বিএনপির সঙ্গে জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচির শেষ দিন আজ সোমবার। এদিকে হরতালকে তোয়াক্কা না করে রাজধানীর সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে ছাড়ছে বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার বাস।
সোমবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর প্রবেশ ও বাহির মুখ সায়েদাবাদ বাস কাউন্টার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। রুটভিত্তিক যাত্রীর ভালো চাপ আছে বলে জানান পরিবহন শ্রমিকেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সায়েদাবাদ টার্মিনালে সকল দূরপাল্লার বাস কাউন্টার খোলা রয়েছে। অধিকাংশ কাউন্টারের সামনে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যাওয়ার উদ্দেশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। কিছু কিছু কাউন্টারের ভেতরে যাত্রীদের বসে থাকতেও দেখা গেছে।
এছাড়া দূরপাল্লার বাস কাউন্টার এলাকায় যাত্রী খুঁজতে পরিবহন শ্রমিকদের হাঁকডাক ছাড়তেও দেখা গেছে।
পরিবহন শ্রমিক সুজন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সকাল থেকেই বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার গাড়ি ছেড়ে গেছে। যাত্রীর চাপও মোটামুটি ভাল।
খুলনা রুটের পরিবহন শ্রমিক আমিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের ৭ থেকে ৮টি বাস ছেড়ে গেছে। সব গাড়িতেই যাত্রী মোটামুটি ভালো ছিলো। একটু পরে আরেকটা গাড়ি ছাড়বে সেই গাড়িটাও প্রায় ফুল হয়ে গেছে।
পরিবহন শ্রমিক নাজমুল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, নিয়মিত আমাদের গাড়ি চলাচল করছে। কোথাও কোন সমস্যা নেই। আজ সকাল থেকে ১১ থেকে ১২টা গাড়ি ছেড়ে গেছে।
এদিকে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশি হামলার অভিযোগ করে ২৯ অক্টোবর সারা দেশে হরতাল ডাকে বিএনপি। পরে সেই হরতালে সমর্থন জানায় জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো। একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা তিনদিন সর্বাত্মক অবরোধ ডাকে দলগুলো। পরে দ্বিতীয় দফায় ৫ থেকে ৬ নভেম্বর এবং তৃতীয় দফায় ৮ থেকে ৯ নভেম্বর অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি-জামায়াত। পরে চতুর্থ দফায় রোব ও সোমবার ১৪ নভেম্বর অবরোধ পালন করে দলটি। পঞ্চম দফায় ১৫ নভেম্বর ও ১৬ নভেম্বর অবরোধের ডাক দেয় দলটি। সবশেষ ষষ্ঠ দফায় আবারও দুই দিন হরতালের ডাক দেয় বিএনপি।
বিএনপির ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিন আজ সোমবার (১৯ নভেম্বর)। ফলে হরতালকে কেন্দ্র করে প্রথম দিনে রাজধানীর সড়কে যানচলাচল কিছুটা কম থাকলেও দ্বিতীয় দিনে সড়কে বেড়েছে যান চলাচল।