মীর মশাররফের ১৭১তম জন্মবার্ষিকী মঙ্গলবার



এস এম জামাল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন। ছবি: বার্তা২৪.কম

সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘বিষাদ সিন্ধুর’ রচয়িতা সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭১তম জন্মবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর)।

এ উপলক্ষে কুমারখালীর লাহিনীপাড়ায় মীরের বাস্তুভিটায় মঙ্গলবার ও বুধবার দু’দিন ব্যাপী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন কর্মসূচি।

এর মধ্যে রয়েছে মীর মশাররফ হোসেনের সাহিত্য কর্মের উপর জ্ঞানগর্ভ, আলোচনা সভা ও তার সাহিত্য নির্ভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ গ্রামীণ মেলা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ উৎসব শুরু হবে। প্রথম পর্বে মীরের সাহিত্য ও কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা এবং দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী খোকসা) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ। সভাপতিত্ব করবেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন।

সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুমারখালীর লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে লাহিনীপাড়ায় তার ঘরবাড়ির আর কোনো অস্তিত্ব নেই। তবে মীরের নিজ হাতে লাগানো একটি মৃত আম গাছের গুঁড়ি স্মৃতি ও কালের নীরব সাক্ষী হিসেবে ঠাঁই পেয়েছে ‘মীর মশাররফ হোসেনের জাদুঘরে’। এছাড়াও জাদুঘরে মীরের ব্যবহৃত জিনিসপত্র রয়েছে। যা দেখতে দর্শনার্থীরা এখনো প্রতিদিন ছুটে আসে।

এছাড়া এখানে রয়েছে তার প্রথম স্ত্রী আজিজন নেসার কবর এবং মীরের নামে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়। মীরের ব্যবহৃত আসবাবপত্র রয়েছে তার বাস্তুভিটার পাশেই অবস্থিত ‘মীর মশাররফ হোসেনের জাদুঘরে’।

মীরের জন্মের পর তার ছেলেবেলা কেটেছে লাহিনীপাড়া গ্রামে। তার বাবা মীর মোয়াজ্জেম হোসেন এলাকার সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন। তার মায়ের নাম দৌলতুন্নেসা। মীর মশাররফ প্রথমে জগনমোহন নন্দীর পাঠশালায় পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি কুমারখালীর এমএন হাই স্কুল, কুষ্টিয়া হাই স্কুল ও রাজবাড়ি জেলার পদমদী হাই স্কুলে কিছুদিন পড়াশোনা করেন।

১৮৬০ সালে মীর মশাররফের মা দৌলতুন্নেসা মারা যান। সে সময় মীরের বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। এ বয়সেই তিনি সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। সাহিত্যের সব ক্ষেত্রেই তার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে গেছেন। গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, আত্মজীবনী, প্রবন্ধ ও ধর্ম বিষয়ক প্রায় ৩৫টি বই রচনা করে গেছেন।

এর মধ্যে রত্নাবতী, গৌরী সেতু, বসন্তকুমারী, নাটক জমিদার দর্পণ, সঙ্গীত লহরী, উদাসীন পথিকের মনের কথা, মদীনার গৌরব, বিষাদসিন্ধু বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সাহিত্য রচনার পাশাপাশি তিনি কিছুদিন সাংবাদিকতাও করেছিলেন।

প্রথমে তিনি কাঙাল হরিণাথ মজুমদারের সাপ্তাহিক ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ পত্রিকা ও কবি ঈশ্বরগুপ্তের সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায় কিছুদিন কাজ করেন। এরপর ১৮৮০ সালে তিনি লাহিনীপাড়া ‘হিতকরী’ নামের একটি পাক্ষিক পত্রিকা প্রকাশ করেন।

মীর মশাররফ হোসেন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় কলকাতায় তার বাবার বন্ধু নাদির হোসেনের বাড়িতে থেকে কিছুদিন পড়াশোনা করেন। এখানে থাকাকালে নাদির হোসেনের বড় মেয়ে লতিফুন নেছার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং পরে বিয়ে ঠিক করা হয়। কিন্তু নাদির হোসেন বিয়ের সময় বড় মেয়ের পরিবর্তে মেজ মেয়ে আজিজন নেছার সঙ্গে মীরের বিয়ে দেন।

এ ঘটনার পর লতিফুন নেছা আত্মহত্যা করেন। প্রথম বিয়ে সুখের না হওয়ায় মীর মশাররফ ৮ বছর পর কুমারখালীর সাঁওতা গ্রামের বিধবা কুলসুম বিবিকে বিয়ে করেন। ফলে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার দূরত্ব আরও বাড়ে। এরপর তিনি স্ত্রী কুলসুম বিবিকে নিয়ে লাহিনীপাড়া ছেড়ে টাঙ্গাইলে চলে যান এবং সেখানে বসবাস করতে থাকেন। প্রথম স্ত্রী আজিজন নেছা কয়েক বছর নিঃসঙ্গ জীবন-যাপন করার পর লাহিনীপাড়ায় মারা যান এবং সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়। মীরের প্রথম স্ত্রীর কোনো সন্তান ছিল না। তবে দ্বিতীয় স্ত্রী কুলসুমের ঘরে তার ৫ ছেলে ও ৬ মেয়ে ছিল।

   

রংপুরে লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক সিলগালা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর নগরীর ধাপ মেডিকেল মোড় এলাকায় অবস্থিত সেবা হাসপাতাল নামের একটি ক্লিনিকে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় লাইসেন্স না থাকায় ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেয়া হয়।

সোমবার (২৪ জুন) বিকালে রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদ হাসান মৃধা ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালনা করেন। অভিযানের সময় সিভিল সার্জন অফিসেরর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, নগরীর মেডিকেল মোড় এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে সেবা হাসপাতাল নামে একটি ক্লিনিক লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করে আসছিল।

এ দিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্লিনিকটিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত।

এ সময় ক্লিনিকের লাইসেন্স না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরীক্ষা করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়। একই সাথে ক্লিনিক মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদ হাসান মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

কালিগঞ্জে পূজার প্রসাদ খেয়ে ৭০ পুণ্যার্থী অসুস্থ, শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: কালিগঞ্জে পূজার প্রসাদ খেয়ে অসুস্থরা।

ছবি: কালিগঞ্জে পূজার প্রসাদ খেয়ে অসুস্থরা।

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পূজার প্রসাদ (খিচুড়ি) খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অন্তত ৭০জন পুণ্যার্থী। এর মধ্যে কাব্য দত্ত নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

কাব্য দত্ত খুলনার চুকনগর সংলগ্ন শৈলগাতী গ্রামের উত্তম দত্তের ছেলে। মায়ের সাথে নানা অশোক দত্তের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুরে অনুষ্ঠিত বাসন্তী পূজায় অংশ নেয় সে।

কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর বানিয়াজাংগাল বাসন্তী পূজা মন্দিরের সভাপতি শংকর দত্ত বলেন, শনিবার রাতে মন্দির প্রাঙ্গণে পূর্ণিমা তিথি উপলক্ষে পূজা-অর্চনা চলছিল। কীর্তন শেষে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ হিসেবে খিচজুড়ি বিতরণ করা হয়। পরদিন প্রসাদ খাওয়া ভক্তদের অনেকেই বমি ও পাতলা পায়খানা করতে থাকেন। সময় বাড়ার সাথে সাথে অসুস্থদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ৩০-৩৫ জনকে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ৫ জনকে খুলনার আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া অন্যান্যরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছেন। সোমবার সকালে একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে অসুস্থদের সাথে কথা বলেছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য পিযুশ রায় জানান, অসুস্থ পুণ্যার্থীদের মধ্যে বিষ্ণুপুর গ্রামের অশোক দত্তের মেয়ে ও কাব্যদত্তের মা তিথি দত্ত (২৩), নিমাই সেন এর ছেলে দীপু সেন (৪২), চন্ডিচরণ দত্তের ছেলে সুব্রত দত্ত (৪২) ও অসীম দত্ত (৩২) এর অবস্থা আশংকাজনক।

বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, হরি নাম সংকীর্তন শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ হিসেবে খিচুড়ি বিতরণ করে মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রসাদ খেয়ে পরদিন ৭০-৭৫ জন বমি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন।

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শাহীন স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, রোববার রাতে কাব্য দত্তকে সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সোমবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু খুলনায় পৌছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

;

সংসদে 'মুজিব ও স্বাধীনতা' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ ভবনে নির্মিত 'মুজিব ও স্বাধীনতা' স্থাপনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে স্থাপিত 'মুজিব ও স্বাধীনতা' স্থাপনা পরিদর্শন করে তা উদ্বোধন করেন তিনি। পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রীর সাথে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি উপস্থিত ছিলেন। এ সময় স্পীকার 'মুজিব ও স্বাধীনতা' এ প্রদর্শিত বিভিন্ন স্থিরচিত্র ও ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

'মুজিব ও স্বাধীনতা' স্থাপনা উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন এবং এর প্রশংসা করেন। তিনি জাতীয় সংসদে 'মুজিব ও স্বাধীনতা' স্থাপনের জন্য স্পিকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো: শামসুল হক টুকু এমপি, চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি, হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, হুইপ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এমপি এবং হুইপ সানজিদা খানম এমপি উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, 'মুজিব ও স্বাধীনতা' সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেয়ার এক অনন্য প্রয়াস। এখানে প্রথম কক্ষে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোর, খোকা থেকে শুরু হয়ে তারুণ্যে মুজিব ভাই হয়ে ওঠা, ভারত ভাগ ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, উত্তাল ভাষা আন্দোলন ও ১৯৫০ এর দশকের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭০ এর নির্বাচন পর্যন্ত প্রদর্শিত হয়েছে।

'৭০ এর ঐতিহাসিক নির্বাচনে বিজয়ের প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে দ্বিতীয় কক্ষের ঘটনাপ্রবাহ এগিয়ে গেছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের দিকে। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে ৭ মার্চের ভাষণ, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কর্তৃক ২৫ মার্চের গণহত্যা, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা, দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অকাতর সংগ্রাম এবং মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের আত্মত্যাগের ধারাবর্ণনা স্থান পেয়েছে এই কক্ষে।

তৃতীয় কক্ষে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল বিজয়, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদানের সাথে আরো রয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন, আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের পরিচিতি সুসংহত করার স্বর্ণালী ইতিহাস। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সংগ্রামী জীবন ও বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক জীবনের কিছু খণ্ডচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। এরপর বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো অধ্যায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এর নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্থান পেয়েছে।

;

বিদ্যুৎ বিল বকেয়া, আলোর নিচে অন্ধকারে রেলের পূর্বাঞ্চল কার্যালয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
আলোর নিচে অন্ধকারে রেলের পূর্বাঞ্চল কার্যালয়। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

আলোর নিচে অন্ধকারে রেলের পূর্বাঞ্চল কার্যালয়। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কার্যালয়ের প্রায় এক কোটি ৫৭ লাখ টাকা বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সোমবার (২৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বিদ্যুৎ বিভাগ। ছয় ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও দেখা মেলেনি বিদ্যুতের।

বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে জানা যায়, গত ৬ মাসে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বকেয়া বিল দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকায়। কয়েকবার নোটিশ দিলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো সাঁড়া না পাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

রেলের পূর্বাঞ্চল কার্যালয়। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

বিকেল তিনটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অন্ধকারে রেলের বিভিন্ন শাখার কক্ষগুলো ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। অনেক গরম সহ্য করতে না পেরে বারান্দায় এসে হাঁটাহাঁটি করছে। আবার কোনো কোনো কক্ষে আইপিএসের দিয়ে বাতি ও টেবিল ফ্যান চালাতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে রেল পূর্বাঞ্চলের প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা বিদ্যৎ বিলের জন্য যে পরিমাণ বাজেট চেয়েছি সেটি পায়নি। বরাদ্দ না পেলে, পেমেন্ট কীভাবে করব। বেলা ১১টা থেকে বিদ্যুৎ নেই। আমরা বিদ্যুৎ বিভাগে যোগাযোগ করেছি। তারা বকেয়া বিলের জন্য লাইন বন্ধ রেখেছে বলে জানিয়েছে। দুইটায় তো সরকারি দফতর। তারা (বিদ্যুৎ বিভাগ) তাদের মত আর আমরা আমাদের মত কাজ করছি। আমাদের উপর জানানোর দায়িত্ব, আমরা উপরে জানিয়েছি।

কী পরিমাণ বকেয়া আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন একাউন্টে বকেয়া থাকে, মোট বলা যাবে না। দুই মাসের প্রায় এক কোটি টাকার বেশি বিল বকেয়া রয়েছে। এর আগে চিঠিপত্র চালাচালি হয়েছিল।

রেলের পূর্বাঞ্চল কার্যালয়। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ যে কাজটি করছে সেটা ঠিক না। টাকা দেবে সরকার। সরকার আমাদের বাজেট দিলেই তো আমরা বকেয়া বিল দিতে পারব। তাই বলে পুরো বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবে সেটা হতে পারে না। সে সকাল সাড়ে ১০টায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু কেউ কল রিসিভ করছে না। শুনেছি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজেও বিদ্যুৎ কেটে দিয়েছে। এটা তো সরকারের ক্ষতি হচ্ছে। ওরাও সরকারি প্রতিষ্ঠান। এসব ঠিক না। এর আগেও অনেকবার এরকম করেছে। কন্ট্রোল অফিসেও বিদ্যুৎ নেই। কোনো ট্রেনের যদি দুর্ঘটনা ঘটে এর দায়ভার কি পিডিবি নেবে?

চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিভাগের (দক্ষিণ) প্রধান প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা বেশ কয়েকবার তাদের চিঠি দিয়েছি। তারা তবুও বকেয়া বিল পরিশোধ করেনি। দেড় কোটি টাকার ওপর তাদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া। তাদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। আমি সংযোগ দেওয়ার জন্য বলে দিয়েছি। কিছুক্ষণ পরে হয়তো বিদ্যুৎ সংযোগ পাবে তারা।

এর আগে সোমবার সকাল ১১ টায় এক কোটি ২৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি চমেকে।

;