আইএসও সার্টিফিকেশন অর্জন করলো সিনট্যাক্স গ্লোবাল



ziaulziaa
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুণগতমান ব্যবস্থাপনার জন্য আইএসও সার্টিফিকেশন (ISO 9000:2015) অর্জন করেছে সিনট্যাক্স গ্লোবাল।

এই মর্যাদাপূর্ণ সনদ প্রাপ্তির মাধ্যমে রাইস ব্রান অয়েল উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণে গুণগতমান এবং শ্রেষ্ঠত্বের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সিনট্যাক্স গ্লোবাল এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এফ এম রিয়াজউল ইসলাম শাহরিয়ারের হাতে এই সার্টিফিকেট হস্তান্তর করে আইএসও কর্তৃপক্ষ।

এ সময় তিনি বলেন, ‘এই সার্টিফিকেট আমাদের কৃতিত্বের প্রতিক, যা আমাদের সমগ্র টিমের কঠোর পরিশ্রম এবং উতসর্গের ফল। গুনগত মান, গ্রাহক সন্তুষ্টি, ক্রমাগত উন্নতি এবং সর্বোপরি দেশের অর্গানিক খাবারের প্রতি যে সচেতনতা শুরু হয়েছে সে পথে আমাদের অঙ্গীকারের প্রতি আরও দায়িত্বশীল করে তুলবে।’

ISO 9000:2015 সার্টিফিকেশন হলো সিনট্যাক্স গ্লোবাল ও তার গ্রাহকদের পণ্য এবং পরিষেবা প্রদানে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করবে বা গ্রাহক সন্তুষ্টির লক্ষ্যে তার চেয়েও বেশী করবে এমন একটি প্রমাণপত্র।

যা আইএসও কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত কঠোর মূল্যায়ন প্রক্রিয়া, সিনট্যাক্স গ্লোবাল গুণগতমান ব্যবস্থাপনা সিস্টেম ও ব্যতিক্রমী সমাধান দেওয়াকে নিশ্চিত করে।

বর্তমানে রাইস ব্র্যান অয়েল উৎপাদন ও বিপণন করছে প্রাতষ্ঠানটি। এছাড়াও এগ্রো, গবাদি পশু এবং মৎস চাষ থেকে অর্গানিক কৃষি পণ্য উৎপাদন এর মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য প্রস্তুত।

`দ্রুত নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে টেকসই নগর উন্নয়ন অপরিহার্য'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশেষজ্ঞরা দ্রুত নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই নগর উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বুধবার (২৬ জুন) শুরু হওয়া দুই দিনের ‘আরবান রেজিলেন্স ফোরাম’-এর প্রথম দিনে এ আহ্বান জানানো হয়।

এই সম্মেলনটি স্থানীয় সরকার বিভাগ, যুক্তরাজ্য সরকার এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এর 'নগর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প (LIUPCP)' এর অংশ হিসেবে আয়োজিত হয়েছে, যার লক্ষ্য হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে টেকসই নগর নীতি বাস্তবায়ন করা। সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো টেকসই নগর নীতির উপর গুরুত্বারোপ করা, যাতে টেকসই শহর এবং কমিউনিটি গঠন করা যায়।

প্রধান অতিথি হিসাবে উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, এমপি। তিনি বলেন, ‘সরকার একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়তে এবং জলবায়ু-বান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য ন্যাশনাল আডাপ্টেশন প্ল্যান (NAP) ও বাংলাদেশ ডেল্টা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে এবং জাতীয় নগর নীতি চূড়ান্ত করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্থিতিশীল শহর ও নগর গড়তে সরকার এখন স্থির অবকাঠামো, সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, কমিউনিটিভিত্তিক অভিযোজন, বনায়ন ও ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধার এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’

ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, ‘সাশ্রয়ী আবাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে গৃহহারা মোকাবেলার গুরুত্ব অপরিসীম। এই লক্ষ্য অর্জনে তৃনমূল থেকে উপর মহল পর্যন্ত একসাথে কাজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি শক্তিশালী জাতীয় নগর নীতি পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য এবং বাংলাদেশের জন্য একটি জলবায়ু-স্মার্ট, টেকসই নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক। ইউএনডিপি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতের জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক বাংলাদেশে দ্রুত নগরায়নের মাঝে চরম দারিদ্র্য কমানোর জন্য দেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন, যদিও তিনি উল্লেখ করেন যে শহরগুলি এখনও এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সংগ্রাম করছে।

তিনি বলেন, ‘আরবান রেজিলেন্স ফোরাম বাংলাদেশ সরকারের এবং উন্নয়ন অংশীদারদের অন্তর্ভুক্তিমূলক জলবায়ু-স্মার্ট নগর উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে একটি মেইলফলক।’

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান অধিবেশনটির সভাপতিত্ব করেন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মাসুম পাটোয়ারী স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।

এর আগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আক্তার মাহমুদ।

দুই দিনের এই সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয়, আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের প্রধান অংশীদার, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজ ও উন্নয়ন সহযোগীরা অংশ নেবেন।

;

‘পুরুষের তুলনায় ৭০ শতাংশ কাজ বেশি করে নারীরা’



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি কাজ করেন নারীরা। পুরুষের তুলনায় ৭০ শতাংশ কাজ বেশি নারীরা করে থাকেন। তারা অফিসও করেন, বাসায় গিয়ে পারিবারিক কাজ ও সন্তানদের লালন পালনও করেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘নারীদের আনপেইড কেয়ার ওয়ার্কের কোনও মূল্যায়ন নেই। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই, যেটা হবে মানবিক। যেখানে মানুষের আত্মিক উন্নয়ন ঘটবে। সেজন্য মায়েদের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের জন্য সর্বক্ষেত্রে নারী ক্ষমতায়ন প্রয়োজন।’

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ আয়োজিত ‘এমপাওয়ারিং ফিউচার: ইনভেস্ট ইন উইমেন টুয়ার্ডস স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

উত্ত সেমিনারে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স ফর উইমেন লিডারশিপের সভাপতি নাসিম ফেরদৌস, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক তানিয়া হক, ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল, অভিনেত্রী শমি কায়সার প্রমুখ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দেশ উন্নতি লাভ করেছে সেই উন্নয়নের সঙ্গে সমাজ বস্তুকেন্দ্রিক ও মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। আমরাতো এমন একটি প্রজন্ম তৈরি করতে চাই না। এমন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা চাই যা হবে মানবিক, মানুষের আত্মিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। নৈতিক উন্নতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নারীদের নলেজের দিকে তাকানো উচিত। এটি না হলে তার সন্তানদের শিক্ষা দিতে পারবেন না। স্কুলের শিক্ষা বা সার্টিফিকেটের শিক্ষার কথা বলছি না। ফিন্যান্সিয়াল এমপাওরম্যান্ট গুরুত্বপূর্ণ। চাকরিতে শিক্ষায় নেতৃত্ব যারা দিচ্ছেন, তারা ফিন্যান্সিয়ালি এম্পাওয়ারর্ড। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছি। সেই জায়গায় নারীদের এগিয়ে আনতে হবে। নারীদের টেকনোলজিক্যাল এমপাওয়ারর্ড করা লাগবে।’

বিনায়ক সেন বলেন, “শক্তিশালী নারী নেতৃত্বের পেছনে এনজিওগুলোর শতাংশ অবদান নেই। একটা সময় সিনেমা হয়েছে সত্যজিৎ রায়ের, যেখানে নানা নারী চরিত্রের কথা বলা হয়েছে। মহানগরে দেখা যায় শ্রমজীবী নারীরা কতো কি সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়ে। বেগম রোকেয়া লিখেছিলেন ‘সুলতানাস ড্রিম।’ আমাদের দেশে নারীরা আপেইড কাজের সঙ্গে বেশি যুক্ত। গবেষণায় দেখা যায়, নারীরা ৫০ শতাংশ এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত। পুরুষদের অংশগ্রহণ নেই। শ্রমবাজারে বাংলাদেশের নারীদের অংশগ্রহণ মাত্র ৪২ শতাংশ।’

অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, ‘রেডিমেড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি একদিকে নারীর মুক্তি রণক্ষেত্র, কিন্তু অন্যদিকে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার পরিবর্তন হয়নি। নারীকে অনেক শ্রম ঘণ্টা খরচ করে নামমাত্র বেতন ও বোনাস দেওয়া হয়। গ্রাম থেকে অসহায় নারীদের আনা হয়েছিল যারা শ্রম আইন বোঝে না, শ্রমিকের অধিকার বোঝে না। এখনও আমরা নারী দিবস পালন করি কিন্তু নারীর প্রতি শোষনের মানসিকতা থেকে বের হতে পারছি না।’

সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ‘বাংলাদেশে সবক্ষেত্রেই নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় নারী নেতৃত্ব বাড়ছে। দেশের ৬০ শতাংশ প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক নারী। সবদিক থেকেই শেখ হাসিনার চিন্তাভাবনা নারীকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। পিতৃতন্ত্র বিশ্বের সর্বত্রই আছে। এটা ভাংতে হলে আমাদের শেখ হাসিনার মতো আরও অনেক নেতা প্রয়োজন।’

;

তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তরুণ‌দের দৃপ্ত শপথ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তামাক থে‌কে দূ‌রে থা‌কি/ সুস্থ-সবল প্রজন্ম গ‌ড়ি- এমন দৃপ্ত শপ‌থে ইউল্যাবে অনু‌ষ্ঠিত হ‌য়ে গে‌ল তামাক‌বি‌রোধী যুব সম্মেলন ২০২৪। এতে অংশ নেওয়া দুই শতা‌ধিক তরুণ শিক্ষার্থীরা তামাকের বিরু‌দ্ধে কাজ করার প্রত্যয় জানায়।

পাশাপা‌শি তামাকমুক্ত আগামী প্রজন্ম গড়‌তে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শ‌ক্তিশালী করার আহ্বানও ছিল তা‌দের মু‌খে।

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্ট বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর প্রাঙ্গণে শনিবার (৯ মার্চ ) বেসরকা‌রি স্বেচ্ছা‌সে‌বি সংস্থা নারী মৈত্রী আয়োজিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে ‘ইয়ুথ কনফারেন্স’-এ প্রধান অতিথি হি‌সে‌বে বক্তব্য রা‌খেন ঢাকা-১০ আস‌নের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফের‌দৌস আহমেদ।

এ সময় চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে ধূমপান ও তামাক থেকে দূরে থাকার বিকল্প নাই।’

ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘আজকের তরুণরাই স্মার্ট বাংলা‌দেশ গড়ার হা‌তিয়ার। তাই ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ তামাকমুক্ত দেশ গড়তে তরুণ‌দের ভুমিকা অপরিসীম। তাই আজকের তরুণদের অবশ্যই স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে।’

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকর‌ণে জোর দেয়ার তা‌গিদ দিয়ে এই চিত্রনায়ক বলেন, ‘তরুণদের অংশগ্রহণে তামাক ও ধূমপান বিরোধী প্রচারণাকে আরও বেগবান করতে হবে এবং নিজেদের দক্ষ এবং যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ-এর উপাচার্য ইমরান রহমান বলেন, ‘মূলত তরুণ এবং শিশুদের টার্গেট করে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস উৎপাদন ও বাজারজাত করছে তামাক কোম্পানিগুলো। যেখা‌নে র‌য়ে‌ছে উদ্ভাবনী কৌশল, সুগন্ধি ব্যবহার ও আকর্ষণীয় ডিজাইন। এতে কি‌শোর এবং তরুণদের মধ্যে বিশেষত বিদ্যালয়গামী শিশুদের মধ্যে এসব তামাকপণ্যের জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা তরুণ প্রজ‌ন্মের জন্য উদ্বেকজনক।’

তিনি আরও বলেন, ‘হতাশা নি‌য়েই বল‌তে হয় দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দুর্বল হওয়ায় ই-সিগারেট বিক্রি নিয়ন্ত্রিত তো হ‌চ্ছেই না বরং ক্ষতিকারক এসব পণ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের হাতে এটি নিয়ন্ত্রণের কোনও নিয়ন্ত্রক যন্ত্র না থাকায় তরুণ-তরুণীরা ভ্যাপ করে নিকোটিনে জড়িয়ে পড়ছে। তাই এসব ‌ক্ষ‌তিকর ই-সিগারেট, আইন ক‌রে বন্ধ না কর‌লে এর ভয়াবহতা গ্রাস ক‌রে ফেল‌বে আগামী প্রজন্ম‌কে।’

ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস-এর প্রোগ্রামস ম্যানেজার মো. আবদুস সালাম মিয়াহ ব‌লেন, ‘ই-সিগা‌রেট বা ভ্যাপিং সিগা‌রেট ছাড়ার কোনও উপায় হতে পারে না। বরং এটি নতুন আরেকটি নেশায় আসক্ত হওয়ার প্রাথ‌মিক ধাপ। ই-সিগারেট স্পষ্টভাবেই একটি ড্রাগ যা দেশে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তাই ই-সিগারেট আমদানি অ‌বিল‌ম্বে বন্ধ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করে তামাক কোম্পানিগুলো ইউটিউব, ফেসবুক, ওয়েবসাইট ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ই-সিগারেটের চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করে তরুণদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে তামাক কোম্পানিগুলো। এছাড়াও যারা ধূমপান ছাড়তে চায়, তাদেরকে প্রচলিত সিগারেটের বদলে ই-সিগারেট ব্যবহারে উৎসাহিত করছে। ই-সিগারেটের প্রসার বন্ধে এখনই কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রচলিত আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি।’

নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলির সভাপতিতে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউল্যাব ইউনিভার্সিটির সম্মানিত উপ-উপাচার্য, সম্মানিত রেজিস্ট্রার স্যার ও লালমাটিয়া গার্লস কলেজের গার্লস গাইডের শিক্ষার্থীসহ নারী মৈত্রীর তৃণমূল পর্যায়ের তরুণ সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।

;

প্লাস্টিক মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দিনব্যাপী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পিঠা উৎসব



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সবুজায়ন ও প্লাস্টিক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দিনব্যাপী বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব খেলাধুলার আয়োজন করে বিডিডিএল প্রপার্টিজ লিমিটেড। একইসঙ্গে ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলিরও আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।

রাজধানীর খিলগাঁওস্থ বিডিডিএল গোল্ড প্যালেস খেলার মাঠে শনিবার (২ মার্চ) ‘কিচিরমিচির’ শিরোনামে দিনব্যাপী এ আনন্দ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। বিডিডিএল গোল্ড প্যালেসের দশতলা বিশিষ্ট দুইটি ভবনের ৯০টি পরিবারের শিশুরা এসব খেলায় অংশগ্রহণ করে।

ফিতা কেটে ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিডিডিএল প্রপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বি কে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম এ বাতেন খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের, এলা প্যাড-এর প্রতিষ্ঠাতা মামুনুর রহমান, বিডিডিএল প্রপার্টিজ লিমিটেডের প্রকৌশল বিভাগের এজিএম প্রকৌশলী হারুন-অর-রশীদ, হেড অফ সেলস মুসা ইবনে মতিউর প্রমূখ।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় এম এ বাতেন খান বলেন, ‘বর্তমানে ছেলে-মেয়েরা মোবাইল ও ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদেরকে খেলাধুলার প্রতি উৎসাহ দিতে চাই। পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনা সৃষ্টি করাই আমাদের মুল উদ্দেশ্য। আমরা চাই, আমাদের শিশুরা সবুজের সঙ্গে পরিচিত হোক, সবুজের সংস্পর্শে বেড়ে উঠুক। আমরা চাই আমাদের আগামী প্রজন্ম গাছ, চিনবে, ফুল চিনবে, ফলও চিনবে। এ সময়ের ছেলে-মেয়েরা অনেক পিঠার নাম জানে না। এমনকি চিনেও না। অথচ পিঠা আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য তাদের সামনে তুলে ধরা এবং তাদেরকে জাঙ্ক ফুডের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।’

তিনি জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে ‘প্লাস্টিক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে’ কাজ করে চলেছেন তিনি। পাবনার বেড়া উপজেলার দয়ালনগর গ্রামে বাহারুন্নেসা পাবলিক লাইব্রেরি গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

বিডিডিএল গোল্ড প্যালেসেও সাড়ে ছয় কাঠা জমিতে খেলার মাঠ করা হয়েছে। এই প্যালেসের ছাদ ছাড়াও চারপাশে প্রায় ২৫০ রকমের নানা প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। শহরের মাঝে সবুজের সাথে আধুনিক বসবাস করছে এখানকার বাসিন্দারা। দোলনা, স্লিপার ও বিভিন্ন রাইড নিয়ে প্লে-লট করা হয়েছে। বড়দের গল্প, আড্ডা ওয়াকওয়ে পর্যাপ্ত জায়গা আছে এই কমপ্লেক্সে।

এখানকার মাঠ, পার্কের নামকরণ করা হয়েছে ক্রিকেট তারকা মাশরাফি, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু, ব্রজেন দাসের নামে। আর ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কর্নার করা হয়েছে, যেখানে বই পড়া, আড্ড দেওয়া, গাছ চেনা এবং জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগগুলো ছিলো-বালির মধ্যে ঘর বানানো এবং উক্ত প্রকল্পের সম্পূর্ণ লে-আউট তৈরি করা, প্রকল্পের বসবাসরত ছেলে মেয়েরা তাদের বিল্ডিং বালি দিয়ে তৈরি করবে এবং তার ফ্ল্যাটের অবস্থান নির্ণয় করবে। এতে তাদের মেধা বিকাশে সহয়তা করবে।

কিচিরমিচির উৎসবের দৌড় প্রতিযোগিতাও ছিল ভিন্ন ধাঁচের। কে দৌড়ে গাছে পানি দিয়ে আগে শুরুর জায়গায় ফিরে আসতে পারবে, সেটাই ছিল প্রতিযোগিতার বিষয়। সবুজের সঙ্গে দুরন্তপনায় বেড়ে উঠুক ছেলে মেয়েরা-এ বার্তা পৌঁছে দিতে এ দৌড় প্রতিযোগিতার শিরোনাম রাখা হয়েছিল ‘রান ফর ট্রি’।

এই খেলার উদ্দেশ্য, ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা যেন নিজ বাসায় পাছের যত্ন নেয়া শিখে ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা শিখে। প্লাষ্টিক বর্জ সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলাও শেখানো হয়েছে খেলার মাধ্যমে। এই খেলার মাধ্যমে ছেলে-মেয়েরা নিজের পরিবেশকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা শিখেছে।

;