কিশোরকে কুপিয়ে ভ্যান ছিনতাই: আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেকে প্রেরণ
সাতক্ষীরায় আবু শাহীন (১৪) নামের এক কিশোরকে কুপিয়ে তার ভ্যান ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শনিবার (২৯ জুন) তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, যশোরের কেশবপুর উপজেলার গোলাখালি মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শাহীন। সংসার চালাতে গিয়ে প্রায়ই ভ্যান চালাতে হতো তাকে। গত শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে ব্যাটারিচালিত ভ্যান নিয়ে বেরিয়েছিল সে। দুপুরের দিকে কয়েকজন অজ্ঞাত শাহীনের ভ্যানটি ভাড়া নেয়। শাহীন তাদের নিয়ে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়ার দিকে রওনা হয়। ধানদিয়া গ্রামের মাঠে ঢুকে একটি পাটক্ষেতের পাশে ওই দুর্বৃত্তরা শাহীনের মাথা ফাটিয়ে জখম করে ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়। শাহীনের মোবাইল ফোনটিও লুট করে নিয়ে যায় তারা।
ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে শাহীন। পরে জ্ঞান ফিরলে কান্না শুরু করে সে। তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় খবর দেয়।
পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে শাহীনকে উদ্ধার করে খুলনার আড়াইশ’ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার তার অবস্থার অবনতি হলে বিকালে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
ওসি বলেন, ঘটনায় জড়িতদের ধরতে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অব্যাহত আছে। পুলিশ সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে অমানবিক এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আমাদের কাছে তথ্য আছে- কোনো কারণে পূর্ব বিরোধের জের ধরে তাকে ফোন করে ওই এলাকায় নেওয়া হয়েছিল। এরপর তারা পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটায়।
প্রসঙ্গত, আহত শাহীন যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামে, তার বাবা হায়দার আলী। বসতভিটে ছাড়া তাদের কোনো জমিজমা নেই। সম্প্রতি একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যান কেনেন তারা। বাবা-ছেলে দুই বেলা ওই ভ্যানটি চালিয়ে সংসার চালান। কিন্তু সন্তানের এই অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি।