‘পুরুষের তুলনায় ৭০ শতাংশ কাজ বেশি করে নারীরা’

, স্পেশাল ইভেন্ট

স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম | 2024-03-13 21:11:19

পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি কাজ করেন নারীরা। পুরুষের তুলনায় ৭০ শতাংশ কাজ বেশি নারীরা করে থাকেন। তারা অফিসও করেন, বাসায় গিয়ে পারিবারিক কাজ ও সন্তানদের লালন পালনও করেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘নারীদের আনপেইড কেয়ার ওয়ার্কের কোনও মূল্যায়ন নেই। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই, যেটা হবে মানবিক। যেখানে মানুষের আত্মিক উন্নয়ন ঘটবে। সেজন্য মায়েদের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের জন্য সর্বক্ষেত্রে নারী ক্ষমতায়ন প্রয়োজন।’

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ আয়োজিত ‘এমপাওয়ারিং ফিউচার: ইনভেস্ট ইন উইমেন টুয়ার্ডস স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

উত্ত সেমিনারে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স ফর উইমেন লিডারশিপের সভাপতি নাসিম ফেরদৌস, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক তানিয়া হক, ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল, অভিনেত্রী শমি কায়সার প্রমুখ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দেশ উন্নতি লাভ করেছে সেই উন্নয়নের সঙ্গে সমাজ বস্তুকেন্দ্রিক ও মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। আমরাতো এমন একটি প্রজন্ম তৈরি করতে চাই না। এমন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা চাই যা হবে মানবিক, মানুষের আত্মিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। নৈতিক উন্নতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নারীদের নলেজের দিকে তাকানো উচিত। এটি না হলে তার সন্তানদের শিক্ষা দিতে পারবেন না। স্কুলের শিক্ষা বা সার্টিফিকেটের শিক্ষার কথা বলছি না। ফিন্যান্সিয়াল এমপাওরম্যান্ট গুরুত্বপূর্ণ। চাকরিতে শিক্ষায় নেতৃত্ব যারা দিচ্ছেন, তারা ফিন্যান্সিয়ালি এম্পাওয়ারর্ড। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছি। সেই জায়গায় নারীদের এগিয়ে আনতে হবে। নারীদের টেকনোলজিক্যাল এমপাওয়ারর্ড করা লাগবে।’

বিনায়ক সেন বলেন, “শক্তিশালী নারী নেতৃত্বের পেছনে এনজিওগুলোর শতাংশ অবদান নেই। একটা সময় সিনেমা হয়েছে সত্যজিৎ রায়ের, যেখানে নানা নারী চরিত্রের কথা বলা হয়েছে। মহানগরে দেখা যায় শ্রমজীবী নারীরা কতো কি সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়ে। বেগম রোকেয়া লিখেছিলেন ‘সুলতানাস ড্রিম।’ আমাদের দেশে নারীরা আপেইড কাজের সঙ্গে বেশি যুক্ত। গবেষণায় দেখা যায়, নারীরা ৫০ শতাংশ এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত। পুরুষদের অংশগ্রহণ নেই। শ্রমবাজারে বাংলাদেশের নারীদের অংশগ্রহণ মাত্র ৪২ শতাংশ।’

অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, ‘রেডিমেড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি একদিকে নারীর মুক্তি রণক্ষেত্র, কিন্তু অন্যদিকে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার পরিবর্তন হয়নি। নারীকে অনেক শ্রম ঘণ্টা খরচ করে নামমাত্র বেতন ও বোনাস দেওয়া হয়। গ্রাম থেকে অসহায় নারীদের আনা হয়েছিল যারা শ্রম আইন বোঝে না, শ্রমিকের অধিকার বোঝে না। এখনও আমরা নারী দিবস পালন করি কিন্তু নারীর প্রতি শোষনের মানসিকতা থেকে বের হতে পারছি না।’

সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ‘বাংলাদেশে সবক্ষেত্রেই নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় নারী নেতৃত্ব বাড়ছে। দেশের ৬০ শতাংশ প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক নারী। সবদিক থেকেই শেখ হাসিনার চিন্তাভাবনা নারীকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। পিতৃতন্ত্র বিশ্বের সর্বত্রই আছে। এটা ভাংতে হলে আমাদের শেখ হাসিনার মতো আরও অনেক নেতা প্রয়োজন।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর