শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত লামার কৃষকেরা

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান | 2024-10-22 16:47:50

শীতকালকে বলা হয় সবজির ভরা মৌসুম। মৌসুমের শুরুতে অনেকেই আগাম শীতকালীন সবজি বাজারে আনার চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে লামা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকরা সবজির চাষের জন্য জমি তৈরির পর বীজ বপন ও পরিচর্যা করতে শুরু করেছেন।

লামা উপজেলার সদর, রূপসীপাড়া, গজালিয়া, ফাঁশিয়াখালী, ফাইতং ও সরই ইউনিয়নে ব্যাপকহারে শাকসবজি চাষ হয়। সরজেমিনে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, সকাল থেকে দল বেঁধে সবজির মাঠে কাজ করছেন কৃষকরা। শীতকালীন আগাম জাতের ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, শসা, মূলা, করলা, বেগুন, টমেটো, লাউয়ের ক্ষেতে আগাছা পরিষ্কার করছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো দাম পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফকর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬১০ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে মুলা, লালশাক, পালংশাক বাজারে আসতে শুরু করেছে। কৃষকরা পর্যাপ্ত দামও পাচ্ছে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে কোনো ফসল আগাম চাষ হলে বাজারে চাহিদা বেশি থাকে। তাই মুনাফাও অনেক বেশি। এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় উঁচু জমিতে সবজি চাষে ঝুঁকছেন তারা। এছাড়াও নদীতীরবর্তী জমিতে সবজির আবাদও করছেন কৃষকরা।

লামা সদর ইউনিয়নের মেহুলারচর গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন বলেন, এই এলাকা সবজি চাষের জন্য উপযুক্ত। ফলানো সবজি বিক্রি করতেও কোন বেগ পেতে হয় না। পাইকাররা ক্ষেতে এসেই সবজি কিনে নিয়ে যান। এ ছাড়া আগাম সবজিতে পোকামাকড়ের আক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। তাই ফসলের দিকে সবসময় খেয়াল রাখতে হয়।

রূপসীপাড়া ইউনিয়নের বৈক্ষমঝিরির এলাকার আরেক কৃষক আনিসুর রহমান বলেন, এ বছর ৬০ শতক জমিতে মূলা, বেগুন ও শিম চাষ করেছি। আগাম শীত মৌসুমের জন্য যেসব সবজি চাষ করা হয় দাম ভালোই পাওয়া যায়। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ বেশি হয়। আবার বৃষ্টি হলে চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে ভালো দামের আশায় আগাম সবজি চাষ করা হয়।

লামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান সোহেল বলেন, শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য কৃষকদের ফসল নির্বাচন, আধুনিক রোগবালাই প্রতিরোধী জাত নির্বাচন, ফসলের রোগ ব্যাধি ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সবজি চাষে রোগ বালাই ব্যবস্থাপনায় রাসায়নিক বালাইনাশকের ব্যবহারের সাথে সাথে জৈবিক পদ্ধতি ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান ও সুষম সার ব্যবস্থাপনার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর