আমেরিকার ফরেন পলিসি তৈরিতে বাংলাদেশ পরামর্শ দিবে: মোমেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন

ছবি: সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন

  • Font increase
  • Font Decrease

ভবিষ্যতে আমেরিকার ফরেন পলিসি কি হওয়া উচিত সে বিষয়ে বাংলাদেশের পরামর্শ দেওয়ার সময় এসেছে জানিয়ে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমেরিকার ফরেন পলিসি কি ধরনের হওয়া উচিত সে গুলোতে আমরা উপদেশ দিব। আমাদের এখন উপদেশ নেয়ার সময় নয়, আমাদের এখন উপদেশ দেয়ার সময়। আমেরিকা যদি তাদের ফরেন পলিসি পরিবর্তন করে এবং দুনিয়ার মানুষের কথা চিন্তা করে। তাহলে তারা বিশ্বের নেতা হবে। আর যদি তাদের নীচু মন মানসিকতা প্রকাশ পেতে থাকে তাহলে কিন্তু তারা বিশ্বের মধ্যে কুলাঙ্গার হবে।

শুক্রবার (২৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খা হলে 'আওয়ামীলীগের সফল ও গৌরবময় পথচলার ৭৫ বছর' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভাটির আয়োজন করে এডুকেশন রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (ইআরডিএফবি)।

মোমেন বলেন, আগামী পৃথিবীর ভবিষ্যৎ কি হবে এটা নিয়ে ভাবার সময় এখন এসেছে। কারণ ইতিমধ্যে জঞ্জাল লেগে গেছে। পৃথিবী ঘিরে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব বিরাজ করছে। তাই আমাদের এডুকেশন রিসার্চের গবেষণা করা উচিত যে বিশ্বের ভবিষ্যৎ কি ধরনের হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, দুনিয়া নিয়ে ভাবার সময় আমাদের এখন এসেছে। আমরা তাদের আঙ্গুল দিয়ে দেখায় দিতে চাই। এজন্যই আমাদের প্রয়োজন আছে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের।

সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোর প্রতি আমাদের দাবি এই অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করে মানুষের মনমানসিকতা ও সংস্কৃতির বিকাশে সেই টাকা গুলো খরচ করেন। ২৩শ বিলিয়ন ডলার তারা শুধু অস্ত্র কেনা বা ডিফেন্সের নামে তা সবই মেকিং। আমরা যদি মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যবোধ তৈরি করতে পারি তাহলে ওইগুলোর প্রয়োজন হবে না। আজকে যারা গবেষণা করে তাদেরকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কিভাবে ডাইভারসিফিকেশনের মাধ্যমে এই অর্থ মানুষের বিকাশের জন্য কাজে লেগে পৃথিবীতে সুন্দর একটা রূপ দেয়া যায়।

পশ্চিমা বিশ্বের ফ্রি থিংকিং এর পরিধি সীমিত হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, সম্প্রীতি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি আমাকে দাওয়াত দেয়, জিও পলিটিক্স এর বিষয়ে আলোচনা করতে। তারপর তারা আমাকে শর্তও দিয়ে দেয় যে, আপনি গাঁজা এবং ফিলিস্তিনের ইস্যুতে কোন কথা বলবেন না। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির মতন বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে উন্মুক্তভাবে সকল কিছু আলোচনা করা যায়। তারা এখন কতটা ন্যারো মাইন্ডেড হয়ে গেছে এর মাধ্যমে বুঝা যায়।

মোমেন বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে ল্যান্ড অফ ফ্রিডম স্পিচ এন্ড ফ্রি মডিয়া। গত ৭০ বছরে আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে তারা একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র তৈরি করেছে। শুধু দেশ তৈরি নয়, সেই দেশটাকে শক্ত ভীমের উপর প্রস্তুত করার জন্য যা যা দরকার তাই করেছে। এজন্য ধন্য শেখ হাসিনা ধন্য তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার।

আলোচনা সভায় মূল আলোচেক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।

আলোচনা সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন।

'বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস ও সাফল্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যুদয় ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমৃদ্ধি আর সাফল্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

দেশের ঐতিহ্যবাহী সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস) উপলক্ষ্যে সোমবার (৩০ জুন) এক বাণীতে তিনি বলেন, 'আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অভিভাবক, অ্যালামনাইসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন।'

রাষ্ট্রপতি বলেন, মানবিক জ্ঞান এবং সাম্প্রতিকতম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নিবিড় সমন্বয়ে বিশ্বমানস্পর্শী হয়ে ওঠার সাধনায় নিয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই উপমহাদেশে উচ্চশিক্ষার বিস্তার, জ্ঞান আহরণ-বিতরণ ও সৃষ্টিতে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই এই অঞ্চলে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটেছে এবং এরই ক্রমধারায় অভ্যুদয় হয়েছে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের।

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন- সংগ্রাম এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ থেকেই দেশের আপামর মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, 'শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল বুদ্ধিজীবীর প্রতি।'

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের 'সোনার বাংলা'-কে বাস্তব রূপ দিতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত, সমৃদ্ধ, 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গঠনে সরকার 'রূপকল্প-২০৪১' ঘোষণা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুফল ভোগ করতে, প্রযুক্তি ও মানবিক মুক্তির অনন্য সংশ্লেষে এগিয়ে যেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। মানসম্মত শিক্ষা, প্রগাঢ় দেশপ্রেম এবং মুক্তমনের মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার মধ্য দিয়েই বাংলদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, 'বাঙালি জাতিসত্তার নিরন্তর বিকাশ ও সকল নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক উদ্ভাসনকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে দেশের উন্নয়নে সকলের সামর্থোর সবটুকু নিয়োজিত করা এবং দেশের জন্য ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরি করাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম লক্ষ্য হতে হবে। বিশ্বমানের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনায় দেশের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠকে আরো বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য 'তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চশিক্ষা' যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।'

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা আরও বেগবান হোক এবং এ বিদ্যায়তনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সুনিপুণভাবে বাস্তবায়িত হোক- এই প্রত্যাশা করছি। নতুন জ্ঞান ও আলোকিত মানুষ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে শোভা পাক অগ্রণী বাংলাদেশের আলোকবর্তিকা।

রাষ্ট্রপতি 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস' উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

;

কুষ্টিয়ায় এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪ শিক্ষককে অব্যাহতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এইচএসসি পরীক্ষায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর গার্লস কলেজ কেন্দ্রের চার শিক্ষককে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষাকক্ষে দায়িত্ব পালন করার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।

অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকেরা হলেন, আল্লারদর্গা নুরুজ্জামান বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, বড়গাংদিয়া নাসির উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জাহিদ হোসেন, আহসাননগর কারিগরি কলেজের প্রভাষক মামুন অর রশিদ ও মাজহারুল হক।

দৌলতপুর গার্লস কলেজ কেন্দ্রের সচিব অধ্যক্ষ রেজাউল করিম জানান, মোবাইল ফোন উদ্ধার করে চার শিক্ষকদের বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ। পরে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, চার শিক্ষককে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

;

ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের নতুন যুগে প্রবেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের নতুন যুগে প্রবেশ

ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের নতুন যুগে প্রবেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই) থেকে ভূমি উন্নয়ন করের নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল হবে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।

রোববার (৩০ জুন) ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এই পরিবর্তনের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ব্যবস্থাপনাকে জাতীয় অর্থ বছরের সাথে সমন্বিত করা হয়েছে। পূর্বে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল ছিল বাংলা সনের ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত। জাতীয় অর্থ বছরের সাথে সমন্বয়ের ফলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ভূমি মালিকের ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান সম্পর্কিত হিসাব ব্যবস্থাপনা অধিকতর সহজ ও গতিশীল হবে। এছাড়া জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমি উন্নয়ন করের প্রভাব নির্ণয় অধিকতর সুবিধাজনক হবে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা উদ্বোধন করেন। পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ (১৪ এপ্রিল ২০২৩) থেকে সারা দেশব্যাপী ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে আদায় করা হচ্ছে। ভূমি (উন্নয়ন) কর ব্যবস্থার জন্য আন্তর্জাতিক উইসিস পুরস্কার ২০২২ অর্জন করে ভূমি মন্ত্রণালয়। ভূমি উন্নয়ন কর ডিজিটালাইজেশনের ফলে ভূমি খাতে রাজস্ব আদায়ের হার আগের চেয়ে তিন গুণ বা ২০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশে, ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা স্মার্ট করার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

;

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বাবারও মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কু‌ড়িগ্রামের উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) রাত ৮টার দিকে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দলদ‌লিয়া ইউনিয়‌নের অর্জুন লালমস‌জিদ এলাকার আবু তাহের (৫৬) ও তার ছেলে রাসেল মিয়া (১৭) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।

বিষয়‌টি নি‌শ্চিত করেছেন দলদ‌লিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী।

তি‌নি জানান, রাত ৮টার দিকে রাসেল মিয়া বা‌ড়ীতে বৈদ্যুতিক বোর্ডের কাজ করছিল। এ সময় সে অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে ছেলের আর্তনাদে বাবা আবু তাহের সন্তানকে উদ্ধারের জন্য এ গিয়ে আসেন। পরে বাপ-ছেলে দুজনই ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।

উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ও‌সি) গোলাম মর্তুজা জানান, খবর পে‌য়ে ঘটনাস্থ‌লে পুলিশ পাঠা‌নো হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপর দিকে, রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপ‌জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আজাদ আলী (৫৫) নামের এক অ‌টো‌রিকশা চালকের মৃত্যু হয়। তি‌নি উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ পূর্বটারী গ্রামের বাবর আলীর ছেলে। নিহত আজাদ তার অটোরিকশা‌টি চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ সময় বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চি‌কিৎসক তাকে মৃত‌ ঘোষণা করেন।

বিষয়‌টি নি‌শ্চিত করেছেন রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবা‌সিক মেডিকেল অ‌ফিসার (আরএমও) আহসানুল ক‌রিম।

তিনি জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

;