দুই বন্ধু শুয়ে আছেন পাশাপাশি, লাশঘরে…



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
দুই বন্ধু শুয়ে আছেন পাশাপাশি, লাশঘরে…। ছবি: বার্তা২৪.কম

দুই বন্ধু শুয়ে আছেন পাশাপাশি, লাশঘরে…। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশেই লাশঘর। সেখানে পাশাপাশি দুটি আসনে শুয়ে আছেন দুই বন্ধু-মোহাম্মদ শাহেদ ও মোহাম্মদ ইকবাল। আড্ডা ছাড়া দুই বন্ধুর সময়ই কাটত না। কাছাকাছি থেকেও সেই দুই বন্ধুর মুখেই কিনা আজ নেই কোনো কথা, সুখ-দুঃখের গল্প। হবেই বা কি করে-আগুনের ধোঁয়ার কুন্ডুলীতে যে দুই বন্ধুর শরীর নিস্তব্ধ হয়ে গেছে চিরতরে।

শাহেদ ও ইকবাল-দুই বন্ধুই প্রায় কাছাকাছি বয়সের। শাহেদ ১৮ বছরের আর ইকবালের বয়স ১৭। সাতকানিয়ার মির্জাখীল এলাকার বাসিন্দা এই দুই তরুণ ছোটকাল থেকেই বেড়ে ওঠেছেন একসঙ্গে। পরে চট্টগ্রাম শহরে এসে দুটি দোকানে চাকরি নেন দুই বন্ধু। পুরো সপ্তাহে নিজ নিজ কর্মস্থলে দুজন ব্যস্ত থাকলেও এক বন্ধুর মন পড়ে থাকত আরেক বন্ধুর কাছে। তাই তো বৃহস্পতিবার রাত এলেই শাহেদের বাসায় ছুঁটে আসতেন ইকবাল। গল্প-আড্ডা-মুঠোফোনে গেমস খেলতে খেলতেই কবে যে দুই বন্ধুর রাত শেষ হয়ে যেত নিজেরাই জানতেন না। বন্ধু শাহেদের সঙ্গে সময় কাটানোর পর শুক্রবার বিদায় নিয়ে ইকবাল ফিরতেন নিজের বাসায়। এবার আর এক বন্ধু আরেক বন্ধুর কাছ থেকে বিদায় নিতে পারেননি। তারই আগে যে জীবন থেকেই বিদায় নিয়েছেন দুজন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মধ্যরাতে রিয়াজউদ্দিন বাজারে লাগা আগুনে দুই বন্ধুই হারিয়েছেন প্রাণ। তাঁদের পাশাপাশি মারা গেছেন মোহাম্মদ রিদোয়ান নামের ৪৫ বছরের এক যুবকও।

মোহাম্মদ শাহেদ রিয়াজউদ্দিন বাজারের রেজওয়ান কমপ্লেক্সের আজওয়ার টেলিকম নামের একটি মুঠোফোনের যন্ত্রাংশ বিক্রির দোকানে চাকরি করতেন। ইকবাল অন্য একটি দোকানে চাকরি করতেন।

আজওয়ার টেলিকমের মালিক সাজ্জাদ মিয়া তাঁর কর্মী শাহেদকে হারিয়ে শোকাস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন শাহেদকে উদ্ধারের জন্য। কিন্তু কোনোভাবেই পারেননি।

সাজ্জাদ মিয়া বলেন, 'শাহেদ ও ইকবাল ছিল ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এক বন্ধুর জন্য আরেক বন্ধুর টান কতটা সেটা আমি অনুভব করতাম। ব্যবসার ফাঁকে সুযোগ পেলেই ইকবালের সঙ্গে ফোনে কথাট বলত শাহেদ। আমি বৃহস্পতিবার বাড়িতে গেলে বাসা ফাঁকা থাকত। তাই ইকবালকে নিয়ে আসত শাহেদ। আগুন লাগার সময় দুই বন্ধু বাসাতেই ছিল। মৃত্যুও হলো একসঙ্গেই।'

রেজওয়ান কমপ্লেক্সের গা ঘেঁষেই মোহাম্মদী প্লাজা। এই প্লাজার দোতলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের রেজওয়ান কমপ্লেক্সে। আর তাতে প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন।

মোহাম্মদী কমপ্লেক্সের অ্যাওয়ে টেলিকমের মোহাম্মদ রিদোয়ানের সঙ্গে পরিচয় ছিল মোহাম্মদ শাহেদের। তিনি বলেন, শাহেদ ও ইকবাল দুজনকেই চিনতাম। তারা খুব কাছের বন্ধু ছিলেন। বৃহস্পতিবার এলেই ইকবাল ছুটে আসতেন বন্ধু শাহেদের বাসায়। শুনেছি আগুন ধরলে তাদের কেও কেও ডাকাডাকি করেন, তবে তারা কানে হেডফোন গুঁজে গেমস খেলায় সেটি শোনেননি। পরে আগুন বেড়ে গেলে তারা বুঝতে পারেন। কিন্তু ততক্ষণে কালো ধোঁয়া তাদের ঘিরে ফেলে। সেই ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান তাঁরা।'

শাহেদ ও ইকবালের প্রাণ হারানোর খবরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন স্বজনেরা

আগুনে শাহেদ ও ইকবালের প্রাণ হারানোর খবরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন স্বজনেরা। জরুরি বিভাগের পাশের একটি কক্ষে বসিয়ে তাদের কাছ থেকে নানা তথ্য নেন পুলিশের সদস্যরা।

সাতকানিয়ার বাংলাবাজার মির্জাখীলের কুতুব পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন শাহেদ ও ইকবাল। ছেলেকে হারিয়ে কথা বলার পরিস্থিতিতে নেই শাহেদের শোকাস্তবদ্ধ বাবা বেঠা মিয়া। তিনি মাথায় হাত দিয়ে বসে ছিলেন পুরোটা সময়।

ভাগ্নের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন মামা মোহাম্মদ সোলায়মান। বলেন, ছোটকালে কোলেপিঠে করে ওকে বড় করেছি। তাকে আবার পিঠে নিয়ে কবরস্থানে নিতে হবে ভাবিনি কোনোদিন।

সোলায়মানের মন পুড়ছে ভাগ্নের বন্ধু ইকবালের জন্যও। বলেন, 'শাহেদ আর ইকবাল ছোটবেলা থেকেই বন্ধু। এক বিছানায় ঘুমানো, এক প্লেটে খাওয়ার মতো বন্ধু ছিল দুজন। ইকবাল আমার ভাগ্নের বাসায় এসেছিল বেড়াতে। বেড়াতে এসে তাকেও মর্মান্তিকভাবে মারা যেতে হলো। কাকে আর দোষ দেব।'

ভাগ্নে শাহেদের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন মামা মোহাম্মদ সোলায়মান

শাহেদরা দুই ভাই। বড় ভাই সৌদি আরব প্রবাসী। শাহেদের চাচা জসিম উদ্দিন বলেন, রিয়াজউদ্দিন বাজারে আগুন ধরেছে আমরা সেটি রাতেই খবর পাই। কিন্তু সেখানে যে আমার ভাতিজা আটকা পড়েছে সেটি জানতাম না।

সকালে খবর পাই শাহেদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে চমেক হাসপাতালে এসে তাঁর মরদেহ খুঁজে পাই। পেয়েছি তার বন্ধু ইকবালের মরদেহও। দুই বন্ধুই ১৭-১৮ বছরের। একজন আরেকজনকে ছাড়া থাকতে পারত না। এখন মারাও গেল একসঙ্গে।

আগুনে বেশকিছু দোকান পুড়ে ছাই হলেও অক্ষত আছে শাহেদ যে দোকানে চাকরি করতেন সেটি। আজওয়ার টেলিকম নামের সেই দোকানের মালিক সাজ্জাদ মিয়ার তবু মন খারাপ। এই মন খারাপের পুরোটাই শাহেদের জন্য। বলেন, গতকাল একসঙ্গে দোকানে বসে দুজন ক্রেতা সামলালাম। রাতে ওর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি গেলাম। শেষ রাতে এসে দেখি ও নাই হয়ে গেল। কীভাবে মানব? আরো খারাপ লাগছে ওর সঙ্গে সময় কাটাতে এসে মারা যাওয়া বন্ধু ইকবালের জন্য।'

শাহেদ ও ইকবাল-সারাজীবন একই সুঁতোয় বাঁধা ছিল দুই বন্ধুর জীবন। মৃত্যুর পথেও পাড়ি দিলেন একইসঙ্গে। কিছু সময়ের ব্যবধানে দূরে কোথায়, অন্য কোনোখানে হয়তো আবারও দেখা হয়ে যাবে দুই অভিন্ন আত্মার!

'বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস ও সাফল্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যুদয় ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমৃদ্ধি আর সাফল্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

দেশের ঐতিহ্যবাহী সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস) উপলক্ষ্যে সোমবার (৩০ জুন) এক বাণীতে তিনি বলেন, 'আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অভিভাবক, অ্যালামনাইসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন।'

রাষ্ট্রপতি বলেন, মানবিক জ্ঞান এবং সাম্প্রতিকতম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নিবিড় সমন্বয়ে বিশ্বমানস্পর্শী হয়ে ওঠার সাধনায় নিয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই উপমহাদেশে উচ্চশিক্ষার বিস্তার, জ্ঞান আহরণ-বিতরণ ও সৃষ্টিতে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই এই অঞ্চলে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটেছে এবং এরই ক্রমধারায় অভ্যুদয় হয়েছে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের।

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন- সংগ্রাম এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ থেকেই দেশের আপামর মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, 'শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল বুদ্ধিজীবীর প্রতি।'

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের 'সোনার বাংলা'-কে বাস্তব রূপ দিতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত, সমৃদ্ধ, 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গঠনে সরকার 'রূপকল্প-২০৪১' ঘোষণা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুফল ভোগ করতে, প্রযুক্তি ও মানবিক মুক্তির অনন্য সংশ্লেষে এগিয়ে যেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। মানসম্মত শিক্ষা, প্রগাঢ় দেশপ্রেম এবং মুক্তমনের মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার মধ্য দিয়েই বাংলদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, 'বাঙালি জাতিসত্তার নিরন্তর বিকাশ ও সকল নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক উদ্ভাসনকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে দেশের উন্নয়নে সকলের সামর্থোর সবটুকু নিয়োজিত করা এবং দেশের জন্য ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরি করাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম লক্ষ্য হতে হবে। বিশ্বমানের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনায় দেশের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠকে আরো বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য 'তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চশিক্ষা' যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।'

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা আরও বেগবান হোক এবং এ বিদ্যায়তনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সুনিপুণভাবে বাস্তবায়িত হোক- এই প্রত্যাশা করছি। নতুন জ্ঞান ও আলোকিত মানুষ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে শোভা পাক অগ্রণী বাংলাদেশের আলোকবর্তিকা।

রাষ্ট্রপতি 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস' উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

;

কুষ্টিয়ায় এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪ শিক্ষককে অব্যাহতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এইচএসসি পরীক্ষায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর গার্লস কলেজ কেন্দ্রের চার শিক্ষককে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষাকক্ষে দায়িত্ব পালন করার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।

অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকেরা হলেন, আল্লারদর্গা নুরুজ্জামান বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, বড়গাংদিয়া নাসির উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জাহিদ হোসেন, আহসাননগর কারিগরি কলেজের প্রভাষক মামুন অর রশিদ ও মাজহারুল হক।

দৌলতপুর গার্লস কলেজ কেন্দ্রের সচিব অধ্যক্ষ রেজাউল করিম জানান, মোবাইল ফোন উদ্ধার করে চার শিক্ষকদের বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ। পরে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, চার শিক্ষককে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

;

ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের নতুন যুগে প্রবেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের নতুন যুগে প্রবেশ

ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের নতুন যুগে প্রবেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই) থেকে ভূমি উন্নয়ন করের নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল হবে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।

রোববার (৩০ জুন) ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এই পরিবর্তনের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ব্যবস্থাপনাকে জাতীয় অর্থ বছরের সাথে সমন্বিত করা হয়েছে। পূর্বে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল ছিল বাংলা সনের ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত। জাতীয় অর্থ বছরের সাথে সমন্বয়ের ফলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ভূমি মালিকের ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান সম্পর্কিত হিসাব ব্যবস্থাপনা অধিকতর সহজ ও গতিশীল হবে। এছাড়া জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমি উন্নয়ন করের প্রভাব নির্ণয় অধিকতর সুবিধাজনক হবে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা উদ্বোধন করেন। পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ (১৪ এপ্রিল ২০২৩) থেকে সারা দেশব্যাপী ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে আদায় করা হচ্ছে। ভূমি (উন্নয়ন) কর ব্যবস্থার জন্য আন্তর্জাতিক উইসিস পুরস্কার ২০২২ অর্জন করে ভূমি মন্ত্রণালয়। ভূমি উন্নয়ন কর ডিজিটালাইজেশনের ফলে ভূমি খাতে রাজস্ব আদায়ের হার আগের চেয়ে তিন গুণ বা ২০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশে, ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা স্মার্ট করার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

;

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বাবারও মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কু‌ড়িগ্রামের উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) রাত ৮টার দিকে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দলদ‌লিয়া ইউনিয়‌নের অর্জুন লালমস‌জিদ এলাকার আবু তাহের (৫৬) ও তার ছেলে রাসেল মিয়া (১৭) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।

বিষয়‌টি নি‌শ্চিত করেছেন দলদ‌লিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী।

তি‌নি জানান, রাত ৮টার দিকে রাসেল মিয়া বা‌ড়ীতে বৈদ্যুতিক বোর্ডের কাজ করছিল। এ সময় সে অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে ছেলের আর্তনাদে বাবা আবু তাহের সন্তানকে উদ্ধারের জন্য এ গিয়ে আসেন। পরে বাপ-ছেলে দুজনই ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।

উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ও‌সি) গোলাম মর্তুজা জানান, খবর পে‌য়ে ঘটনাস্থ‌লে পুলিশ পাঠা‌নো হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপর দিকে, রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপ‌জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আজাদ আলী (৫৫) নামের এক অ‌টো‌রিকশা চালকের মৃত্যু হয়। তি‌নি উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ পূর্বটারী গ্রামের বাবর আলীর ছেলে। নিহত আজাদ তার অটোরিকশা‌টি চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ সময় বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চি‌কিৎসক তাকে মৃত‌ ঘোষণা করেন।

বিষয়‌টি নি‌শ্চিত করেছেন রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবা‌সিক মেডিকেল অ‌ফিসার (আরএমও) আহসানুল ক‌রিম।

তিনি জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

;