধি আর সাফল্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

দেশের ঐতিহ্যবাহী সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস) উপলক্ষ্যে সোমবার (৩০ জুন) এক বাণীতে তিনি বলেন, 'আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অভিভাবক, অ্যালামনাইসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন।'

রাষ্ট্রপতি বলেন, মানবিক জ্ঞান এবং সাম্প্রতিকতম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নিবিড় সমন্বয়ে বিশ্বমানস্পর্শী হয়ে ওঠার সাধনায় নিয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই উপমহাদেশে উচ্চশিক্ষার বিস্তার, জ্ঞান আহরণ-বিতরণ ও সৃষ্টিতে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই এই অঞ্চলে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটেছে এবং এরই ক্রমধারায় অভ্যুদয় হয়েছে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের।

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন- সংগ্রাম এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ থেকেই দেশের আপামর মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, 'শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল বুদ্ধিজীবীর প্রতি।'

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের 'সোনার বাংলা'-কে বাস্তব রূপ দিতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত, সমৃদ্ধ, 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গঠনে সরকার 'রূপকল্প-২০৪১' ঘোষণা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুফল ভোগ করতে, প্রযুক্তি ও মানবিক মুক্তির অনন্য সংশ্লেষে এগিয়ে যেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। মানসম্মত শিক্ষা, প্রগাঢ় দেশপ্রেম এবং মুক্তমনের মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার মধ্য দিয়েই বাংলদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, 'বাঙালি জাতিসত্তার নিরন্তর বিকাশ ও সকল নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক উদ্ভাসনকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে দেশের উন্নয়নে সকলের সামর্থোর সবটুকু নিয়োজিত করা এবং দেশের জন্য ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরি করাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম লক্ষ্য হতে হবে। বিশ্বমানের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনায় দেশের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠকে আরো বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য 'তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চশিক্ষা' যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।'

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা আরও বেগবান হোক এবং এ বিদ্যায়তনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সুনিপুণভাবে বাস্তবায়িত হোক- এই প্রত্যাশা করছি। নতুন জ্ঞান ও আলোকিত মানুষ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে শোভা পাক অগ্রণী বাংলাদেশের আলোকবর্তিকা।

রাষ্ট্রপতি 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস' উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

;

কুষ্টিয়ায় এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪ শিক্ষককে অব্যাহতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এইচএসসি পরীক্ষায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর গার্লস কলেজ কেন্দ্রের চার শিক্ষককে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষাকক্ষে দায়িত্ব পালন করার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।

অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকেরা হলেন, আল্লারদর্গা নুরুজ্জামান বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, বড়গাংদিয়া নাসির উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জাহিদ হোসেন, আহসাননগর কারিগরি কলেজের প্রভাষক মামুন অর রশিদ ও মাজহারুল হক।

দৌলতপুর গার্লস কলেজ কেন্দ্রের সচিব অধ্যক্ষ রেজাউল করিম জানান, মোবাইল ফোন উদ্ধার করে চার শিক্ষকদের বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ। পরে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, চার শিক্ষককে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

;

ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের নতুন যুগে প্রবেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের নতুন যুগে প্রবেশ

ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের নতুন যুগে প্রবেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই) থেকে ভূমি উন্নয়ন করের নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল হবে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।

রোববার (৩০ জুন) ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এই পরিবর্তনের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ব্যবস্থাপনাকে জাতীয় অর্থ বছরের সাথে সমন্বিত করা হয়েছে। পূর্বে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল ছিল বাংলা সনের ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত। জাতীয় অর্থ বছরের সাথে সমন্বয়ের ফলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ভূমি মালিকের ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান সম্পর্কিত হিসাব ব্যবস্থাপনা অধিকতর সহজ ও গতিশীল হবে। এছাড়া জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমি উন্নয়ন করের প্রভাব নির্ণয় অধিকতর সুবিধাজনক হবে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা উদ্বোধন করেন। পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ (১৪ এপ্রিল ২০২৩) থেকে সারা দেশব্যাপী ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে আদায় করা হচ্ছে। ভূমি (উন্নয়ন) কর ব্যবস্থার জন্য আন্তর্জাতিক উইসিস পুরস্কার ২০২২ অর্জন করে ভূমি মন্ত্রণালয়। ভূমি উন্নয়ন কর ডিজিটালাইজেশনের ফলে ভূমি খাতে রাজস্ব আদায়ের হার আগের চেয়ে তিন গুণ বা ২০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশে, ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা স্মার্ট করার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

;

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বাবারও মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কু‌ড়িগ্রামের উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) রাত ৮টার দিকে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দলদ‌লিয়া ইউনিয়‌নের অর্জুন লালমস‌জিদ এলাকার আবু তাহের (৫৬) ও তার ছেলে রাসেল মিয়া (১৭) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।

বিষয়‌টি নি‌শ্চিত করেছেন দলদ‌লিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী।

তি‌নি জানান, রাত ৮টার দিকে রাসেল মিয়া বা‌ড়ীতে বৈদ্যুতিক বোর্ডের কাজ করছিল। এ সময় সে অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে ছেলের আর্তনাদে বাবা আবু তাহের সন্তানকে উদ্ধারের জন্য এ গিয়ে আসেন। পরে বাপ-ছেলে দুজনই ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।

উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ও‌সি) গোলাম মর্তুজা জানান, খবর পে‌য়ে ঘটনাস্থ‌লে পুলিশ পাঠা‌নো হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপর দিকে, রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপ‌জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আজাদ আলী (৫৫) নামের এক অ‌টো‌রিকশা চালকের মৃত্যু হয়। তি‌নি উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ পূর্বটারী গ্রামের বাবর আলীর ছেলে। নিহত আজাদ তার অটোরিকশা‌টি চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ সময় বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চি‌কিৎসক তাকে মৃত‌ ঘোষণা করেন।

বিষয়‌টি নি‌শ্চিত করেছেন রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবা‌সিক মেডিকেল অ‌ফিসার (আরএমও) আহসানুল ক‌রিম।

তিনি জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

;