ঢাকায় চুক্তিতে বাস চালানো নিষিদ্ধ ঘোষণা

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) থেকে ঢাকায় মালিক-শ্রমিক চুক্তি করে কোন বাস চলতে পারবে না। বাসগুলো কন্ট্রাকে চলতে গিয়ে চালকরা অতিরিক্ত ট্রিপের আশায় প্রতিযোগিতায় নেমে দুর্ঘটনায় পড়ে। এ প্রেক্ষিতে মালিক শ্রমিক পক্ষ মিলে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চুক্তি পদ্ধতি বাতিল হওয়ায় এখন থেকে চালক বেতনভুক্ত ড্রাইভার হিসেবে গাড়ি চালাবে। এর ফলে সারাদিন গাড়ি চালিয়ে নির্দিষ্ট অংকের অর্থ জমা দিতে বাধ্যবাধকতা থাকবে না চালকদের।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৮ আগস্ট) মতিঝিলে মালিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।

এর আগে তিনি ঢাকার সব টার্মিনাল মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়। কাল থেকে কোন মালিক চালকের সঙ্গে কন্ট্রাকে গাড়ি চালালে তার নিবন্ধন বাতিল করা হবে। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি থাকবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, পরিবহনের উপার্জন থেকে চালক ও স্টাফদের বেতন নির্ধারণ করা হবে। দিন বা মাস শেষে নির্দিষ্ট অংকের টাকা উপার্জনের লক্ষ্য থাকবে না চালকদের। 

পরিবহন সেক্টরের এ নেতা বলেন, চালকদের সঙ্গে মালিকদের দৈনিক চুক্তির ভিত্তিতে চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়। চুক্তিতে গাড়ি চললে চালকরা প্রতিযোগিতা বেশি করে, পাল্টাপাল্টি করে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হয়। এখন চালকরা বাস চালাবে। প্রতিটি কোম্পানির চেকার রাস্তায় থাকবে। সারাদিনের আয় মালিকের কাছে চলে যাবে। চালক-শ্রমিকরা তাদের নির্ধারিত মজুরি পাবেন।

তিনি বলেন, কালকের পর কেউ চুক্তিতে গাড়ি চালালে আমরা তাদের নিবন্ধন বাতিলের জন্য সুপারিশ করব। আর সে মালিক যদি আমাদের সদস্য হয় তাহলে ওই মালিককে সমিতি থেকে বহিস্কার করা হবে।”

রাজধানীর বাস আবার কাউন্টার সার্ভিস হিসেবে চলাচল করার কথা জানান খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।

তিনি বলেন, কাউন্টারের জায়গার জন্য সিটি করপোরেশনে চিঠি পাঠানো হবে। আমরা তাদের কাছে অনুরোধ জানাব কাউন্টারের জায়গা দেওয়ার জন্য। আমরা কালকেই তাদেরকে চিঠি পাঠাবো।চালক, শ্রমিকরা মজুরি ভিত্তিতে বাস চালাবে।

কোনো বাস চালক চুক্তিতে বাস চালাচ্ছে কি না, সেটা কিভাবে করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মালিক সমিতি তাদের কৌশল ব্যবহার করবে। তবে কৌশলটি কি তা খোলাসা করেননি তিনি।

কাল থেকে রাজধানীর সড়কে কোনো ফিটনেসবিহীন বাস চলতে দেওয়া হবে না-এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।

ঢাকার বিভিন্ন টার্মিনাল থেকে বাস ছেড়ে যাওয়ার আগে বাসের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি টার্মিনালে মালিক শ্রমিকদের নেতাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি বাস ছাড়ার আগের চালকের লাইসেন্স, গাড়ির কাগজপত্র এবং গাড়িটি চলাচলের উপযোগি কিনা তা দেখবে। কোনো ব্যত্যয় থাকলে ওই গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না। এই কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।

রংচটা, লক্কড়ঝক্কড় মার্কা বাস মেরামত করার জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এছাড়া প্রতিটি কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে চালকদের বৈঠক করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে চালকদের সচেতনতা বাড়বে বলে জানান তিনি।