ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েলের হরেক ব্যবহার
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী প্রাকৃতিক তেলের মাঝে অলিভ অয়েলকে রাখা হয় সবার আগে।
প্রাকৃতিক এই তেলটি শুধুই স্বাস্থ্যের জন্য নয়, ত্বকের নানাবিধ ব্যবহারেও চমৎকারভাবে ব্যবহার করা যাবে, যা ত্বকের সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থেও দারুণ উপাদান হিসেবে কাজ করবে। ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েলের ছয়টি ভিন্ন ব্যবহার জেনে নিন এই ফিচারটি থেকে।
ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষায়
শুধু মুখের ত্বকের নয়, পুরো শরীরের ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষায় ও ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখার জন্য অলিভ অয়েল অন্যতম একটি উপাদান। লোশনের পরিবর্তে খুব সহজেই অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যাবে ত্বককে আর্দ্রতাপূর্ণ রাখার জন্য। তবে ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষায় অলিভ অয়েল ব্যবহারে পরিমানের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনের চাইতে বেশি অলিভ অয়েল ব্যবহারে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ হয়ে ব্রণের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।
মেকআপ রিমুভার হিসেবে
অলিভ অয়েলের অন্যতম ভালো ব্যবহারিতা হলো, প্রাকৃতিক এই তেলটি মেকআপ রিমুভার হিসেবে খুব সহজেই ব্যবহার করা যাবে। ভারি মেকআপ থেকে শুরু করে হালকা মাশকারা, আইলাইনার বা লিপস্টিক তোলার ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল ভালো কাজ করবে। মেকআপ তোলার পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষায়ও অলিভ অয়েল কাজ করে, ফলে ত্বক খসখসে হবে না।
গোড়ালি ফাটার সমস্যায়
সঠিক পরিচর্যা ও পেডিকিউর গোড়ালি ফাটার সমস্যা দূরে রাখতে ও দ্রুত ভালো করতে কাজ করবে। তবে এই সমস্যায় অলিভ অয়েলও খুব ভালো কাজ করবে। পায়ের গোড়ালি এক্সফলিয়েট করে শুকিয়ে নিতে হবে। এবারে গোড়ালিতে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে মোজা পরে সারারাত রেখে সকালে পা ধুয়ে ফেলতে হবে।
রোদে পোড়াভাব দূর করতে
প্রখর রোদের আলোতে বের হলেই ত্বকে রোদে পোড়াভাব দেখা দেয়। এই সমস্যাটি থেকে নিস্তার দেবে অলিভ অয়েলের ব্যবহার। ব্যবহারের জন্য সমপরিমাণ অলিভ অয়েল ও হোয়াইট ভিনেগার একসাথে মিশিয়ে রোদে পোড়াভাবযুক্ত স্থানে ম্যাসাজ করে আধা ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। অলিভ অয়েলের প্রদাহবিরোধী উপাদান রোদে পোড়াভাবযুক্ত ত্বকের প্রদাহ ও জ্বালাপোড়াভাব কমাতে কাজ করবে।
নখ ও চারপাশের ত্বকের যত্নে
প্রায়শ নখের চারপাশের ত্বক শুষ্ক হয়ে চামড়া ওঠে। এতে করে সে অংশে জ্বালাপোড়ার সমস্যা তৈরি হয় এবং চামড়া উঠে রক্তপাতও হয়। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য এক বাটি পরিমাণ কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ অলিভ অয়েল ও আধা চা চামচ হোয়াইট ভিনেগার মিশিয়ে এই মিশ্রণে নখের অংশ ডুবিয়ে রাখতে হবে। এতে করে নখ পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি নখের চারপাশের চামড়াও নরম হয়ে যাবে।
ঠোঁট ফাটাভাব দূর করতে
আর্দ্রতার অভাবে ঠোঁটের চামড়া ফেটে যায়। এর উপরে কোন ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না। তাই ঠোঁটের ফাটাভাব দূর করতে প্রথমেই ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করতে হবে। এর জন্য প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি লিপ স্ক্রাব তৈরি করতে হবে। লেবুর রস, অলিভ অয়েল ও চিনির মিশ্রণের সাহায্যে স্ক্রাব তৈরি করতে হবে। এই স্ক্রাবটি ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করার পাশাপাশি আর্দ্রতা রক্ষাতেও কাজ করবে।
আরও পড়ুন: গোড়ালি ফাটার সমস্যায় সহজ সমাধান
আরও পড়ুন: বলিরেখা দূর করবে নারিকেল তেলের জাদু