কাটার মাস্টারের বৌভাত: চলছে সাজসজ্জা
জাতীয় দলের ক্রিকেটার কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের বৌভাত অনুষ্ঠান ১৩ জুলাই। নববধূর আগমন উপলক্ষ্যে তার বাড়ির সামনে সাজানো হয়েছে সুউচ্চ গেট। আলো ঝলমল গেট শোভা পাচ্ছে অপরূপ সৌন্দর্যে। শুক্লাপক্ষের একাদশি তিথিতে নববধূকে বরণ করতে প্রস্তুত মোস্তাফিজের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা। বাড়িতে চলছে সাজ-সাজ রব। উৎসবমূখর পরিবেশে চলছে আয়োজন। মোস্তাফিজের বড় ভাই মাহফুজুর রহমান মিঠু জানান, মোস্তাফিজের বৌভাত অনুষ্ঠানে প্রায় আড়াই হাজার অতিথি থাকবেন। দাওয়াতের কাজ শেষ হয়েছে। চলছে সাজ-সজ্জার কাজ। বাড়ি লাগোয়া মেইন রাস্তায় করা হয়েছে আলো ঝলমল দৃষ্টিনন্দন গেট। সেখান থেকে বাড়ির দরজা পর্যন্ত প্রায় ১০০ মিটার পথের দু’ধারেও সাজানো হয়েছে বিদ্যুতের আলোয়। গোটাবাড়ি সাজানো হয়েছে অনন্যরূপে। বর-কনের আসনও সাজানো হচ্ছে ফুল ও রঙিন আলোর সংমিশ্রণে।
মোস্তাফিজের পরিবার আগেই জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপ শেষে অনুষ্ঠিত হবে বৌভাত। নববধূ শিমুকে সেদিন জাঁকজমক আয়োজনে তুলে নেওয়া হবে। মোস্তাফিজের বাড়ি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার তারালি ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামে। এ বাড়িতেই বধূ হয়ে আসবেন শিমু।
১৩ জুলাই শনিবার এ বাড়িতেই মোস্তাফিজের বৌভাত। এরই মধ্যে বাড়িতে সাজসাজ রব পড়ে গেছে। আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্খীদের মধ্যে নতুন প্রাণসঞ্চার হয়েছে। তাদের মুখে মুখে এক কথা মোস্তাফিজের বৌভাত। মোস্তাফিজের বড় ভাই মাহফুজুর রহমান মিঠু আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সব খেলোয়াড় নিমন্ত্রিত হয়েছন। সব আত্মীয়-স্বজন শরিক হবেন বৌভাতে। গ্রামীণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বৌভাত।
নববধূ সুমাইয়া পারভিন শিমু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তার বাবা মো. রওনাকুল ইসলাম পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে থাকেন গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে।
পাঁচ লাখ এক টাকা দেনমোহরে ২২ মার্চ বিয়ে হয়েছিল তাদের। মোস্তাফিজের স্বপ্নেররাণী তার মামাতো বোন শিমু ২০১৮ সালে দেবহাটার সখিপুর খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ কলেজ থেকে এ-প্লাস পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। এর আগে ২০১৬ সালে নলতা হাইস্কুল থেকে তিনি গোল্ডেন এ-প্লাস পেয়ে পাস করেন এসএসসি।