প্রতারণা করে ১৮ লাখ টাকার মালামাল হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্র

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর | 2024-06-29 19:12:49

প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করা হতো ব্যবসায়ীদের মোবাইল নাম্বার। এরপর প্রবাসী সেজে ওইসব ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করে দেয়া হতো লাখ টাকার রড, সিমেন্ট ঢেউটিন কেনার চাহিদা। প্রথমে কিছু টাকা অগ্রিম দিয়ে বাকী টাকা পণ্য পাওয়ার পর ব্যাংক মারাফত পরিশোধ করার আশ্বাস দিতেন প্রতারকরা। পণ্য পাওয়ার পর তাদের আর খোঁজ মেলেনা। ডিবির জালে ওই প্রতারক চক্রের তিন সদস্য ধরা পরার পর বেড়িয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

শনিবার যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যলয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ডিবি জানায় সংঘবদ্ধ এই প্রতারক চক্র এখন পর্যন্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতারণা করে ১৮ লাখ টাকার বেশি মালামাল হাতিয়ে নিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা মাগুরা জেলার মিঠু মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মোস্তাক ও রুবেল হোসেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম জানান, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রড, সিমেন্ট ব্যবসায়ীদের সাথে এমন প্রতারণা করে আসছিলো। গত ১৩ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত যশোর পুলেরহাট বাজারের হীরা এন্টারপ্রাইজ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতারক চক্র প্রতারণা করে ১ হাজার ৯৫৪ কেজি রড ও ১৩০ বস্তা সিমেন্ট সর্বমোট ২ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩০ টাকার মালামাল আত্মসাত করে। এঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইদ্রিস আলী থানায় মামলা করলে প্রতারকদের ধরতে অভিযানে নামে ডিবি।

তিনি আরও জানান, আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, প্রতারক চক্রের মুল হোতা মিঠু এক সময় মাদক ব্যবসায়ী ছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বিগত ৬/৭ মাস যাবৎ মিঠু ও তার সহযোগীরা যোগসাজসে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে একেক সময় একেক নাম ব্যবহার করে ফোন করে রড-সিমেন্ট ও ঢেউটিন ক্রয়ের প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে ব্যবসায়ীর সাথে প্রতারক চক্রের একজন প্রবাসী সেজে ব্রিলিয়ান্ট নাম্বার দিয়ে মালাই ভাষায় সালাম দিয়ে পরিচিত হয়ে মালামাল ক্রয়ের জন্য ব্যাংক একাউন্ট নিয়ে টাকা পাঠানোর কথা বলে মোটা অংকের টাকার মালামাল নিয়ে আত্মসাৎ করে। তদন্তকালে মামলার বাদীসহ একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর